প্রতিনিধি, হোমনা (কুমিল্লা)
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হলেও খোলেনি হোমনার আট প্রতিষ্ঠান। আর্থিক অনটনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা।
স্থায়ীভাবে বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—আয়েশা শিশু নিকেতন, মনিপুর এসএমএম মডেল স্কুল, মাতৃছায়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল, শ্রীপুর আইডিয়াল স্কুল, আমেনা মেমোরিয়াল কেজি স্কুল, জোহরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সামসুল হক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে।
জোহরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহমুদুল হাসান সাগর বলেন, `প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে ১৫৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ছিল। রেজাল্টও ভালো ছিল। কিন্তু করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই এমপিওভুক্ত স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়ে যায়। আবার অনেকে পড়ালেখা ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেতন দেয় না। উপায় না পেয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।'
এদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবিকার তাগিদে শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ বিক্রি করছেন থান কাপড়, কেউ বাড়িতে মুদি দোকান দিয়ে বসেছেন। অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়েও জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বন্ধ হওয়া কিন্ডারগার্টেনের এক শিক্ষিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, `আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষকতা করতাম। স্কুল থেকে যে বেতন দেওয়া হতো, তা দিয়ে সংসার চালাতে সমস্যা হতো না। করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর স্বামী সকালে সবজি বিক্রি করে, বিকেলে সিএনজি চালায়। আমি বেকার। এ অবস্থায় পাঁচজনের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে গেছে। আর বেসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে বিভিন্ন কাজে যোগ দিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, হোমনা উপজেলায় ১২০টির মতো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি রয়েছে ডিআরভুক্ত। অর্থাৎ, যেসব প্রতিষ্ঠান পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তকসহ সরকারের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ ভট্টাচার্য বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায়। করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেতন দেয়নি। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হলেও খোলেনি হোমনার আট প্রতিষ্ঠান। আর্থিক অনটনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা।
স্থায়ীভাবে বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—আয়েশা শিশু নিকেতন, মনিপুর এসএমএম মডেল স্কুল, মাতৃছায়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল, শ্রীপুর আইডিয়াল স্কুল, আমেনা মেমোরিয়াল কেজি স্কুল, জোহরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সামসুল হক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে।
জোহরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহমুদুল হাসান সাগর বলেন, `প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে ১৫৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ছিল। রেজাল্টও ভালো ছিল। কিন্তু করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই এমপিওভুক্ত স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়ে যায়। আবার অনেকে পড়ালেখা ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেতন দেয় না। উপায় না পেয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।'
এদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবিকার তাগিদে শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ বিক্রি করছেন থান কাপড়, কেউ বাড়িতে মুদি দোকান দিয়ে বসেছেন। অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়েও জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বন্ধ হওয়া কিন্ডারগার্টেনের এক শিক্ষিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, `আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষকতা করতাম। স্কুল থেকে যে বেতন দেওয়া হতো, তা দিয়ে সংসার চালাতে সমস্যা হতো না। করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর স্বামী সকালে সবজি বিক্রি করে, বিকেলে সিএনজি চালায়। আমি বেকার। এ অবস্থায় পাঁচজনের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে গেছে। আর বেসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে বিভিন্ন কাজে যোগ দিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, হোমনা উপজেলায় ১২০টির মতো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি রয়েছে ডিআরভুক্ত। অর্থাৎ, যেসব প্রতিষ্ঠান পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তকসহ সরকারের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ ভট্টাচার্য বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায়। করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেতন দেয়নি। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১১ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকার সৈকতে মৃতদেহ দুইটি ভেসে এসেছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ
১১ মিনিট আগেমামলাযোগ্য হলে অবশ্যই ওসিদের মামলা নিতে হবে। মামলা না নিলে সেই থানার ওসিকে এক মিনিটে সাসপেন্ড করা হবে। আমি বলে দিয়েছি- মাসে ৫০০ মামলা হবে। কোনো ঘটনা ঘটলে মামলা নেবে না, তা হবে না...
১৪ মিনিট আগে