পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ৮১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এ সময় চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৫০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-স্লোগানে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যেন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ধলঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রণবীর ঘোষ টুটুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মো. মুহিবুল্লাহ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ শফিউল আলম। দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী। কাশিয়াইশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাসেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ কাইছ এবং এস এম জায়দুল হক। কুসুমপুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জাকারিয়া ডালিম ও নুর উর রশিদ চৌধুরী। হাবিলাস দ্বীপ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফৌজুল কবির কুমার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও সাইফুল ইসলাম।
বড়লিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম সানু। ফলে সানু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হবেন। শুধু নির্বাচন অফিস থেকে ঘোষণা দেওয়া বাকি আছে।
ছনহরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের ডা. এস এম এফ আইয়ুব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী, আনোয়ার উদ্দিন ও কাজী আবু জাফর। কচুয়াই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম ইনজামুল হক জসিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু ও এম এন আবছার চৌধুরী। কেলিশহর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন নান্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিথিল দে। জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ মো. গাজী ইদ্রিছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাহাদাত হোসেন সবুজ ও দিদারুল আলম। ভাটিখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমিনুল হক ও জাতীয় পার্টির ফরিদুল আলম। আশিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সৈয়দ মাঈনুল হক, আবদুল মান্নান খান, মোহাম্মদ শাহ জাহান ও বেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া খরনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, জাতীয় পার্টির ফয়জুল কবির চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন রিদোয়ান কবির চৌধুরী ও মফজল আহম্মদ চৌধুরী। শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এহছানুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন। হাইদগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, নাছির উদ্দীন, আ ন ম মর্তুজা ও বদরুদ্দীন মোহাম্মদ জসিম। জিরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান টিপু, ইসলামী আন্দোলনের মামুনুর রশীদ, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও মনির আহমদ। কোলাগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ নুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শামসুল ইসলাম, মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ কাসেম ও খোরশেদ আলম।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদসহ মোট ৭৫০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রার্থীদেরও সহায়তা কামনা করছি।
অন্যদিকে পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়ার সুবিধার্থে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেন।
তাঁদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরাফাত আল হোসাইনী দায়িত্ব পালন করছেন কুসুমপুরা, হাবিলাসদ্বীপ ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের। জিরি, কোলাগাঁও ও হাইদগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফারুক হোসাইন। রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুণ উদয় ত্রিপুরা ছনহরা, বড়লিয়া ও কচুয়াই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত পালন করছেন কেলিশহর, জঙ্গলখাইন ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের। পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পিপলু চন্দ্র নাথ আশিয়া, খরনা ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসার মীর আন-নাজমুস সাকিব দায়িত্ব পালন করছেন ধলঘাট ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ৮১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এ সময় চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৫০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-স্লোগানে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যেন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ধলঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রণবীর ঘোষ টুটুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মো. মুহিবুল্লাহ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ শফিউল আলম। দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী। কাশিয়াইশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাসেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ কাইছ এবং এস এম জায়দুল হক। কুসুমপুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জাকারিয়া ডালিম ও নুর উর রশিদ চৌধুরী। হাবিলাস দ্বীপ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফৌজুল কবির কুমার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও সাইফুল ইসলাম।
বড়লিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম সানু। ফলে সানু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হবেন। শুধু নির্বাচন অফিস থেকে ঘোষণা দেওয়া বাকি আছে।
ছনহরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের ডা. এস এম এফ আইয়ুব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী, আনোয়ার উদ্দিন ও কাজী আবু জাফর। কচুয়াই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম ইনজামুল হক জসিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু ও এম এন আবছার চৌধুরী। কেলিশহর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন নান্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিথিল দে। জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ মো. গাজী ইদ্রিছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাহাদাত হোসেন সবুজ ও দিদারুল আলম। ভাটিখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমিনুল হক ও জাতীয় পার্টির ফরিদুল আলম। আশিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সৈয়দ মাঈনুল হক, আবদুল মান্নান খান, মোহাম্মদ শাহ জাহান ও বেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া খরনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, জাতীয় পার্টির ফয়জুল কবির চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন রিদোয়ান কবির চৌধুরী ও মফজল আহম্মদ চৌধুরী। শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এহছানুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন। হাইদগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, নাছির উদ্দীন, আ ন ম মর্তুজা ও বদরুদ্দীন মোহাম্মদ জসিম। জিরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান টিপু, ইসলামী আন্দোলনের মামুনুর রশীদ, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও মনির আহমদ। কোলাগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ নুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শামসুল ইসলাম, মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ কাসেম ও খোরশেদ আলম।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদসহ মোট ৭৫০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রার্থীদেরও সহায়তা কামনা করছি।
অন্যদিকে পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়ার সুবিধার্থে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেন।
তাঁদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরাফাত আল হোসাইনী দায়িত্ব পালন করছেন কুসুমপুরা, হাবিলাসদ্বীপ ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের। জিরি, কোলাগাঁও ও হাইদগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফারুক হোসাইন। রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুণ উদয় ত্রিপুরা ছনহরা, বড়লিয়া ও কচুয়াই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত পালন করছেন কেলিশহর, জঙ্গলখাইন ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের। পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পিপলু চন্দ্র নাথ আশিয়া, খরনা ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসার মীর আন-নাজমুস সাকিব দায়িত্ব পালন করছেন ধলঘাট ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
৩ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৯ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
২৪ মিনিট আগে