চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ঘারমোরা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন হলে উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের রাজিব মিয়া এবং শাহ আলম। সংঘর্ষে তাদের পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তাঁরা কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাকতালে ভর্তি আছেন।
এ দিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে। গত শুক্রবার বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে পাশের হুজুর কান্দি গ্রামের রাসেল ইমরান অন্তরসহ ৮ / ৯ জন ছেলে গিয়ে মেয়েদের ছবি ওঠাতে থাকে। এ সময় বড় ঘারমোড়া গ্রামের কয়েকজন ছেলে এসব ছবি ডিলিট করতে বলে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়া বাজারে আসলে তাঁকে মারধর করে হুজুর কান্দি গ্রামের কয়েকজন ছেলে।
এ ঘটনায় আওয়াল মিয়ার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে হুজুর কান্দি গ্রামের ১৫ জনকে আসামি করে ওইদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হুজুর কান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন ঘাড়মোড়া বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়া জানান, হুজুর কান্দি গ্রামের কয়েকজন বখাটে ছেলে তাঁদের বাড়িতে এসে মেয়েদের ছবি ওঠায়। ছবি ডিলেট করতে বলায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের গ্রামের লোকজনকে মারধর করেন। শনিবার বাজারে গেলে তাঁকে হুজুর কান্দি গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজকে সকালে হুজুর কান্দি গ্রামের লোকজন তাঁদের গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা করে। হামলাকরীদের গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ তাদের ১৫ জন্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
হুজুর কান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গ্রামের ছেলেদের নিয়ে সমস্যাটি আমরা মিটমাট করার জন্য চেষ্টা করছিলাম। এই সময় বড় ঘারমোরা গ্রামের লোকজন আমাদের গ্রামের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের ১০ / ১৫ জনকে আহত করেছে তারা। আমাদের লোকজন কোন গুলি চালায়নি। বরং তাদের ইটের আঘাতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।’
ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ছেলেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গত শনিবারও একজনকে মারার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। আজকে (রোববার) আমরা বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বসলে হুজুর কান্দি ও বড় ঘারমোরা গ্রামের লোকজন নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কায়েছ আকন্দ বলেন, ‘বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে একজন এয়ারগান নিয়ে এসেছিল বলে শুনেছি। তবে গুলির বিষয়ে আমি বলতে পারব না। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’
কুমিল্লার হোমনায় বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ঘারমোরা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন হলে উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের রাজিব মিয়া এবং শাহ আলম। সংঘর্ষে তাদের পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তাঁরা কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাকতালে ভর্তি আছেন।
এ দিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে। গত শুক্রবার বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে পাশের হুজুর কান্দি গ্রামের রাসেল ইমরান অন্তরসহ ৮ / ৯ জন ছেলে গিয়ে মেয়েদের ছবি ওঠাতে থাকে। এ সময় বড় ঘারমোড়া গ্রামের কয়েকজন ছেলে এসব ছবি ডিলিট করতে বলে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়া বাজারে আসলে তাঁকে মারধর করে হুজুর কান্দি গ্রামের কয়েকজন ছেলে।
এ ঘটনায় আওয়াল মিয়ার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে হুজুর কান্দি গ্রামের ১৫ জনকে আসামি করে ওইদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হুজুর কান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন ঘাড়মোড়া বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়া জানান, হুজুর কান্দি গ্রামের কয়েকজন বখাটে ছেলে তাঁদের বাড়িতে এসে মেয়েদের ছবি ওঠায়। ছবি ডিলেট করতে বলায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের গ্রামের লোকজনকে মারধর করেন। শনিবার বাজারে গেলে তাঁকে হুজুর কান্দি গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজকে সকালে হুজুর কান্দি গ্রামের লোকজন তাঁদের গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা করে। হামলাকরীদের গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ তাদের ১৫ জন্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
হুজুর কান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গ্রামের ছেলেদের নিয়ে সমস্যাটি আমরা মিটমাট করার জন্য চেষ্টা করছিলাম। এই সময় বড় ঘারমোরা গ্রামের লোকজন আমাদের গ্রামের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের ১০ / ১৫ জনকে আহত করেছে তারা। আমাদের লোকজন কোন গুলি চালায়নি। বরং তাদের ইটের আঘাতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।’
ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ছেলেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গত শনিবারও একজনকে মারার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। আজকে (রোববার) আমরা বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বসলে হুজুর কান্দি ও বড় ঘারমোরা গ্রামের লোকজন নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কায়েছ আকন্দ বলেন, ‘বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে একজন এয়ারগান নিয়ে এসেছিল বলে শুনেছি। তবে গুলির বিষয়ে আমি বলতে পারব না। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’
সংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকার সৈকতে মৃতদেহ দুইটি ভেসে এসেছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ
৪ মিনিট আগেমামলাযোগ্য হলে অবশ্যই ওসিদের মামলা নিতে হবে। মামলা না নিলে সেই থানার ওসিকে এক মিনিটে সাসপেন্ড করা হবে। আমি বলে দিয়েছি- মাসে ৫০০ মামলা হবে। কোনো ঘটনা ঘটলে মামলা নেবে না, তা হবে না...
৭ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে আবারও রাস্তা অবরোধ করেছেন চালকেরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন তাঁরা। ফলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আগারগাঁও সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
১০ মিনিট আগে