Ajker Patrika

কক্সবাজারে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সিপিজের উদ্বেগ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  
কক্সবাজারে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সিপিজের উদ্বেগ

কক্সবাজারের তিন সংবাদকর্মীর ওপর বিপন্ন হাঙর পাচারকারী চক্রের হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট’ (সিপিজে)। গতকাল বুধবার রাত ১০টা ১৮ মিনিটে সংগঠনের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সিপিজে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় কাজ করে।

‘বাংলাদেশে সাংবাদিক ছুরিকাহত, লাঞ্ছিত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করে, ‘বাংলাদেশের প্রশাসনকে কক্সবাজার থেকে প্রচারিত গণমাধ্যম দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজ-টিটিএন-এর প্রধান প্রতিবেদক আজিম নিহাদ, প্রতিবেদক রাহুল মহাজন ও ক্যামেরা পারসন লোকমানের ওপর হামলা ঘটনাকে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।’ 

পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি সংগঠিত সাংবাদিকদের ওপর আরো একটি হামলার ঘটনারও তদন্ত দাবি করেছে সিপিজে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সিপিজের এশিয়া অঞ্চলের প্রকল্প সমন্বয়ক স্টিভেন বাটলারের উদ্ধৃতি দিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রশাসন কক্সবাজার এবং নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর এই বেপরোয়া হামলাকে শাস্তির বাইরে যেতে দিতে পারে না।’ 

উদ্ধৃতিতে বাটলার বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা বাংলাদেশের জনগণের তথ্যের অধিকারের ওপর আঘাত হানার সমান। কর্তৃপক্ষকে উভয় ঘটনারই দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে।’ 

হামলায় অভিযুক্তদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জোরালো দাবিও জানান বাটলার। 

প্রসঙ্গত, আইন না মেনে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে অবৈধভাবে হাঙর সংগ্রহ করে ওই চক্রটি হাঙরের বিভিন্ন অংশ এবং বিশেষ কায়দায় উৎপাদিত তেল বিদেশে পাচার করে আসছিল। তথ্য পেয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক আজিম নিহাদ। 

গত ০৮ মে সকালে শহরের নুনিয়ারছড়ায় হাঙরের তেলের কারখানায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাচার চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ আলমগীরের ছোট ভাই মোস্তাক আহমেদের হামলার শিকার হন নিহাদসহ তিন সংবাদকর্মী। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

ভিডিওতে ‘সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কি করতে পারবি?’ বলে মোস্তাককে দম্ভোক্তি করতে দেখা যায়। এ নিয়ে সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে, প্রতিবাদ জানিয়ে কক্সবাজারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বিভিন্ন সংগঠন।

এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও আরো তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হওয়া মামলার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত