ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: ৫০ বছর পর জয় পেল আ. লীগের প্রার্থী

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা প্রতীক) প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান সাজু বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আজ রোববার ভোট গ্রহণ শেষে রাত ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। 

নির্বাচনে ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান সাজু পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন তিন হাজার ১৮৬ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট। 

এদিকে ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারা, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছাকৃত গড় মিলসহ অনিয়মের অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। 

অন্যদিকে অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। কোথাও কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে।’ 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। মোট ১৩২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। মোট ভোটার চার লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে সরাইলে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬০৫ ভোট ও আশুগঞ্জে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৭ ভোট। 

নির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, লাঙল প্রতীকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল, আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ দেশ স্বাধীনের ১৯৭৩ সালে একবার এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়। এরপর নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৭৯,১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী। কিন্তু আসনটিতে জয় লাভ করতে পারেনি। ৫০ বছর পর এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু জয় লাভ করেন। 
 
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৩০ সেপ্টেম্বর বর্ষীয়ান এ নেতা মারা যান। এতে আসনটি শূন্য হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত