নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাসের দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে। এখান থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগের দিন জাহাজে থাকা ভাসমান এই টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো গেলেও, সিস্টেম জটিলতার কারণে আরেকটি সরানো যায়নি। যেটিতে মজুত ছিল প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সেন্টমার্টিনের মতো মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে, এই টার্মিনাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রূপান্তরিত প্রাকৃতি গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) সূত্র জানায়, মহেশখালীতে একটি সামিট গ্রুপের আরেকটি আমেরিকান কোম্পানির ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। দুটিতে প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত থাকে। এই দুটি টার্মিনাল থেকে মূলত চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আবাসিক এবং শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে আবাসিকে দেড় শ ও বাকিটা শিল্প খাতে।
আরপিজিসিএলের একজন কর্মকর্তা জানান, মহেশখালী উপকূলের কাছাকাছি ভাসমান দুটি টার্মিনাল এলএনজি থেকে জ্বালানি গ্যাস রুপান্তরিত করে। তারপর সেই গ্যাস পাইপের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের মতো বৈরী আবহাওয়া থাকলে এই দুটি ভাসমান টার্মিনালকে গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়। যখন উপকূল থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়, এর আগে গ্যাস সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করতে হয়। যখন গ্যাস দুটি ভাসমান টার্মিনাল মহেশখালী উপকূল ত্যাগ করে তখন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবাহ মূলত বন্ধ হয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত হানার আগের দিনও একই কাজটি করতে হয়েছে গ্যাস কোম্পানিকে। ওই দিন চট্টগ্রামে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়। এর পরপরই ভাসমান টার্মিনাল দুটিকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমেরিকান কোম্পানির টার্মিনালটি নিরাপদ জায়গায় সরাতে সক্ষম হলেও, সামিট গ্রুপের টার্মিনালটি সিস্টেম জটিলতার কারণে সরানো যায়নি। মোখা যখন কক্সবাজার উপকূল আঘাত হানা শুরু করে তখনো এই জাহাজটি মহেশখালী উপকূলে ভাসতে থাকে। ভাগ্য ভালো মোখা সেন্টমার্টিনে হয়ে মায়ানমারে আঘাত হানে। মহেশখালীসহ চট্টগ্রামের অন্য কোনো জায়গায় তেমন আঘাত হানেনি। ফলে বেঁচে যায় টার্মিনালটি।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের দিন ও পরে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের অন্যতম কারণ এই ভাসমান দুটি টার্মিনাল। কারণ আমাদের গ্যাস সরবরাহ মূলত এখান থেকেই আসত। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়, বাকিটা সিস্টেম জটিলতার কারণে সরানো যায়নি। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে মহেশখালী উপকূলে থাকা ভাসমান টার্মিনালটি ক্ষতি হতে পারত।’
আরপিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশ থেকে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ১১-১২ ডলারে কিনে আনা হয়। একটি জাহাজে করে যে পরিমাণ এলএনজি আনা হয় তা থেকে প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়।’
দেশে ২০১৮ সাল থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৪২০ কোটি ঘনফুট। মহেশখালীর সমুদ্রে বর্তমানে যে দুটি এফএসআরইউ রয়েছে সেখান থেকে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ১ বায়ুচাপে রেফ্রিজারেশন প্রক্রিয়ায় তরল করে এলএনজি পাওয়া যায়।
এলএনজির প্রধান উপাদান মিথেন, তবে সামান্য পরিমাণ ইথেন প্রপেন, বিউটেন, পেন্টেনসহ অন্যান্য হাইড্রো কার্বন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তর করলে এর আয়তন সংকুচিত হয়ে ৬০০ গুণ কমে যায়। ফলে এলএনজি পরিবহন করা সহজ হয়।
দেশের জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে ২০১০ সালেই এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই টার্মিনাল স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা। নির্মাণ, পরিচালনা ও স্থাপন (বিওওটি) পদ্ধতি এক্সিলারেট ২০১৭ সালে এই টার্মিনাল স্থাপন করে। গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট। ১৫ বছর পর ২০৩২ সালে এফএসআরইউ পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করবে এক্সিলারেট।
পাশেই দ্বিতীয় টার্মিনাল স্থাপন করে দেশীয় সামিট গ্রুপ। সামিটের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল। বিওওটি পদ্ধতিতে স্থাপিত এফএসআরইউ ১৫ বছর সামিট চালাবে। ২০৩৩ সালে এটি পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাসের দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে। এখান থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগের দিন জাহাজে থাকা ভাসমান এই টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো গেলেও, সিস্টেম জটিলতার কারণে আরেকটি সরানো যায়নি। যেটিতে মজুত ছিল প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সেন্টমার্টিনের মতো মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে, এই টার্মিনাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রূপান্তরিত প্রাকৃতি গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) সূত্র জানায়, মহেশখালীতে একটি সামিট গ্রুপের আরেকটি আমেরিকান কোম্পানির ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। দুটিতে প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত থাকে। এই দুটি টার্মিনাল থেকে মূলত চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আবাসিক এবং শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে আবাসিকে দেড় শ ও বাকিটা শিল্প খাতে।
আরপিজিসিএলের একজন কর্মকর্তা জানান, মহেশখালী উপকূলের কাছাকাছি ভাসমান দুটি টার্মিনাল এলএনজি থেকে জ্বালানি গ্যাস রুপান্তরিত করে। তারপর সেই গ্যাস পাইপের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের মতো বৈরী আবহাওয়া থাকলে এই দুটি ভাসমান টার্মিনালকে গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়। যখন উপকূল থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়, এর আগে গ্যাস সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করতে হয়। যখন গ্যাস দুটি ভাসমান টার্মিনাল মহেশখালী উপকূল ত্যাগ করে তখন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবাহ মূলত বন্ধ হয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত হানার আগের দিনও একই কাজটি করতে হয়েছে গ্যাস কোম্পানিকে। ওই দিন চট্টগ্রামে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়। এর পরপরই ভাসমান টার্মিনাল দুটিকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমেরিকান কোম্পানির টার্মিনালটি নিরাপদ জায়গায় সরাতে সক্ষম হলেও, সামিট গ্রুপের টার্মিনালটি সিস্টেম জটিলতার কারণে সরানো যায়নি। মোখা যখন কক্সবাজার উপকূল আঘাত হানা শুরু করে তখনো এই জাহাজটি মহেশখালী উপকূলে ভাসতে থাকে। ভাগ্য ভালো মোখা সেন্টমার্টিনে হয়ে মায়ানমারে আঘাত হানে। মহেশখালীসহ চট্টগ্রামের অন্য কোনো জায়গায় তেমন আঘাত হানেনি। ফলে বেঁচে যায় টার্মিনালটি।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের দিন ও পরে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের অন্যতম কারণ এই ভাসমান দুটি টার্মিনাল। কারণ আমাদের গ্যাস সরবরাহ মূলত এখান থেকেই আসত। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়, বাকিটা সিস্টেম জটিলতার কারণে সরানো যায়নি। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে মহেশখালী উপকূলে থাকা ভাসমান টার্মিনালটি ক্ষতি হতে পারত।’
আরপিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশ থেকে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ১১-১২ ডলারে কিনে আনা হয়। একটি জাহাজে করে যে পরিমাণ এলএনজি আনা হয় তা থেকে প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়।’
দেশে ২০১৮ সাল থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৪২০ কোটি ঘনফুট। মহেশখালীর সমুদ্রে বর্তমানে যে দুটি এফএসআরইউ রয়েছে সেখান থেকে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ১ বায়ুচাপে রেফ্রিজারেশন প্রক্রিয়ায় তরল করে এলএনজি পাওয়া যায়।
এলএনজির প্রধান উপাদান মিথেন, তবে সামান্য পরিমাণ ইথেন প্রপেন, বিউটেন, পেন্টেনসহ অন্যান্য হাইড্রো কার্বন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তর করলে এর আয়তন সংকুচিত হয়ে ৬০০ গুণ কমে যায়। ফলে এলএনজি পরিবহন করা সহজ হয়।
দেশের জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে ২০১০ সালেই এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই টার্মিনাল স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা। নির্মাণ, পরিচালনা ও স্থাপন (বিওওটি) পদ্ধতি এক্সিলারেট ২০১৭ সালে এই টার্মিনাল স্থাপন করে। গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট। ১৫ বছর পর ২০৩২ সালে এফএসআরইউ পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করবে এক্সিলারেট।
পাশেই দ্বিতীয় টার্মিনাল স্থাপন করে দেশীয় সামিট গ্রুপ। সামিটের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল। বিওওটি পদ্ধতিতে স্থাপিত এফএসআরইউ ১৫ বছর সামিট চালাবে। ২০৩৩ সালে এটি পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
৬ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিয়াড়া শ্মশান এলাকার নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগেউত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মধ্য রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এ সময় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। এমন অবস্থায় ভোগান্তি বেড়েছে অটোরিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের।
৩৪ মিনিট আগে