চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেনের তিন ওয়াগন লাইনচ্যুত, পড়ে গেছে ৩০ হাজার লিটার তেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩: ০৮
Thumbnail image

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) আগে একটি তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে দুটি ওয়াগনের প্রায় ৩০ হাজার লিটার তেল মাটিতে পড়ে গেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৩ লাখ টাকা। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে রেলের প্রকৌশলীরা গিয়ে তেল পড়া বন্ধ করেন।

আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে প্রকৌশলীরা গিয়ে উদ্ধার কাজ চালান। তবে এসব ওয়াগন উদ্ধারে লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে আসা হচ্ছে। ট্রেনটি আসার পর মূল উদ্ধার কাজ শুরু হবে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা।

সিজিপিওয়াইয়ের প্রধান মাস্টার আবদুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই ঘণ্টার মধ্যে আমরা তেলপড়া বন্ধ করেছি। এখন লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসার পর মূল উদ্ধার কাজ শুরু হবে। উদ্ধার কাজ শেষ হতর হতে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।’

ট্রেনটি যেখানে লাইনচ্যুত হয়েছে, সেটি শাখা লাইন। উদ্ধার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মালবাহী ট্রেন ওই লাইন দিয়ে চলতে পারবে না। আপাতত মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ের যান্ত্রিক দপ্তর জানায়, একটি তেলবাহী ওয়াগনে ৩০ হাজার লিটার তেল ভরা হয়। অর্থাৎ ৩০ হাজার  লিটার পর্যন্ত তেল বহন করতে পারে একটি ওয়াগন। তেলবাহী ট্রেনটি চট্টগ্রামের পদ্মা-মেঘনা-যমুনা থেকে প্রতিটি ওয়াগনে ৩০ হাজার লিটার তেল ভর্তি করে সিজিপিওয়াইতে ঢুকছিল। এর মধ্যে তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। ট্রেনটির ১৬টি ওয়াগনে তেলভর্তি ছিল। 

দুটি তেলভর্তি ওয়াগনের প্রায় অর্ধেক মাটিতে পড়ে যায়। সিজিপিওয়াইয়ের প্রধান মাস্টার আবদুল মালেক জানান, দুটি ওয়াগন থেকে অর্ধেক তেল পড়ে গেছে। সবমিলিয়ে ৩০ হাজার লিটার তেল পড়ে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ট্রেনটি  ইয়ার্ডের পাশে থাকা ‘গুপ্ত খালে’ গিয়ে তেল পড়েছে।
 
পরিবহন বিভাগ জানায়, চট্টগ্রামের পতেঙ্গার পদ্মা-মেঘনা-যমুনা থেকে তেল ভর্তি করে সিজিপিওয়াইতে নিয়ে আসছিল। এরপর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কথা। এই তেলগুলো রেলওয়ের নিজের।

বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কেন, লাইনচ্যুতি হয়েছে বা কারও দোষ আছে কি না, তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত