এই কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পিটানো হয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ২৩: ৪৩

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেত্রাঘাত বা অন্য যেকোনো ভাবে মারধর নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু চট্টগ্রামের হালিশহরে জে. পি ইনোভেটিভ নামে একটি কোচিং সেন্টারে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। সেটি স্বীকারও করেছেন কোচিং সেন্টারটির এক শিক্ষক। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীকে মেরে হাত রক্তাক্ত করার ঘটনার পর সেটি প্রকাশ্যে এল।

শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, কোচিং সেন্টারের বেতন দিতে মাত্র দুই দিন দেরি হওয়ায় ছাত্রকে মারধর করেছেন কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক। বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগীর অভিভাবক সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে দেখানো হয়নি।

আজ রোববার সকালে কোচিং সেন্টারটিতে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের আগে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে ঘণ্টাখানেক আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অভিভাবক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইশমাম। সে ৬ষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত ব্যাচের ছাত্র। মারধরকারী শিক্ষক আবু সালেহ অষ্টম শ্রেণি ব্যাচের ইনচার্জ।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘কোচিংয়ে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বেতন দিতে হয়। চলতি মাসের বেতন দিতে দুই দিন দেরি হওয়ায় আমার ছেলেকে আটকে রাখা হয়। পরে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইনচার্জকে ফোন দিয়ে কাল যাব বলে জানাই এবং আমার ছেলেকে ছেড়ে দিতে বলি। অষ্টম শ্রেণির ইনচার্জ আমার ছেলেকে হাতের তালুতে লেদারের স্কেল দিলে প্রচণ্ড মারধর করেছে। তার হাত থেকে রক্ত বের হয়েছে।’

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবু সালেহ। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে মারধর করি নাই। একসঙ্গে অনেকজন থাকায় হয়তো অন্য কাউকে মারার সময় তার হাতে একটু লাগতে পারে।’

কোচিংয়ে মারধর করা হয় নাকি? এমন প্রশ্নে আবু সালেহ বলেন, ‘মাঝেমধ্যে করা হয়।’ আজকের সিসিটিভি ফুটেজ আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আগে থেকে সিসিটিভি বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে জানতে কোচিংয়ের মালিক ও পরিচালক মো. জুয়েলকে তাঁর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে প্রথমে কেটে দেন। পরে এসএমএস পাঠালেও সাড়া দেননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত