পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩১
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪৩

কুমিল্লায় মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলায় অভিযুক্ত সেই ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে ইকবালকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইকবালের গ্রেপ্তার মঞ্জুর করা হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল। এ ঘটনার মামলাগুলো হচ্ছে বেগমগঞ্জ থানার মামলা নম্বর-২৭, ১৯ ও ৩১ এবং কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা নম্বর ১৪। 

জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি এবং কোম্পানীগঞ্জে মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাগুলো সিআইডি নোয়াখালী তদন্ত করেছে। বেগমগঞ্জের তিনটি মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সোনিয়া আক্তার এবং কোম্পানীগঞ্জের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদ আসামি মো. ইকবালের উপস্থিতিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। 

সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জানান, চারটি মামলায় আসামি ইকবালের গ্রেপ্তার চেয়ে আবেদন করে সকালে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। যে চারটি মামলায় আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা সিএআইডির পৃথক চারজন্য কর্মকর্তা আলাদা তদন্ত করছেন।

প্রসঙ্গত, বেগমগঞ্জে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১৩ মামলার মধ্যে ছয়টি সিআইডি ও ছয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং আরও একটি বেগমগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। গত বছরের (২০২১ সালের) ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন। পরে হিন্দুদের পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় ইসকনের ভক্ত যতন সাহা (৪২) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬) নিহত হন। আহত হন পুলিশের চার সদস্যসহ অর্ধশতাধিক। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত