খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামা
বান্দরবানের লামার একমাত্র শিশুপার্ক ভেঙে চারতলা উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে তিনতলা শেষ করে চলছে চারতলার কাজ। এদিকে তিন দশকের মাঠ দখল হয়ে যাওয়ায় খেলাধুলাও করতে পারছে না শিশু–কিশোরেরা।
উপজেলা সদরের কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় মাঠ থাকলেও সেখানে সবার প্রবেশ নিষেধ। উপজেলা প্রশাসনের পাশে একটি শিশুপার্ক থাকলেও এত দিনের অযত্ন-অবহেলায় খেলার সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়। কিন্তু শিশুপার্কের খেলার সামগ্রী মেরামত বা নতুন স্থাপন না করে উল্টো শিশুপার্কটি ভেঙে ভবন নির্মাণ করছে উপজেলা পরিষদ।
উপজেলার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, উপজেলার একমাত্র শিশুপার্কটি ভেঙে ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণকাজ চলছে। ভবনটি চলতি বছরে সম্পন্ন হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে শুরু হওয়া চারতলা পরিষদ ভবনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের ২১ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে জেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা বিনোদন ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এতে মেধাবিকাশের পথ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি উঠে আসছে না সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিশু–কিশোরদের জন্য ১৯৯০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের পাশের ৩০ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘শিশু উদ্যান’ নামক শিশুপার্কটি। তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এম এ বারী এর উদ্বোধন করেন। উপজেলা প্রশাসনের অধীন এটি শিশুপার্কটি শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার একমাত্র আনন্দের ব্যবস্থা ছিল।
লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ও লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব বলেন, শিশুদের জন্য পৌর ভবনের চার পাশে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন করে শিশুপার্ক না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো অভিভাবকেরা চাইলে এখানে শিশুদের নিয়ে আসতে পারেন।
লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলোভা ও এনায়েত জানান, বর্তমানে উপজেলায় কোনো শিশুপার্ক না থাকায় তারা খেলার কোনো সুযোগ পায় না। এখন করোনা মহামারি চলছে। বিদ্যালয় বন্ধ। এখন ঘরেই বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু স্কুল খুললেও খেলার সুযোগ পাবে না ভেবে আক্ষেপ করে তারা। একই কথা বলে চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলে, স্কুলের মাঠ আছে, অথচ তারা খেলতে পারছে না। মাঠের যত্রতত্র গর্ত ও সবসময় পানি জমে থাকার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলার ফুটবল খেলোয়াড় টিং টিং মারমা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নিষেধ থাকায় লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সাধারণ শিশু–কিশোরদের খেলার কোনো সুযোগ নেই। লামা মাদ্রাসা ও লামা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একই অবস্থা। মাঠগুলো বিকেলে খেলাধুলার জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিলে লেখাপড়ার পাশাপাশি শরীরচর্চা করত সবাই।
টিং টিং মারমা জানান, চাম্পাতলী আনসার ক্যাম্পের মাঠটিতে তাঁরা নিজেরাই খেলাধুলা করে থাকেন। এ কারণেও ছোট ছেলেমেয়েদের সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করা সম্ভবও হয় নয়।
এদিকে লাইনঝিরি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠটি কয়েক দশক ধরে ইট আর নির্মাণসামগ্রীর দখলে। এ মাঠেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না শিশু-কিশোরেরা। ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল আর ঘরের চার দেয়ালে বন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে লামার হাজারো শিক্ষার্থী।
লামা ইউএনও মো. রেজা রশিদ বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবন ছাড়াও কমপাউন্ডের ভেতর আরও ভবনের কাজ চলছে। এসব নির্মাণ সম্পন্ন হলে একটি জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে শিশুপার্ক করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুপার্কে খেলাধুলার সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এগুলো ভেঙে উপজেলা পরিষদ ভবন করা হচ্ছে। তবে ভবনটি নির্মাণ শেষে নতুন করে শিশুপার্ক করা হবে।
বান্দরবানের লামার একমাত্র শিশুপার্ক ভেঙে চারতলা উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে তিনতলা শেষ করে চলছে চারতলার কাজ। এদিকে তিন দশকের মাঠ দখল হয়ে যাওয়ায় খেলাধুলাও করতে পারছে না শিশু–কিশোরেরা।
উপজেলা সদরের কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় মাঠ থাকলেও সেখানে সবার প্রবেশ নিষেধ। উপজেলা প্রশাসনের পাশে একটি শিশুপার্ক থাকলেও এত দিনের অযত্ন-অবহেলায় খেলার সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়। কিন্তু শিশুপার্কের খেলার সামগ্রী মেরামত বা নতুন স্থাপন না করে উল্টো শিশুপার্কটি ভেঙে ভবন নির্মাণ করছে উপজেলা পরিষদ।
উপজেলার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, উপজেলার একমাত্র শিশুপার্কটি ভেঙে ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণকাজ চলছে। ভবনটি চলতি বছরে সম্পন্ন হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে শুরু হওয়া চারতলা পরিষদ ভবনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের ২১ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে জেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা বিনোদন ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এতে মেধাবিকাশের পথ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি উঠে আসছে না সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিশু–কিশোরদের জন্য ১৯৯০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের পাশের ৩০ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘শিশু উদ্যান’ নামক শিশুপার্কটি। তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এম এ বারী এর উদ্বোধন করেন। উপজেলা প্রশাসনের অধীন এটি শিশুপার্কটি শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার একমাত্র আনন্দের ব্যবস্থা ছিল।
লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ও লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব বলেন, শিশুদের জন্য পৌর ভবনের চার পাশে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন করে শিশুপার্ক না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো অভিভাবকেরা চাইলে এখানে শিশুদের নিয়ে আসতে পারেন।
লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলোভা ও এনায়েত জানান, বর্তমানে উপজেলায় কোনো শিশুপার্ক না থাকায় তারা খেলার কোনো সুযোগ পায় না। এখন করোনা মহামারি চলছে। বিদ্যালয় বন্ধ। এখন ঘরেই বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু স্কুল খুললেও খেলার সুযোগ পাবে না ভেবে আক্ষেপ করে তারা। একই কথা বলে চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলে, স্কুলের মাঠ আছে, অথচ তারা খেলতে পারছে না। মাঠের যত্রতত্র গর্ত ও সবসময় পানি জমে থাকার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলার ফুটবল খেলোয়াড় টিং টিং মারমা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নিষেধ থাকায় লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সাধারণ শিশু–কিশোরদের খেলার কোনো সুযোগ নেই। লামা মাদ্রাসা ও লামা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একই অবস্থা। মাঠগুলো বিকেলে খেলাধুলার জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিলে লেখাপড়ার পাশাপাশি শরীরচর্চা করত সবাই।
টিং টিং মারমা জানান, চাম্পাতলী আনসার ক্যাম্পের মাঠটিতে তাঁরা নিজেরাই খেলাধুলা করে থাকেন। এ কারণেও ছোট ছেলেমেয়েদের সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করা সম্ভবও হয় নয়।
এদিকে লাইনঝিরি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠটি কয়েক দশক ধরে ইট আর নির্মাণসামগ্রীর দখলে। এ মাঠেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না শিশু-কিশোরেরা। ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল আর ঘরের চার দেয়ালে বন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে লামার হাজারো শিক্ষার্থী।
লামা ইউএনও মো. রেজা রশিদ বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবন ছাড়াও কমপাউন্ডের ভেতর আরও ভবনের কাজ চলছে। এসব নির্মাণ সম্পন্ন হলে একটি জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে শিশুপার্ক করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুপার্কে খেলাধুলার সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এগুলো ভেঙে উপজেলা পরিষদ ভবন করা হচ্ছে। তবে ভবনটি নির্মাণ শেষে নতুন করে শিশুপার্ক করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৮ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে