নোয়াখালীর সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে পরিষদের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সদরের ৯টি ইউনিয়নের ৯২টি ও কবিরহাটের ৭টি ইউনিয়নের ৬৬টি কেন্দ্রে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

এদিকে ১৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটের আগের দিন রাতে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের আতঙ্কিত করেছে। 

জানা গেছে, ভোটের আগের দিন গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার দাদপুর, এওজবালিয়া, চরমটুয়া, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া, কবিরহাটের বাটইয়া, সুন্দলপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। 

গতকাল রাত ৮টার দিকে কবিরহাটের নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ফলাহারী ট্রান্সমিটার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫২ ও কবিরহাটের ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদরে এক লাখ ১১ হাজার ২৬৬ জন নারী, এক লাখ ২২ হাজার ৫৩০ জনসহ দুই লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৬ জন ভোটার রয়েছে। কবিরহাটে ৭০ হাজার ১৩ জন নারী ও ৭৫ হাজার ৬১১ জন পুরুষসহ মোট ভোটার রয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬২৪ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। 

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটের পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তা, তিনজন কনস্টেবল, সাতজন নারী সদস্যসহ ১৭ জন আনসারসহ মোট ২২ জন দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম, গোয়েন্দা, স্ট্যাইকিং, সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। দায়িত্বে আছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।