নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে ২০ বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। চট্টগ্রামের আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ আহমেদ অবশেষে ধরা পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের আকবর শাহ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৭ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, সৈয়দ আহমেদের বয়স এখন ৬০ বছর। তাঁর বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে। তিনি এত দিন কখনো উদ্বাস্তু, কখনো বাবুর্চি আবার কখনো নিরাপত্তাকর্মী সেজে আত্মগোপন করে ছিলেন। এ ছাড়া মাজারেও কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। আলোচিত এক সন্ত্রাসীর কাছে আত্মগোপনেও ছিলেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে জানে আলম (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আটজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেন আদালত।’
এম এ ইউসুফ বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জানে আলমের ছোটো ভাই মাহমুদুল হক খুন হন। তাঁকে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপনে ছিলেন সৈয়দ আহমেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সঙ্গে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যা করেন তিনি। উভয় খুনের এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন সৈয়দ আহমেদ।’
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোটো ভাইয়ের খুনে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন জানে আলম। মূলত মাহমুদুল খুনের পর মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনা করতেন তিনিই। আসামিরা ভেবেছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলমকে হত্যা করতে পারলে প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী থাকবে না আর নিহতের পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার আগে প্রকাশ্য দিবালোকে জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘ওই দুটি খুনের ঘটনার পর সৈয়দ আহমেদ পালিয়ে যান। পলাতক থাকাকালে ভুয়া ঠিকানায় দুটি পরিচয়পত্র বানান। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন। এ কারণে আসামিকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
সৈয়দ আহমেদ প্রথমে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপনে থাকেন। প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে আলোচিত সন্ত্রাসী মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে ওই এলাকায় থাকা নিজের জন্য নিরাপদ মনে করছিলেন না সৈয়দ আহমেদ। পরে এলাকাটি ছেড়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে থাকা শুরু করেন। শেষ পর্যায়ে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে ছিলেন সৈয়দ আহমেদ।
গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার।
খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে ২০ বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। চট্টগ্রামের আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ আহমেদ অবশেষে ধরা পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের আকবর শাহ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৭ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, সৈয়দ আহমেদের বয়স এখন ৬০ বছর। তাঁর বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে। তিনি এত দিন কখনো উদ্বাস্তু, কখনো বাবুর্চি আবার কখনো নিরাপত্তাকর্মী সেজে আত্মগোপন করে ছিলেন। এ ছাড়া মাজারেও কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। আলোচিত এক সন্ত্রাসীর কাছে আত্মগোপনেও ছিলেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে জানে আলম (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আটজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেন আদালত।’
এম এ ইউসুফ বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জানে আলমের ছোটো ভাই মাহমুদুল হক খুন হন। তাঁকে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপনে ছিলেন সৈয়দ আহমেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সঙ্গে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যা করেন তিনি। উভয় খুনের এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন সৈয়দ আহমেদ।’
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোটো ভাইয়ের খুনে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন জানে আলম। মূলত মাহমুদুল খুনের পর মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনা করতেন তিনিই। আসামিরা ভেবেছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলমকে হত্যা করতে পারলে প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী থাকবে না আর নিহতের পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার আগে প্রকাশ্য দিবালোকে জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘ওই দুটি খুনের ঘটনার পর সৈয়দ আহমেদ পালিয়ে যান। পলাতক থাকাকালে ভুয়া ঠিকানায় দুটি পরিচয়পত্র বানান। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন। এ কারণে আসামিকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
সৈয়দ আহমেদ প্রথমে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপনে থাকেন। প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে আলোচিত সন্ত্রাসী মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে ওই এলাকায় থাকা নিজের জন্য নিরাপদ মনে করছিলেন না সৈয়দ আহমেদ। পরে এলাকাটি ছেড়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে থাকা শুরু করেন। শেষ পর্যায়ে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে ছিলেন সৈয়দ আহমেদ।
গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বলেশ্বর ও ভৈরব নদীর তীর দীর্ঘদিন পর পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে কচুয়া জিরো পয়েন্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
১ few সেকেন্ড আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
২২ মিনিট আগেভাঙচুর–ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুরে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমসহ ৫৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেসংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আগামী সংবিধান হতে হবে এই দেশের সমস্ত নাগরিককে সমান মর্যাদা দিয়ে। সেই নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যা-ই হোক না কেন। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা জাতিগত মর্যাদা দিয়ে নাগরিকের মর্যাদা ঠিক হবে না।
৩৩ মিনিট আগে