পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইউনিয়ন সমাজকর্মী আর সায়েরা খাতুন কারিগরি প্রশিক্ষক। লোকবল সংকটের অজুহাতে তাঁদের অফিসে একসঙ্গে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সায়েরা খাতুন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়েও অনেক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তিনি আগামী কমিটিতে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন। তবে এখন তিনি কোনো কমিটিতে নেই। অনিয়মের সঙ্গে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেনও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার অনন্তপুরের বৃদ্ধ কাজল আক্তারকে ফোন দিয়ে ১ হাজার টাকা নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসতে বলা হয়। কাজল আক্তার অসুস্থ থাকায় আসতে না পেরে নিকটাত্মীয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন মানিককে বিষয়টি জানান। মানিক মোবাইল অ্যাপসের সহযোগিতায় নম্বর যাচাই করে দেখেন ওই নম্বরের মালিক মাহবুবুর রহমান মোল্লা। সেখানে ভেসে ওঠা টাই পরা মোল্লা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। পরশুরাম সমাজসেবা অফিসের বিরুদ্ধে প্রতারণার এমন অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজি করে ভাতা আত্মসাৎ; টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্র দিয়ে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্বাবলম্বীদের ভাতাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা; বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে নিজেদের নম্বর দিয়ে দিনের পর দিন ভাতা আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী ও পিয়ন মিলে দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার গুথুমার এক ব্যক্তিকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেলে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সমাজসেবা অফিসে যেতে বলা হয়। হতদরিদ্র ভাতাভোগী বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে অবহিত করেন। ইমাম সাহেব উপজেলায় কর্মরত একজনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। সরকারি কর্মচারী ওই নম্বরে কল দিলে জানতে পারেন, তিনি সমাজসেবা অফিসের লোক।
এ বিষয়ে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন রুবেল অভিযোগ করেন, তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছালেহ আহাম্মদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় গত বছরের শুরুতে ভাতার জন্য আবেদন করে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু গত এক বছর তিনি কোনো ভাতা পাননি। এ বিষয়ে জানতে আবেদনকারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল বেশ কয়েকবার অফিসে মোল্লার কাছে যান। কিন্তু মোল্লা নানা অজুহাত দেখিয়ে আমেনার নাম তালিকাভুক্ত হয়নি বলে জানান।
চলতি মাসে ভাতার জন্য আবেদন শুরু হলে আবার ইউপি সদস্য ওই আমেনা খাতুনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যার তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। বিষয়টি ইউপি সদস্য রুবেল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি অনুসন্ধান করে দেখেন, আমেনার নামে এক বছর ধরে ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। তথ্য যাচাই করে দেখেন, আমেনার নামে ভাতা বরাদ্দ হলেও ভাতা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল আরও অভিযোগ করেন, তিনি ১৩টি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য মোল্লা ৫০০ টাকা করে সাড়ে ৬ হাজার টাকা তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন।
তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট সুবার বাজারের এক ভাতাভোগী ওয়াসিমের কাছে মোবাইলে ফোন দিয়ে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও টাকা দাবি করেন। একইভাবে মির্জানগর ইউনিয়নের ডিএম সাহেবনগর গ্রামের মনির আহাম্মদের কাছে ফোন দিয়ে তথ্য ও টাকা দাবি করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৪,৬৯৪ জন, বিধবা ভাতাভোগী ১,৪৪৭ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রয়েছেন ২,০১৯ জন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ৩২ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতাভোগী ৫৩ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৩১ জন।
উপজেলার তিনটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন, ভাতাভোগীদের ভাতা তালিকাভুক্ত হলেও অফিসে মোল্লার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ভাতাভোগীর বিভিন্ন কৌশলে নিজেরা ভাতা তুলে আত্মসাৎ করছেন।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো অভিযোগ করেন, নম্বর পাল্টে মোল্লা কৌশলে এসব ভাতা আত্মসাৎ করছেন। ভাতাভোগীদের নম্বর, নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য একাধিকবার যাচাই করা হয়। তাই নম্বর ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলার চিথলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন ও অফিস সহায়ক নবী হোসেনের সহযোগিতায় ভাগাভোগীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে তাঁদের ভাতা নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা তিনজন মিলে অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেন বলেন, ‘ভাতাভোগীদের সব তথ্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে থাকে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ থাকে না। অনিয়ম করলে সেটা কর্মকর্তা করতে পারেন। আমি একসময় সমাজসেবা প্রধান কার্যালয়ে ছিলাম। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকালীন আমি অনেক সহযোগিতা করেছি।’
কারিগরি প্রশিক্ষক সায়েরা খাতুন বলেন, ‘অফিসে জনবল সংকটের কারণে কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা অফিসে কাজ করছি। কারও কাজ থেকে কোনো টাকাপয়সা নেইনি। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা লোক পাঠালে আমি তো তাঁদের সহযোগিতা করি। কিন্তু কখনো টাকা চাইনি। কিন্তু কেন তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন সেটা বুঝতেছি না।’
কাজল আক্তারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, কোনো প্রতারক চক্র তাঁর ছবি ব্যবহার করে তাঁর নামে মোবাইল সিম কিনে লোকজনের কাছে টাকা দাবি করছেন। তিনি কাজল আক্তারের কাছে টাকা দাবি করেননি। একইভাবে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁর অফিসে লোকবলের সংকট রয়েছে। তবে মোল্লা, সায়েরা ও অফিস সহায়ক নবীর বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো তিনি জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া সতর্ক করার পরও ভাতাভোগীরা মোল্লার সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেন করেন। তিনি জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তারপরও টাকাপয়সা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইউনিয়ন সমাজকর্মী আর সায়েরা খাতুন কারিগরি প্রশিক্ষক। লোকবল সংকটের অজুহাতে তাঁদের অফিসে একসঙ্গে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সায়েরা খাতুন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়েও অনেক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তিনি আগামী কমিটিতে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন। তবে এখন তিনি কোনো কমিটিতে নেই। অনিয়মের সঙ্গে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেনও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার অনন্তপুরের বৃদ্ধ কাজল আক্তারকে ফোন দিয়ে ১ হাজার টাকা নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসতে বলা হয়। কাজল আক্তার অসুস্থ থাকায় আসতে না পেরে নিকটাত্মীয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন মানিককে বিষয়টি জানান। মানিক মোবাইল অ্যাপসের সহযোগিতায় নম্বর যাচাই করে দেখেন ওই নম্বরের মালিক মাহবুবুর রহমান মোল্লা। সেখানে ভেসে ওঠা টাই পরা মোল্লা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। পরশুরাম সমাজসেবা অফিসের বিরুদ্ধে প্রতারণার এমন অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজি করে ভাতা আত্মসাৎ; টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্র দিয়ে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্বাবলম্বীদের ভাতাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা; বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে নিজেদের নম্বর দিয়ে দিনের পর দিন ভাতা আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী ও পিয়ন মিলে দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার গুথুমার এক ব্যক্তিকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেলে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সমাজসেবা অফিসে যেতে বলা হয়। হতদরিদ্র ভাতাভোগী বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে অবহিত করেন। ইমাম সাহেব উপজেলায় কর্মরত একজনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। সরকারি কর্মচারী ওই নম্বরে কল দিলে জানতে পারেন, তিনি সমাজসেবা অফিসের লোক।
এ বিষয়ে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন রুবেল অভিযোগ করেন, তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছালেহ আহাম্মদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় গত বছরের শুরুতে ভাতার জন্য আবেদন করে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু গত এক বছর তিনি কোনো ভাতা পাননি। এ বিষয়ে জানতে আবেদনকারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল বেশ কয়েকবার অফিসে মোল্লার কাছে যান। কিন্তু মোল্লা নানা অজুহাত দেখিয়ে আমেনার নাম তালিকাভুক্ত হয়নি বলে জানান।
চলতি মাসে ভাতার জন্য আবেদন শুরু হলে আবার ইউপি সদস্য ওই আমেনা খাতুনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যার তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। বিষয়টি ইউপি সদস্য রুবেল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি অনুসন্ধান করে দেখেন, আমেনার নামে এক বছর ধরে ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। তথ্য যাচাই করে দেখেন, আমেনার নামে ভাতা বরাদ্দ হলেও ভাতা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল আরও অভিযোগ করেন, তিনি ১৩টি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য মোল্লা ৫০০ টাকা করে সাড়ে ৬ হাজার টাকা তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন।
তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট সুবার বাজারের এক ভাতাভোগী ওয়াসিমের কাছে মোবাইলে ফোন দিয়ে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও টাকা দাবি করেন। একইভাবে মির্জানগর ইউনিয়নের ডিএম সাহেবনগর গ্রামের মনির আহাম্মদের কাছে ফোন দিয়ে তথ্য ও টাকা দাবি করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৪,৬৯৪ জন, বিধবা ভাতাভোগী ১,৪৪৭ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রয়েছেন ২,০১৯ জন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ৩২ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতাভোগী ৫৩ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৩১ জন।
উপজেলার তিনটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন, ভাতাভোগীদের ভাতা তালিকাভুক্ত হলেও অফিসে মোল্লার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ভাতাভোগীর বিভিন্ন কৌশলে নিজেরা ভাতা তুলে আত্মসাৎ করছেন।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো অভিযোগ করেন, নম্বর পাল্টে মোল্লা কৌশলে এসব ভাতা আত্মসাৎ করছেন। ভাতাভোগীদের নম্বর, নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য একাধিকবার যাচাই করা হয়। তাই নম্বর ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলার চিথলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন ও অফিস সহায়ক নবী হোসেনের সহযোগিতায় ভাগাভোগীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে তাঁদের ভাতা নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা তিনজন মিলে অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেন বলেন, ‘ভাতাভোগীদের সব তথ্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে থাকে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ থাকে না। অনিয়ম করলে সেটা কর্মকর্তা করতে পারেন। আমি একসময় সমাজসেবা প্রধান কার্যালয়ে ছিলাম। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকালীন আমি অনেক সহযোগিতা করেছি।’
কারিগরি প্রশিক্ষক সায়েরা খাতুন বলেন, ‘অফিসে জনবল সংকটের কারণে কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা অফিসে কাজ করছি। কারও কাজ থেকে কোনো টাকাপয়সা নেইনি। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা লোক পাঠালে আমি তো তাঁদের সহযোগিতা করি। কিন্তু কখনো টাকা চাইনি। কিন্তু কেন তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন সেটা বুঝতেছি না।’
কাজল আক্তারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, কোনো প্রতারক চক্র তাঁর ছবি ব্যবহার করে তাঁর নামে মোবাইল সিম কিনে লোকজনের কাছে টাকা দাবি করছেন। তিনি কাজল আক্তারের কাছে টাকা দাবি করেননি। একইভাবে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁর অফিসে লোকবলের সংকট রয়েছে। তবে মোল্লা, সায়েরা ও অফিস সহায়ক নবীর বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো তিনি জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া সতর্ক করার পরও ভাতাভোগীরা মোল্লার সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেন করেন। তিনি জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তারপরও টাকাপয়সা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে