‘রূপালী গিটার’ ঢেকে দেওয়া চার বিজ্ঞাপনের একটি সরানো হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২০: ৫৭
Thumbnail image

প্রয়াত জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি ধরে রাখতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবর্তক মোড়ে গড়ে তোলা ‘রূপালী গিটার’ ঢেকে দেওয়া বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে বিজ্ঞাপনটি দেখা যাচ্ছিল। তারপর ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে কয়েক ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসন একটি বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়। তবে অন্য অংশে এখনো হাসপাতালটির তিনটি বিজ্ঞাপন রয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গিটার ঢেকে ফেলা বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হলেও আইয়ুব বাচ্চু চত্বরের তিন দিকে এখনো তিনটি বিজ্ঞাপন রয়ে গেছে। এসব বিজ্ঞাপনের কারণে আইয়ুব বাচ্চুর গিটার ও চত্বর দূর থেকে পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না।

হাসপাতালের এমন বিজ্ঞাপনে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। সকাল থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয় ছবিটি। ফয়জুস মাসুম নামের এক মিউজিশিয়ান ফেসবুকে ব্যঙ্গ করে ছবিটি পোস্ট করে লেখেন, ‘এবি গিটার চত্বর উন্নয়নের কাজ চলছে। নামফলক আরও বড় ও ডিজিটাল হবে লাইটসহ। এটা মেনটেইনের একটা খরচ আছে।’

ফয়জুস মাসুম আরও লেখেন, ‘দুজন সিকিউরিটি গার্ড এখানে ডিউটি করে। আরও কিছু খরচ এটা মেনটেইনে হয়। সুখবর হলো, এটার স্পনসরের জন্য এই হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে। এখন ///ম্যাজারমেন্টের জন্য ট্রায়াল বেসড কাজ করছে। এবি ফ্যানদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কাল রাত থেকে আমার কাছে অনেক ফোন আর মেসেজ আসছে। আমি তখনই বর্তমানে যারা এটি দেখভাল করেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলি এবং তাঁদের তত্ত্বাবধানেই কাজ চলছে।’

নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকার বাসিন্দা হাসনাত শোয়েব। তিনিও হাসপাতালের বিজ্ঞাপনসহ আইয়ুব বাচ্চুর চত্বরের ছবি তুলছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কি আরও টাকা দরকার? আইয়ুব বাচ্চু চত্বর নিয়েও ব্যবসা করতে হবে!’

২০১৮ সালে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে নগরের প্রবর্তক মোড়ে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন রূপালী গিটারসহ এবি চত্বর নির্মাণ করেন। স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি গিটারটির উচ্চতা ১৮ ফুট। গিটারটিতে রয়েছে ছয়টি তার। নগরীর গোল পাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তকের দিকে যাওয়ার পথে গিটারটির সামনের অংশ চোখে পড়ে।

জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, হাসপাতালের বিজ্ঞাপনটি খুলে ফেলা হয়েছে। অন্য তিন অংশে এখনো বিজ্ঞাপন লাগানো রয়েছে জানিয়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

সিটি করপোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হাসান বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চুক্তির ভিত্তিতে এগুলো লাগিয়েছিল। অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা দপ্তরের অনুমতিতেই এগুলো লাগিয়েছিল। কত টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছিল, এটি তারা ভালো বলতে পারবে।

নগর পরিকল্পনা শাখার সহকারী স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের লাগানো একটি বিজ্ঞাপন সরানো হয়েছে, বাকিগুলোও সরিয়ে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে জানতে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত