Ajker Patrika

হাছান মাহমুদের কাছে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান আলোচিত ব্যবসায়ী ইয়াছিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২১: ৩৪
হাছান মাহমুদের কাছে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান আলোচিত ব্যবসায়ী ইয়াছিন

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান। 

গতকাল রোববার ড. হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরেন ফাতেমা বরাবর এ–সংক্রান্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। নূরেন ফাতেমা দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। 

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাঁরা অন্যায়, নির্যাতন এবং মানসিক ও প্রশাসনিক হয়রানির মাধ্যমে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ইয়াছিন চৌধুরীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জিয়ান মাহমুদ ক্লিনটন। 

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নোটিশে ক্ষতিপূরণের ৬০০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলাসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গত বছর প্রায় সাড়ে ১২শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠার পর আলোচনায় আসেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন। 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইয়াছিন চৌধুরী বিদেশে পালিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। 

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হাছান মাহমুদের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। 

নোটিশে বিগত বছরগুলোতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাছান মাহমুদ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের সব কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করেন। 

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, হাছান মাহমুদের স্ত্রীর মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের নামে ব্যাংক থেকে নেওয়া ৬৮ কোটি টাকার বেশি ঋণ অন্যায়ভাবে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে ২০১২ সালে অক্টোবরে একটি কনটেইনার ভেসেল নির্মাণের জন্য এফএমসি ডকইয়ার্ডের সঙ্গে বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের চুক্তি হয়। এর নির্মাণ মূল্য ধরা হয় ৪৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস সাড়ে ২৪ কোটি টাকা দেয়। বাকি সাড়ে ২৪ কোটি পাওনা থাকে। 

একই সময় ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফিশিং ট্রলার নির্মাণের চুক্তি করা হয়। চুক্তি মূল্য অনুযায়ী নোটিশ গ্রহীতারা ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বকেয়া থাকে। 

টাকা পাওনা থাকার পরও এফএমসি ডকইয়ার্ড নিজস্ব উৎস থেকে টাকা বিনিয়োগ করে উভয় জাহাজ নির্মাণকাজ সম্পাদন করেছিল। এসব পাওনা টাকা বহু বছর পরিশোধ করা হয়নি। গত ১০ বছর প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব বিনিয়োগের বর্তমানে সুদ ও বিজনেস অপরচুনিটি কস্টসহ ৮০ কোটি টাকার অধিক হয়েছে। যা এফএমসি ডকইয়ার্ড বহন করছে। 

এ ছাড়া হাছান মাহমুদ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এতে ইয়াছিন চৌধুরী ও তাঁর প্রতিষ্ঠান চরমভাবে আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন ও দেশ–বিদেশে ভাবমূর্তি গভীর সংকটে পড়ে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

২০২১ সালে মার্চে চট্টগ্রামে এফএমসি ডকইয়ার্ডের অফিসে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করেন ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া নোটিশ বলা হয়েছে, হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডে প্রধান কার্যালয় ও ডকইয়ার্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এর ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর লাগোয়া বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদণ্ডী গ্রামে ৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড। এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত