Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরে জটে আটকা পণ্য দ্রুত খালাসের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১১: ১৮
চট্টগ্রাম বন্দরে জটে আটকা পণ্য দ্রুত খালাসের তাগিদ

চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা আমদানি করা ভোগ্যপণ্য, পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক এবং হিমায়িত পণ্যের কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জেরে সবকিছু বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতি। সরকারে পালাবদল হওয়ার পর এখন  আবার সচল হয়েছে বন্দর কার্যক্রম। ভিড়ছে জাহাজ। চাপ বাড়ছে মালামাল লোড-আনলোডের। এই অবস্থায় জায়গা সংকুলানের অভাবে বন্দরে জটে থাকা কনটেইনার দ্রুত খালাস নিতে আমদানিকারকদের তাগিদ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সুযোগও রাখা হয়েছে ছুটির দিনও পণ্যের ডেলিভারি নেওয়ার।

এ বিষয়ে ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টার্মিনাল ম্যানেজার দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, বিজিএমইএ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যার অনুলিপি কাস্টমস কমিশনারসহ ২৬টি স্টেকহোল্ডারকে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বন্দরে ২৪ ঘণ্টা/৭ দিন কনটেইনার/কার্গো খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৩৭ হাজার ৮৬৮ টিইইউস এফসিএল কনটেইনার এবং বিভিন্ন সিএফএস শেডসমূহে ১ হাজার ২২৬ টিইইউএস এলসিএল পণ্য স্থিত রয়েছে। এতে বন্দরে কনটেইনারের জট লেগেছে।

এর নিরসন ও পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রেখে দেশে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে ইয়ার্ড এবং সিএফএস শেডসমূহে রক্ষিত পণ্য চালানের ডেলিভারি বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।

জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্দরে আটকে পড়া পণ্য খালাস নেওয়া সম্ভব হবে। এ জন্য সদস্যভুক্ত সবাইকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত