পকেটে লুকিয়ে ব্যালট পেপার সরানোর অভিযোগে আটক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জেলহাজতে

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৩০
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ১৯

তৃতীয় ধাপে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট সরানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণের দিন ১৬১টি ব্যালট কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তর ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি বদরখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। 

কেন্দ্রের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে ব্যালট পেপারসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে চকরিয়া থানায় মামলা হয়। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের নির্দেশে মামলা রুজু করেন চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং পূর্ব বড় ভেওলা ও বদরখালী ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী। ওই মামলায় মুজিবুর রহমানকে আসামি করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণের দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিজের প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে কিছু ব্যালট পেপার নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হলেই কেন্দ্রের দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মুজিবুর রহমানের কিছু সময় বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। 

এ বিষয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হওয়ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এরপর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে দ্বিতীয় তলায় ৩ নম্বর পোলিং বুথে নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের প্যান্টের দুই পকেট থেকে ১৬১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। 

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ৫১টি, সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীর ৬০টি এবং সাধারণ সদস্য পদের ৫৫টি ব্যালট পেপার ছিল। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক মো. ইকরামুল হক ব্যালট পেপারগুলো জব্দ করেন। 

মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘ব্যালট পেপার সরানোর সময় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে হাতেনাতে ধরেন। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে মামলার অনুমতি পাওয়ার পর গত সোমবার রাতে তাঁর নামে মামলা করা হয়েছে।’ 

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, বদরখালী কলেজ অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত