রাঙামাটির লংগদুতে ১৪৪ ধারা জারি করায় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি বাধার মুখে পড়েছে। আজ সোমবার সকালে লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ বাজারে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির স্থান ছিল। আজ একই স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন বলে গতকাল রোববার বিকেলে ঘোষণা দেন। 

গতকাল রাতে দু’দলের নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে লংগদু উপজেলা প্রশাসন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ফজলুর রহমান। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি জানান, ১৪৪ ধারা জারি করার খবরটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে। 

প্রশাসনের এই নির্দেশনা অযৌক্তিক ও একধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ বলে দাবি করে সভাপতি বলেন, ‘আমরা পূর্ব নির্ধারিত ছয় ইউনিয়নে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে অনুমতি নিয়েছি। এরই মধ্যে পাঁচ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। আজ মাইনীমুখ বাজারে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হতো। তাঁর আগেই গতকাল রাতে উস্কানি দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল সমাবেশ করেন। আবার আজ মাইনীমুখ বাজারে আমাদের সমাবেশস্থলেই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ জন্য প্রশাসন পরিস্থিতি এড়াতে বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।’ 

সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করছি। সারা দেশের ন্যায় বিরোধী দলের মতামতকে কণ্ঠরোধ করতে সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা কখনো শুভ নয়। এর আগে কাপ্তাইয়ে একইভাবে বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যোগ দেওয়ার কথা ছিল।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন, ‘বিএনপি লংগদুতে কর্মসূচি দিয়ে এলাকায় অরাজকতা ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার সুযোগ নিতে চাইছে। তা ছাড়া সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। এর প্রতিবাদে আজ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গতকাল মিছিল ও মিটিং করে সমাবেশের ঘোষণা করেছি। এখন যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে তাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব না।’ 

এ বিষয়ে ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা ফজলুর রহমান বলেন, একই স্থানে বড় দুটি দল কর্মসূচি দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।