ঘূর্ণিঝড় হামুনে ভেঙে গেছে কুতুবদিয়ার একমাত্র সি অ্যাম্বুলেন্সটি

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ২৭

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সি অ্যাম্বুলেন্সটি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বড়ঘোপ স্টিমারঘাটে নোঙর করে রাখা ছয়টি ড্যানিশ বোট ও ছয়টি স্পিড বোটও ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভেঙে যাওয়া বোটগুলো মেরামত করতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া সি অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। 

গত মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডব শুরু হলে স্টিমারঘাটে নোঙর করে রাখা সি অ্যাম্বুলেন্সটি নোঙর ছিঁড়ে ঘাটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়। কুতুবদিয়া থেকে জরুরি প্রয়োজনে রোগী নিয়ে সমুদ্রে চলাচল করা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সি অ্যাম্বুলেন্স এটি। 

সি অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে উপজেলার গরিব ও অসহায় রোগীদের। তাই দ্রুত সি অ্যাম্বুলেন্স মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলা। এখানকার রোগীদের সমুদ্র পথে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সি অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। তা না হলে উপজেলার গরিব ও অসহায় রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়বে। 

বড়ঘোপ-মগনামা পারাপারের ইজারাদার নুরুল ইসলাম আজকে পত্রিকাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে স্টিমারঘাট ও মগনামাঘাটে নোঙর করে রাখা ছয়টি ড্যানিশ বোট ও ছয়টি স্পিড বোট ভেঙে গেছে। এগুলো মেরামত করতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি। 

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, বড়ঘোপ স্টিমারঘাটে নোঙর করে রাখা কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সি অ্যাম্বুলেন্সটি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এই সি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী পারাপার করা হয়। সি অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত