এস এম আক্কাছ উদ্দিন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
যতক্ষণ পাঠকের হাতে গরম তরতাজা সংবাদপত্র তুলে দিতে না পারছেন, ততক্ষণ মাথায় রাজ্যের চিন্তা। পত্রিকা পাঠকের হাতে দেওয়ার পর দুশ্চিন্তা কমে তাঁর। বৃষ্টি-বাদল বা স্বজনবিয়োগের শোক—কিছুই থামাতে পারে না তাঁকে। পুরোনো আধভাঙা সাইকেল নিয়ে তিন জেলায় বিচরণ মানু চন্দ্র মহাজনের।
প্রতিদিন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট বাজার থেকে পত্রিকা বিলি শুরু করেন। ৩৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খিরাম গ্রাম হয়ে পৌঁছান রাঙামাটি জেলার দুর্গম কাউখালী উপজেলার বর্মাছড়ি বাজার, বাঘছড়ি, কালো পাহাড় আর খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার মধ্যম বর্মাছড়িতে। এসব দুর্গম অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সংবাদপাঠের চাহিদা মিটিয়ে আসছেন মানু চন্দ্র মহাজন। তবে প্রতিদিনের কাগজ সব পাঠকের কাছে পৌঁছানো অনেক সময় সম্ভব হয় না তাঁর। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার পুরো সপ্তাহের কাগজ তুলে দেন না পাওয়া অনেক পাঠকদের হাতে।
সম্প্রতি মানু চন্দ্র মহাজনের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর সাইকেলের সামনে ও পেছনের ক্যারিয়ারে জাতীয়, স্থানীয়, সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন মাসিক পত্রিকার বোঝা। দেখা যায়, মুখে লেগে আছে পানের পিক। নাকের ডগায় উড়ছে সিগারেটের ধোঁয়া। শান্ত ও প্রাণবন্ত চেহারায় নির্মল হাসি। বয়স আটান্নর কাছাকাছি। তবে চলনে তারুণ্যের গতি। পশ্চাতে ফিরে তাকানোর সময় নেই তাঁর। অবিরাম ছুটছেন তো ছুটছেনই। মেঠো পথে ধুলোয় ভরা পোশাক আর গায়ের ঝরা ঘামই বলে দেয় মানুষটি কত পরিশ্রমী। সবুজ অরণ্যের মাঝে নির্জনে গান গেয়ে পাহাড়ি উঁচু-নিচু-ঢালু পথ মাড়িয়ে বর্ষায় ভিজে, গরমে পুড়ে নিরন্তর এগিয়ে চলেন। বাহন তাঁর সাঁইত্রিশ বছরের পুরোনো সঙ্গী বাইসাইকেল। যেটা তাঁর লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার। জীবনযুদ্ধের পরম বন্ধু। যার ওপর ভর করেই তাঁর পথচলা।
মানু চন্দ্র মহাজন বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম গ্রামের মহাজন বাড়িতে তাঁর জন্ম। স্ত্রী,২ ছেলে এবং ২ কন্যা সন্তান নিয়েই সংসার। জীবনটাকে বড় উপভোগ করেন মানু। কর্মের মাঝেই মজা পান, তৃপ্ত হন তিনি। আর তাতেই চলে সংসার।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সব মিলিয়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই শ পত্রিকা বিক্রি করেন। শনি ও মঙ্গলবার পত্রিকা আরও বেশি বিক্রি হয়। নতুন খবর থাকলে পত্রিকা বিক্রিও হয় বেশি। আয়-রোজগার বেশি হলে সংসারেও প্রশান্তি আসে।
উপজেলার বর্মাচড়ি বাজারের ব্যবসায়ী দৈনিক সংবাদপত্র পাঠক কাঁদি চাকমা ও ডা. উষা কিরণ বলেন, মানুর ঘামঝরা শ্রম ও ত্যাগে তাঁরা দেশ-বিদেশের দৈনন্দিন খবর পান। অন্ধকারেই আলো জ্বালানো এই মানুষটির দীর্ঘায়ু কামনা করেন তাঁরা।
সর্তা বনবিট কর্মকর্তা শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ‘মানুর বদান্যতায় অজপাড়া গাঁয়ে আমরা নিয়মিত সংবাদপত্র হাতে পাই। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ মাইল সাইকেলে করে তিনি খবর বিলিয়ে যাচ্ছেন।’
যতক্ষণ পাঠকের হাতে গরম তরতাজা সংবাদপত্র তুলে দিতে না পারছেন, ততক্ষণ মাথায় রাজ্যের চিন্তা। পত্রিকা পাঠকের হাতে দেওয়ার পর দুশ্চিন্তা কমে তাঁর। বৃষ্টি-বাদল বা স্বজনবিয়োগের শোক—কিছুই থামাতে পারে না তাঁকে। পুরোনো আধভাঙা সাইকেল নিয়ে তিন জেলায় বিচরণ মানু চন্দ্র মহাজনের।
প্রতিদিন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট বাজার থেকে পত্রিকা বিলি শুরু করেন। ৩৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খিরাম গ্রাম হয়ে পৌঁছান রাঙামাটি জেলার দুর্গম কাউখালী উপজেলার বর্মাছড়ি বাজার, বাঘছড়ি, কালো পাহাড় আর খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার মধ্যম বর্মাছড়িতে। এসব দুর্গম অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সংবাদপাঠের চাহিদা মিটিয়ে আসছেন মানু চন্দ্র মহাজন। তবে প্রতিদিনের কাগজ সব পাঠকের কাছে পৌঁছানো অনেক সময় সম্ভব হয় না তাঁর। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার পুরো সপ্তাহের কাগজ তুলে দেন না পাওয়া অনেক পাঠকদের হাতে।
সম্প্রতি মানু চন্দ্র মহাজনের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর সাইকেলের সামনে ও পেছনের ক্যারিয়ারে জাতীয়, স্থানীয়, সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন মাসিক পত্রিকার বোঝা। দেখা যায়, মুখে লেগে আছে পানের পিক। নাকের ডগায় উড়ছে সিগারেটের ধোঁয়া। শান্ত ও প্রাণবন্ত চেহারায় নির্মল হাসি। বয়স আটান্নর কাছাকাছি। তবে চলনে তারুণ্যের গতি। পশ্চাতে ফিরে তাকানোর সময় নেই তাঁর। অবিরাম ছুটছেন তো ছুটছেনই। মেঠো পথে ধুলোয় ভরা পোশাক আর গায়ের ঝরা ঘামই বলে দেয় মানুষটি কত পরিশ্রমী। সবুজ অরণ্যের মাঝে নির্জনে গান গেয়ে পাহাড়ি উঁচু-নিচু-ঢালু পথ মাড়িয়ে বর্ষায় ভিজে, গরমে পুড়ে নিরন্তর এগিয়ে চলেন। বাহন তাঁর সাঁইত্রিশ বছরের পুরোনো সঙ্গী বাইসাইকেল। যেটা তাঁর লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার। জীবনযুদ্ধের পরম বন্ধু। যার ওপর ভর করেই তাঁর পথচলা।
মানু চন্দ্র মহাজন বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম গ্রামের মহাজন বাড়িতে তাঁর জন্ম। স্ত্রী,২ ছেলে এবং ২ কন্যা সন্তান নিয়েই সংসার। জীবনটাকে বড় উপভোগ করেন মানু। কর্মের মাঝেই মজা পান, তৃপ্ত হন তিনি। আর তাতেই চলে সংসার।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সব মিলিয়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই শ পত্রিকা বিক্রি করেন। শনি ও মঙ্গলবার পত্রিকা আরও বেশি বিক্রি হয়। নতুন খবর থাকলে পত্রিকা বিক্রিও হয় বেশি। আয়-রোজগার বেশি হলে সংসারেও প্রশান্তি আসে।
উপজেলার বর্মাচড়ি বাজারের ব্যবসায়ী দৈনিক সংবাদপত্র পাঠক কাঁদি চাকমা ও ডা. উষা কিরণ বলেন, মানুর ঘামঝরা শ্রম ও ত্যাগে তাঁরা দেশ-বিদেশের দৈনন্দিন খবর পান। অন্ধকারেই আলো জ্বালানো এই মানুষটির দীর্ঘায়ু কামনা করেন তাঁরা।
সর্তা বনবিট কর্মকর্তা শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ‘মানুর বদান্যতায় অজপাড়া গাঁয়ে আমরা নিয়মিত সংবাদপত্র হাতে পাই। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ মাইল সাইকেলে করে তিনি খবর বিলিয়ে যাচ্ছেন।’
২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
২৫ মিনিট আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজ (নতুন ভবন) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসেমিনারে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। গণ-আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষাকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগে