কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে। এ নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। অনুষ্ঠানটি স্থগিত চেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৮৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ ওই আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’। তদারকিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাসরিন (১২তম), সাদিয়া (১৩তম), তাওহীদা (১১তম), তানজিদা (১২তম), রুমা (১৩ তম), সুহাইল (১৫তম), ফাতেমী (১৬তম), সাদিয়া (১৪তম), ফারজানা (১৫তম) ও ঊর্মি (১৬তম)। আবাসিক শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো সংগঠন চেনেন না। তাঁদের কার্যক্রম কিংবা উদ্দেশ্য, নেতৃত্ব সম্পর্কেও জানেন না। এ ছাড়া এই আয়োজনে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে বলে তাঁরা শঙ্কিত। সেই সঙ্গে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে। এ ধরনের আয়োজন পড়াশোনার ব্যাঘাতও ঘটাবে। হলে বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে অপরিচিত একটি সংগঠনের আয়োজনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
হলের শিক্ষার্থী মিথিলা মিনহা বলেন, ‘সিরাত অনুষ্ঠান নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে হলের কারোরই দ্বিমত থাকার কারণ নেই। আমরা দ্বিমত করছি সিকিউরিটি পারপাস নিয়ে। হলে এখন প্রশাসন নেই, এর মধ্যে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান। তাই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে স্থগিতের আবেদন করেছি।’
আরেক শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার বলেন, ‘এখানে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং বাইরে থেকেও নাকি লোক নিয়ে আসা হবে। এখন হলে প্রশাসন নেই। নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেই আসলে স্থগিতের আবেদনটি করা হয়েছে।’
আয়োজকদের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়ার নাম রয়েছে। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘সংগঠন বা ক্লাবটি এস্টাবলিশড কিছু না। আমরা কয়েকজন আলোচনা করে এটি ঠিক করেছি, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।’
বহিরাগতদের আসার বিষয়ে বলেন, ‘এখানে বহিরাগত বলতে আমাদের পরিচিতিদের আত্মীয়স্বজন, বোনেরা আসবেন। এ ছাড়া আর কেউ না।’
অনুমতির বিষয়ে বলেন, ‘আমরা হাউস টিউটর ও রেজিস্ট্রার স্যারের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে সাদিয়া বলেন, ‘আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন স্থগিতের বিষয়টি আসেনি। আবেদনের বিষয়টি জানি না। এখানে অনিরাপত্তার কিছু নাই। এ ছাড়া, আমাদের সাউন্ড সিস্টেম থাকবে না, এখানে পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।’
আরেক আয়োজক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে আমি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে বিষয়টি উত্থাপন করি। অনেকের সম্মতিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংগঠনের বিষয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই আসলে কয়েকজন মিলে এই ক্লাব বা সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি আসলে তেমন কিছু না।’
আয়োজনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না ,জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গের কয়েকজন বলেছেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’ তবে, কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে সেটি তিনি বলতে পারেননি।
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানটি করা তো সম্ভব না।’
হলের হাউস টিউটর মো. আল আমিন বলেন, ‘আমাকে আসলে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু রেজিস্ট্রার বরাবর স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যদি আমাকে স্থগিতের বিষয়ে জানান তাহলে আমি তা–ই করব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাধান হয়ে আমাকে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে আমি তা–ই করব।’
রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘হ্যাঁ, শেখ হাসিনা হলে সিরাত অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি না। যদি নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে। এ নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। অনুষ্ঠানটি স্থগিত চেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৮৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ ওই আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’। তদারকিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাসরিন (১২তম), সাদিয়া (১৩তম), তাওহীদা (১১তম), তানজিদা (১২তম), রুমা (১৩ তম), সুহাইল (১৫তম), ফাতেমী (১৬তম), সাদিয়া (১৪তম), ফারজানা (১৫তম) ও ঊর্মি (১৬তম)। আবাসিক শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো সংগঠন চেনেন না। তাঁদের কার্যক্রম কিংবা উদ্দেশ্য, নেতৃত্ব সম্পর্কেও জানেন না। এ ছাড়া এই আয়োজনে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে বলে তাঁরা শঙ্কিত। সেই সঙ্গে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে। এ ধরনের আয়োজন পড়াশোনার ব্যাঘাতও ঘটাবে। হলে বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে অপরিচিত একটি সংগঠনের আয়োজনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
হলের শিক্ষার্থী মিথিলা মিনহা বলেন, ‘সিরাত অনুষ্ঠান নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে হলের কারোরই দ্বিমত থাকার কারণ নেই। আমরা দ্বিমত করছি সিকিউরিটি পারপাস নিয়ে। হলে এখন প্রশাসন নেই, এর মধ্যে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান। তাই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে স্থগিতের আবেদন করেছি।’
আরেক শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার বলেন, ‘এখানে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং বাইরে থেকেও নাকি লোক নিয়ে আসা হবে। এখন হলে প্রশাসন নেই। নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেই আসলে স্থগিতের আবেদনটি করা হয়েছে।’
আয়োজকদের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়ার নাম রয়েছে। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘সংগঠন বা ক্লাবটি এস্টাবলিশড কিছু না। আমরা কয়েকজন আলোচনা করে এটি ঠিক করেছি, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।’
বহিরাগতদের আসার বিষয়ে বলেন, ‘এখানে বহিরাগত বলতে আমাদের পরিচিতিদের আত্মীয়স্বজন, বোনেরা আসবেন। এ ছাড়া আর কেউ না।’
অনুমতির বিষয়ে বলেন, ‘আমরা হাউস টিউটর ও রেজিস্ট্রার স্যারের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে সাদিয়া বলেন, ‘আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন স্থগিতের বিষয়টি আসেনি। আবেদনের বিষয়টি জানি না। এখানে অনিরাপত্তার কিছু নাই। এ ছাড়া, আমাদের সাউন্ড সিস্টেম থাকবে না, এখানে পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।’
আরেক আয়োজক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে আমি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে বিষয়টি উত্থাপন করি। অনেকের সম্মতিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংগঠনের বিষয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই আসলে কয়েকজন মিলে এই ক্লাব বা সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি আসলে তেমন কিছু না।’
আয়োজনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না ,জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গের কয়েকজন বলেছেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’ তবে, কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে সেটি তিনি বলতে পারেননি।
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানটি করা তো সম্ভব না।’
হলের হাউস টিউটর মো. আল আমিন বলেন, ‘আমাকে আসলে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু রেজিস্ট্রার বরাবর স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যদি আমাকে স্থগিতের বিষয়ে জানান তাহলে আমি তা–ই করব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাধান হয়ে আমাকে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে আমি তা–ই করব।’
রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘হ্যাঁ, শেখ হাসিনা হলে সিরাত অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি না। যদি নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে। এ নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। অনুষ্ঠানটি স্থগিত চেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৮৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ ওই আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’। তদারকিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাসরিন (১২তম), সাদিয়া (১৩তম), তাওহীদা (১১তম), তানজিদা (১২তম), রুমা (১৩ তম), সুহাইল (১৫তম), ফাতেমী (১৬তম), সাদিয়া (১৪তম), ফারজানা (১৫তম) ও ঊর্মি (১৬তম)। আবাসিক শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো সংগঠন চেনেন না। তাঁদের কার্যক্রম কিংবা উদ্দেশ্য, নেতৃত্ব সম্পর্কেও জানেন না। এ ছাড়া এই আয়োজনে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে বলে তাঁরা শঙ্কিত। সেই সঙ্গে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে। এ ধরনের আয়োজন পড়াশোনার ব্যাঘাতও ঘটাবে। হলে বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে অপরিচিত একটি সংগঠনের আয়োজনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
হলের শিক্ষার্থী মিথিলা মিনহা বলেন, ‘সিরাত অনুষ্ঠান নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে হলের কারোরই দ্বিমত থাকার কারণ নেই। আমরা দ্বিমত করছি সিকিউরিটি পারপাস নিয়ে। হলে এখন প্রশাসন নেই, এর মধ্যে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান। তাই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে স্থগিতের আবেদন করেছি।’
আরেক শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার বলেন, ‘এখানে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং বাইরে থেকেও নাকি লোক নিয়ে আসা হবে। এখন হলে প্রশাসন নেই। নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেই আসলে স্থগিতের আবেদনটি করা হয়েছে।’
আয়োজকদের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়ার নাম রয়েছে। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘সংগঠন বা ক্লাবটি এস্টাবলিশড কিছু না। আমরা কয়েকজন আলোচনা করে এটি ঠিক করেছি, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।’
বহিরাগতদের আসার বিষয়ে বলেন, ‘এখানে বহিরাগত বলতে আমাদের পরিচিতিদের আত্মীয়স্বজন, বোনেরা আসবেন। এ ছাড়া আর কেউ না।’
অনুমতির বিষয়ে বলেন, ‘আমরা হাউস টিউটর ও রেজিস্ট্রার স্যারের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে সাদিয়া বলেন, ‘আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন স্থগিতের বিষয়টি আসেনি। আবেদনের বিষয়টি জানি না। এখানে অনিরাপত্তার কিছু নাই। এ ছাড়া, আমাদের সাউন্ড সিস্টেম থাকবে না, এখানে পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।’
আরেক আয়োজক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে আমি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে বিষয়টি উত্থাপন করি। অনেকের সম্মতিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংগঠনের বিষয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই আসলে কয়েকজন মিলে এই ক্লাব বা সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি আসলে তেমন কিছু না।’
আয়োজনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না ,জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গের কয়েকজন বলেছেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’ তবে, কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে সেটি তিনি বলতে পারেননি।
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানটি করা তো সম্ভব না।’
হলের হাউস টিউটর মো. আল আমিন বলেন, ‘আমাকে আসলে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু রেজিস্ট্রার বরাবর স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যদি আমাকে স্থগিতের বিষয়ে জানান তাহলে আমি তা–ই করব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাধান হয়ে আমাকে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে আমি তা–ই করব।’
রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘হ্যাঁ, শেখ হাসিনা হলে সিরাত অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি না। যদি নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে। এ নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। অনুষ্ঠানটি স্থগিত চেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৮৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ ওই আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’। তদারকিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাসরিন (১২তম), সাদিয়া (১৩তম), তাওহীদা (১১তম), তানজিদা (১২তম), রুমা (১৩ তম), সুহাইল (১৫তম), ফাতেমী (১৬তম), সাদিয়া (১৪তম), ফারজানা (১৫তম) ও ঊর্মি (১৬তম)। আবাসিক শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো সংগঠন চেনেন না। তাঁদের কার্যক্রম কিংবা উদ্দেশ্য, নেতৃত্ব সম্পর্কেও জানেন না। এ ছাড়া এই আয়োজনে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে বলে তাঁরা শঙ্কিত। সেই সঙ্গে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে। এ ধরনের আয়োজন পড়াশোনার ব্যাঘাতও ঘটাবে। হলে বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে অপরিচিত একটি সংগঠনের আয়োজনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
হলের শিক্ষার্থী মিথিলা মিনহা বলেন, ‘সিরাত অনুষ্ঠান নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে হলের কারোরই দ্বিমত থাকার কারণ নেই। আমরা দ্বিমত করছি সিকিউরিটি পারপাস নিয়ে। হলে এখন প্রশাসন নেই, এর মধ্যে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান। তাই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে স্থগিতের আবেদন করেছি।’
আরেক শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার বলেন, ‘এখানে অচেনা একটি সংগঠনের উদ্যোগে এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং বাইরে থেকেও নাকি লোক নিয়ে আসা হবে। এখন হলে প্রশাসন নেই। নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেই আসলে স্থগিতের আবেদনটি করা হয়েছে।’
আয়োজকদের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়ার নাম রয়েছে। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘সংগঠন বা ক্লাবটি এস্টাবলিশড কিছু না। আমরা কয়েকজন আলোচনা করে এটি ঠিক করেছি, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।’
বহিরাগতদের আসার বিষয়ে বলেন, ‘এখানে বহিরাগত বলতে আমাদের পরিচিতিদের আত্মীয়স্বজন, বোনেরা আসবেন। এ ছাড়া আর কেউ না।’
অনুমতির বিষয়ে বলেন, ‘আমরা হাউস টিউটর ও রেজিস্ট্রার স্যারের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে সাদিয়া বলেন, ‘আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন স্থগিতের বিষয়টি আসেনি। আবেদনের বিষয়টি জানি না। এখানে অনিরাপত্তার কিছু নাই। এ ছাড়া, আমাদের সাউন্ড সিস্টেম থাকবে না, এখানে পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।’
আরেক আয়োজক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে আমি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে বিষয়টি উত্থাপন করি। অনেকের সম্মতিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংগঠনের বিষয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই আসলে কয়েকজন মিলে এই ক্লাব বা সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি আসলে তেমন কিছু না।’
আয়োজনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না ,জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গের কয়েকজন বলেছেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’ তবে, কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে সেটি তিনি বলতে পারেননি।
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘যেহেতু অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানটি করা তো সম্ভব না।’
হলের হাউস টিউটর মো. আল আমিন বলেন, ‘আমাকে আসলে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু রেজিস্ট্রার বরাবর স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যদি আমাকে স্থগিতের বিষয়ে জানান তাহলে আমি তা–ই করব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাধান হয়ে আমাকে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে আমি তা–ই করব।’
রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘হ্যাঁ, শেখ হাসিনা হলে সিরাত অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি না। যদি নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৩১ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে।
০৪ অক্টোবর ২০২৪
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে।
০৪ অক্টোবর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৩১ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে।
০৪ অক্টোবর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৩১ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে ‘সিরাত সেমিনার ও কাওয়াল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সোসাইটি অব চেঞ্জ মেকার ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই সংগঠনের নাম কখনো তাঁরা শোনেননি। তাঁদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারে।
০৪ অক্টোবর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৩১ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে