মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
‘এই দেশ তো অহন বড়লোহের। আমরার মতো গরিব মাইনষের দিন শ্যাষ। সারা দিন বেডাইনের কামলা দিয়াও বউ-পুলাপানরে ঠিকমতো খাওন-দাওন দিতারি না। বাজারে আইয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে, বুক ফাইট্ট্যা কান্দন আইয়ে।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে সয়াবিন তেল ও শাকসবজি কিনতে এসে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী আবুল বাশার মিয়া। ছয় সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। সারা দিন কাজ করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। এই টাকায় পরিবার চালাতে গিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারের সঙ্গে খরচের তাল মেলাতে গিয়ে শুধু বাশার নয়, তাঁর মতো ঈশ্বরগঞ্জের প্রায় সব সীমিত আয়ের মানুষ এখন বিপাকে। উপজেলায় সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৩০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন আগাম সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও অন্যবারের তুলনায় দাম দ্বিগুণ।
পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম একাদুল মিয়ার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তানসহ বৃদ্ধ মা। সারা দিন করাতকলে কাজ করে তিনি মজুরি পান ৪০০ টাকা। সেই টাকা নিয়ে হাটে গেলে দিনের চাহিদার চাল-ডাল, তেল, শাকসবজি কিনতেই সব শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে ছেলে-মেয়েরা কয়েক দিন ধরে গরুর মাংস খেতে চাইলেও এ আবদার মেটাতে পারছেন না তিনি।
একাদুল বলেন, ‘হেই দিন লগের বাড়িত গরুর গোস্ত রানছে। হেইডা দেইক্ক্যা পোলা-মাইয়াডা বাড়িত আইয়া কান্দন জোরছে। কয় গরুর গোস্ত দিয়া ভাত খাইব। এরপর থাইক্ক্যা পত্তিদিন কামে আওনের সময় কইয়া দেয়, “আব্বা, আজগোয়া আওনের সময় গরুর গোস্ত আইন্নো।” তাই আইছিলাম দাম জিগাইতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথাডা চক্কর মারছে। জিনিসপাতির যে দাম। ঠিকমতো চাউল-ডাইলই তো কিনতারি না, মাছ-গোস্ত তো মেলা দূরে।’
সংসারের খরচ নিয়ে হিমশিম খাওয়া শরীফুজ্জামান রোকন বিভিন্ন দোকানে ভোগ্যপণ্য সরবরাহের কাজ করেন। স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। ঘরে চাল ফুরিয়ে গেলে বাকিতে দোকান থেকে চাল নিতে এলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে চাল-ডাল, মাছ-তরকারিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের চড়া দামে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যা সঞ্চয় ছিল, এই কয়েক মাসে সব তুলে খেয়ে ফেলেছি। ধারদেনা করতে করতে দিন দিন ঋণের পাল্লাও ভারী হয়ে গেছে। এখন খেয়ে-না খেয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে দিনগুলো পার করছি। পরিবারের কারও অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসা করানোর টাকাটা পর্যন্ত ঘরে নেই।’
‘এই দেশ তো অহন বড়লোহের। আমরার মতো গরিব মাইনষের দিন শ্যাষ। সারা দিন বেডাইনের কামলা দিয়াও বউ-পুলাপানরে ঠিকমতো খাওন-দাওন দিতারি না। বাজারে আইয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে, বুক ফাইট্ট্যা কান্দন আইয়ে।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে সয়াবিন তেল ও শাকসবজি কিনতে এসে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী আবুল বাশার মিয়া। ছয় সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। সারা দিন কাজ করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। এই টাকায় পরিবার চালাতে গিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারের সঙ্গে খরচের তাল মেলাতে গিয়ে শুধু বাশার নয়, তাঁর মতো ঈশ্বরগঞ্জের প্রায় সব সীমিত আয়ের মানুষ এখন বিপাকে। উপজেলায় সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৩০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন আগাম সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও অন্যবারের তুলনায় দাম দ্বিগুণ।
পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম একাদুল মিয়ার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তানসহ বৃদ্ধ মা। সারা দিন করাতকলে কাজ করে তিনি মজুরি পান ৪০০ টাকা। সেই টাকা নিয়ে হাটে গেলে দিনের চাহিদার চাল-ডাল, তেল, শাকসবজি কিনতেই সব শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে ছেলে-মেয়েরা কয়েক দিন ধরে গরুর মাংস খেতে চাইলেও এ আবদার মেটাতে পারছেন না তিনি।
একাদুল বলেন, ‘হেই দিন লগের বাড়িত গরুর গোস্ত রানছে। হেইডা দেইক্ক্যা পোলা-মাইয়াডা বাড়িত আইয়া কান্দন জোরছে। কয় গরুর গোস্ত দিয়া ভাত খাইব। এরপর থাইক্ক্যা পত্তিদিন কামে আওনের সময় কইয়া দেয়, “আব্বা, আজগোয়া আওনের সময় গরুর গোস্ত আইন্নো।” তাই আইছিলাম দাম জিগাইতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথাডা চক্কর মারছে। জিনিসপাতির যে দাম। ঠিকমতো চাউল-ডাইলই তো কিনতারি না, মাছ-গোস্ত তো মেলা দূরে।’
সংসারের খরচ নিয়ে হিমশিম খাওয়া শরীফুজ্জামান রোকন বিভিন্ন দোকানে ভোগ্যপণ্য সরবরাহের কাজ করেন। স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। ঘরে চাল ফুরিয়ে গেলে বাকিতে দোকান থেকে চাল নিতে এলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে চাল-ডাল, মাছ-তরকারিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের চড়া দামে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যা সঞ্চয় ছিল, এই কয়েক মাসে সব তুলে খেয়ে ফেলেছি। ধারদেনা করতে করতে দিন দিন ঋণের পাল্লাও ভারী হয়ে গেছে। এখন খেয়ে-না খেয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে দিনগুলো পার করছি। পরিবারের কারও অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসা করানোর টাকাটা পর্যন্ত ঘরে নেই।’
গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে...
৯ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে...
৩৪ মিনিট আগেফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদারকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের কমলাপুরে নিজবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
৪৪ মিনিট আগে