টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে মোখার আঘাতের পর অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। মোখার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে দুই দিন পার হলেও অর্থাভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো রোদবৃষ্টিতে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।
সাবরাং ইউনিয়নের ক্যাম্প পাড়া এলাকার মফিজুর রহমানের স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৫)। তাঁদের ছেড়ে মফিজুর রহমান চট্টগ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন এই নারী। মোখার আঘাতে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সবাই ত্রাণ নিয়ে গেলেও তাঁর বাড়িটি তৈরি করে দেওয়ার মতো কেউ যায়নি তাঁর কাছে। তাই সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে বলে জানান দিলদার বেগম।
একই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে দিলদার আলম (৩২)। তাঁর পরিবারের পাঁচজন সদস্য। এমনিতে অভাব অনটনের সংসার, এর মধ্যে মোখার আঘাতে ধ্বংস হয়ে পড়েছে দিলদার আলমের বাড়ি। এখনো বাড়িটি সংস্কার করতে পারেনি তিনি।
দিলদার জানান, মোখার আঘাতে বাড়িটি তছনছ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বাইরে গিয়ে কাজকারবার করার মতো পরিস্থিতিও নেই। টাকার অভাবে বাড়িটা সংস্কার করতে পারছেন না।
সাবরাং ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম খোলা আকাশে বসবাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অর্থাভাবে তাঁরা ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না। তবে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।’
সেন্ট মার্টিনেও একই অবস্থা অনেকের। তার মধ্য কোনারপাড়ার বাসিন্দা স্বামী মৃত জম মুলুকের স্ত্রী কালাসোনা বিবি (৬৫)। তাঁর পরিবারের ১২ সদস্য। তাদের পরিবারেরও করুণ অবস্থা। বেড়া ও ট্রিপলের (পলিথিন) ঘরটি মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ত্রাণ পেলেও এখনো বাড়িটা সংস্কার করতে পারেননি।
কালাসোনা জানান, পর্যটন মৌসুমে দিনমজুর করে তাদের দিনাতিপাত হতো। কিন্তু এখন পর্যটন মৌসুম নয়। কোনো আয় রোজকারের সুযোগ নেই। অর্থের অভাবে বাড়ির উপকরণ কেনা যাচ্ছে না বলে জানান ওই ষাটোর্ধ্ব নারী।
একই এলাকার খান সাহেব (৩২)। পাঁচজন পরিবারে সদস্য নিয়ে তাঁর সংসার। মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে দুই দিন পার হলেও তাঁর বাড়িটি সংস্কার করা যায়নি। তাঁকে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরহীন অবস্থায় বসবাস করতে হচ্ছে।
এ রকম সেন্টমার্টিন ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রচুর ত্রাণ পাচ্ছে দ্বীপবাসী। সেই সঙ্গে যারা বাড়িঘর করতে পারেননি। তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বাড়ি সংস্কারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘আমাদের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণের বাইরে থাকবেন না। এর মধ্যে যারা খোল আকাশের নিচে বসবাস করছেন তাঁদের তালিকা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কক্সবাজারের টেকনাফে মোখার আঘাতের পর অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। মোখার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে দুই দিন পার হলেও অর্থাভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো রোদবৃষ্টিতে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।
সাবরাং ইউনিয়নের ক্যাম্প পাড়া এলাকার মফিজুর রহমানের স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৫)। তাঁদের ছেড়ে মফিজুর রহমান চট্টগ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন এই নারী। মোখার আঘাতে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সবাই ত্রাণ নিয়ে গেলেও তাঁর বাড়িটি তৈরি করে দেওয়ার মতো কেউ যায়নি তাঁর কাছে। তাই সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে বলে জানান দিলদার বেগম।
একই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে দিলদার আলম (৩২)। তাঁর পরিবারের পাঁচজন সদস্য। এমনিতে অভাব অনটনের সংসার, এর মধ্যে মোখার আঘাতে ধ্বংস হয়ে পড়েছে দিলদার আলমের বাড়ি। এখনো বাড়িটি সংস্কার করতে পারেনি তিনি।
দিলদার জানান, মোখার আঘাতে বাড়িটি তছনছ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বাইরে গিয়ে কাজকারবার করার মতো পরিস্থিতিও নেই। টাকার অভাবে বাড়িটা সংস্কার করতে পারছেন না।
সাবরাং ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম খোলা আকাশে বসবাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অর্থাভাবে তাঁরা ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না। তবে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।’
সেন্ট মার্টিনেও একই অবস্থা অনেকের। তার মধ্য কোনারপাড়ার বাসিন্দা স্বামী মৃত জম মুলুকের স্ত্রী কালাসোনা বিবি (৬৫)। তাঁর পরিবারের ১২ সদস্য। তাদের পরিবারেরও করুণ অবস্থা। বেড়া ও ট্রিপলের (পলিথিন) ঘরটি মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ত্রাণ পেলেও এখনো বাড়িটা সংস্কার করতে পারেননি।
কালাসোনা জানান, পর্যটন মৌসুমে দিনমজুর করে তাদের দিনাতিপাত হতো। কিন্তু এখন পর্যটন মৌসুম নয়। কোনো আয় রোজকারের সুযোগ নেই। অর্থের অভাবে বাড়ির উপকরণ কেনা যাচ্ছে না বলে জানান ওই ষাটোর্ধ্ব নারী।
একই এলাকার খান সাহেব (৩২)। পাঁচজন পরিবারে সদস্য নিয়ে তাঁর সংসার। মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে দুই দিন পার হলেও তাঁর বাড়িটি সংস্কার করা যায়নি। তাঁকে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরহীন অবস্থায় বসবাস করতে হচ্ছে।
এ রকম সেন্টমার্টিন ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রচুর ত্রাণ পাচ্ছে দ্বীপবাসী। সেই সঙ্গে যারা বাড়িঘর করতে পারেননি। তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বাড়ি সংস্কারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘আমাদের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণের বাইরে থাকবেন না। এর মধ্যে যারা খোল আকাশের নিচে বসবাস করছেন তাঁদের তালিকা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
১ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
৪ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিয়াড়া শ্মশান এলাকার নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৩ মিনিট আগে