রাঙামাটি শহরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ১, আঞ্চলিক পরিষদে আগুন

রাঙামাটি প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৫
Thumbnail image

রাঙামাটি শহরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন পাহাড়ি যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন। নিহতেন নাম-ঠিকানা পায়নি পুলিশ ও রাঙামাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

এ ঘটনায় পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যালয়সহ, বনরুপা, দক্ষিণ কালিন্দপুর, বিজন সারণি, উত্তর কালিন্দপুর, হাসপাতাল এলাকাসহ একাধিক এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকদের বাইকসহ শতাধিক যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। রাঙামাটি জেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসের যানবাহন। 

এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি বহাল থাকবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে রাঙামাটিতে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। মিছিলটি বনরুপা বাজারে পৌঁছালে পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদে হামলা করা হচ্ছে গুজব ছড়িয়ে বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর চড়াও হয়। বনরুপা বাজারে হামলা ও আগুন দেওয়া হয় একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এরপর পুরো শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

রাঙামাটি আঞ্চলিক পরিষদের সামনে রাখা গাড়িতে আগুন । ছবি: সংগৃহীতবিভিন্ন এলাকায় আহতের খবর পাওয়া গেলেও হাসপাতালে একজনের অজ্ঞাত লাশ আনা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৩ জন। এর মধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়েছেন রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আরএমও ডা শওকত আকবর খান।

এদিকে একাধিক এলাকায় আহতের খবর পাওয়া গেলেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছে না আহতরা।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত