সেতু আছে সড়ক নেই, দুর্ভোগে মানুষ

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৫০
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৮

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার সীতারামপাড়া থেকে লুলাংছড়িতে তিনটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। এসব সেতু চার বছর আগে নির্মিত হলেও সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৭ সালে সেতুগুলো নির্মাণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর গাইড দেয়ালে মাটি ভরাট না করে সব বিল উত্তোলন করে নেয়। পরে স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় মাটি ভরাট করে কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী করে তোলে। চার বছর ধরে জরাজীর্ণ রাস্তা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের (আরআইডিপি-১) আওতায় জুরাছড়ি ইউনিয়নের মিতিংগাছড়ি-লুলাংছড়ি সংযোগ সড়ক উন্নয়নে তিনটি সেতু নির্মিত হয়। রাস্তার পূর্বে প্রথমটি ২২ ফুট, দ্বিতীয়টি ১৮ ফুট, তৃতীয়টি ১৬ ফুট। তিনটি সেতু নির্মাণে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়। 

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, জমির মধ্যে নির্মাণাধীন সেতুগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর দুই দিকে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। সীতারামপাড়া থেকে লুলাংছড়ি সংযোগ কাঁচা রাস্তাটি স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে করা। সেটিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় রাস্তাটি নাজুক হয়ে পড়েছে। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করছে যাত্রীবাহী মোটরবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও জিপ গাড়ি। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। 

সেতু আছে সড়ক নেইবেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে এ দুই এলাকার মানুষ। সীতারামপাড়া থেকে লুলাংছড়ি সংযোগ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাফেরাসহ যানবাহন যাতায়াত করে। এই রাস্তা বেয়ে উপজেলার জুরাছড়ি, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। 

স্থানীয় কারবারি জ্ঞানেশ্বর চাকমা আক্ষেপ করে বলেন, ‘এত টাকা দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হলো, অথচ চার বছরেও রাস্তা হলো না।’ 

স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য কিরণ কুমার চাকমা বলেন, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুগুলোর দুপাশে কোনো রকমে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছে। এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাফেরা করে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, কম বরাদ্দের কারণে সড়কটি নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সড়কটি তিন ইউনিয়নের একমাত্র সড়ক। তাই সড়কটি নির্মাণে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এগিয়ে এলে ভালো হবে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘এই রাস্তা জনবান্ধব। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত