ত্রিপুরা রাজ্যের উজানের পানিতে আখাউড়ার ৩০ গ্রাম প্লাবিত

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২২, ১৬: ২৫
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৭: ১৪

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সীমান্তবর্তী ৩০টি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। অন্যদিকে স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর, আদমপুরসহ ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ ও ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়া প্লাবিত হয় পার্শ্ববর্তী এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকাএতে কৃষকের সবজিখেত, ফসলি রোপা ধানের জমিসহ মাছ চাষের পুকুর তলিয়ে গেছে মাছ। এরই মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। অতিবৃষ্টির কারণে শুক্রবার রাত থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের মধ্যে মোগড়া ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টম হাউস।

আখাউড়ার সীমান্তবর্তী প্রায় ৩০টি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বন্দর এলাকার কিছু অংশেও উঠেছে পানি। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি আমদানি-রপ্তানিকারক বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত