কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুমিল্লা প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ২৫
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ১০
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম।

অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছিল একটি অসাধু চক্র। এ ছাড়া প্রতিবার দখলদার উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।  

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা সবজির বাজার নিমসারে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনের জায়গা দখল করে রাজনৈতিক প্রভাবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকান। সে সব দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা তোলা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে দেশের এই বৃহত্তম কাঁচাবাজার থেকে খাজনা আদায়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধে এই দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান। মহাসড়কের জায়গায় কেউ অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে যানজট কিংবা ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারবে না।  

সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে নিমসার বাজারকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সড়ক বিভাগ কিংবা প্রশাসন কারও কোনো অনুমতি নেই। এ ছাড়া সড়ক বিভাজক ব্যবহার করেও ব্যবসা করছে অনেকে। যে কারণে রাতে ও ভোরবেলায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত