লোকমান হাকিম, মহেশখালী (কক্সবাজার)
মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৬ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে