তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে আবারও পানির দাম বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এবার এক লাফে সংস্থাটি প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির দাম আবাসিকে ৩৮ শতাংশ ও বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ হারে বাড়াচ্ছে, যা আগামী মাস থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এবার এ দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে নিজেদের নেওয়া ঋণ পরিশোধের কথা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মাস থেকে প্রতি ইউনিটের জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকার বদলে পরিশোধ করতে হবে ১৮ টাকা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের জন্য ৩১ টাকা ৮২ পয়সার বদলে পরিশোধ করতে হবে ৩৭ টাকা। চলতি বছরের শুরুতেও পানির দাম বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। সাত মাসের মাথায় আবারও পানির দাম বাড়ার পেছনে সংস্থাটি ঋণের টাকা পরিশোধের যুক্তি দেখাচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, গত এক দশকে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীতে পানির সরবরাহ বাড়াতে প্রায় ৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের বড় অংশই এসেছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া ঋণ থেকে। চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকা ও বিশ্বব্যাংকসহ তিনটি বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে মোট ৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে এসব ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে ওয়াসাকে। এই ঋণের টাকা জোগাড়ের একটি উপায় হিসেবে তাই তারা গ্রাহক পর্যায়ে পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘পানির উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। আবার সেই সঙ্গে আগামী বছর থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করা শুরু করতে হবে। এসব কারণে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছরের শুরুতে ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে বোর্ড সদস্যদের অনুমোদন নিলেই হয়ে যায়। তবে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়াতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। সম্প্রতি আবাসিকে পানির দাম ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৫০ টাকা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী আবাসিকে পানির দাম ১৮ টাকা রাখলেও বাণিজ্যিকে ওয়াসার চাহিদার চেয়ে ১৩ টাকা কম রেখে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করে। গত ২৭ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বাড়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ওয়াসা সূত্র জানায়, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ আছে ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ সংখ্যা ৭ হাজার ৭৬৭ টি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৩ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ১২ বার। মাঝে গত বছর করোনা মহামারির কারণে ওয়াসা পানির দাম বাড়ায়নি।
এক যুগে পানির দাম বেড়ে তিনগুণ
২০০৯ সালে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা। আর বাণিজ্যিকে ছিল ১৫ টাকা ৩২ পয়সা। এর পর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে থাকে ওয়াসা। এভাবে ২০১৪ সালে এসে আবাসিকে পানির দাম হয় ৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর বাণিজ্যিকে ১৯ টাকা ৫৯ পয়সা। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে একটু বেশি হারেই বাড়তে থাকে পানির দাম। ২০২০ সালে এসে আবাসিকে পানির দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা, আর বাণিজ্যিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা। এই বছরের জানুয়ারিতে আবাসিকে ১৩ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩১ টাকা ৮২ পয়সা হারে প্রতি ইউনিট পানির দাম নির্ধারণ করা হয়। সেটি এবার আবাসিকে ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩৭ টাকা করা হলো। অর্থাৎ, গত ১৩ বছরে তিনগুণের বেশি বেড়েছে পানির দাম।
দাম না বাড়িয়ে পানি চুরি কমানোর দাবি
চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। তবে এই পানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যাচ্ছে ‘জলে’। অর্থাৎ, এই পানি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। এর আগেই পাইপলাইন ছিদ্র, বা বিভিন্ন উপায়ে চুরির কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এই পানিকে সিস্টেম লস হিসেবে দেখায় সংস্থাটি।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিস্টেম লস আর অন্যান্য খরচ কমালে পানির দাম বাড়াতে হয় না। কিন্তু ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সেটি না করে ঋণের বোঝা গ্রাহকদের ওপর তুলে দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই মানা যায় না।’
মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে আবারও পানির দাম বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এবার এক লাফে সংস্থাটি প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির দাম আবাসিকে ৩৮ শতাংশ ও বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ হারে বাড়াচ্ছে, যা আগামী মাস থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এবার এ দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে নিজেদের নেওয়া ঋণ পরিশোধের কথা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মাস থেকে প্রতি ইউনিটের জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকার বদলে পরিশোধ করতে হবে ১৮ টাকা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের জন্য ৩১ টাকা ৮২ পয়সার বদলে পরিশোধ করতে হবে ৩৭ টাকা। চলতি বছরের শুরুতেও পানির দাম বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। সাত মাসের মাথায় আবারও পানির দাম বাড়ার পেছনে সংস্থাটি ঋণের টাকা পরিশোধের যুক্তি দেখাচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, গত এক দশকে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীতে পানির সরবরাহ বাড়াতে প্রায় ৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের বড় অংশই এসেছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া ঋণ থেকে। চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকা ও বিশ্বব্যাংকসহ তিনটি বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে মোট ৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে এসব ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে ওয়াসাকে। এই ঋণের টাকা জোগাড়ের একটি উপায় হিসেবে তাই তারা গ্রাহক পর্যায়ে পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘পানির উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। আবার সেই সঙ্গে আগামী বছর থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করা শুরু করতে হবে। এসব কারণে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছরের শুরুতে ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে বোর্ড সদস্যদের অনুমোদন নিলেই হয়ে যায়। তবে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়াতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। সম্প্রতি আবাসিকে পানির দাম ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৫০ টাকা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী আবাসিকে পানির দাম ১৮ টাকা রাখলেও বাণিজ্যিকে ওয়াসার চাহিদার চেয়ে ১৩ টাকা কম রেখে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করে। গত ২৭ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বাড়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ওয়াসা সূত্র জানায়, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ আছে ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ সংখ্যা ৭ হাজার ৭৬৭ টি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৩ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ১২ বার। মাঝে গত বছর করোনা মহামারির কারণে ওয়াসা পানির দাম বাড়ায়নি।
এক যুগে পানির দাম বেড়ে তিনগুণ
২০০৯ সালে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা। আর বাণিজ্যিকে ছিল ১৫ টাকা ৩২ পয়সা। এর পর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে থাকে ওয়াসা। এভাবে ২০১৪ সালে এসে আবাসিকে পানির দাম হয় ৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর বাণিজ্যিকে ১৯ টাকা ৫৯ পয়সা। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে একটু বেশি হারেই বাড়তে থাকে পানির দাম। ২০২০ সালে এসে আবাসিকে পানির দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা, আর বাণিজ্যিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা। এই বছরের জানুয়ারিতে আবাসিকে ১৩ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩১ টাকা ৮২ পয়সা হারে প্রতি ইউনিট পানির দাম নির্ধারণ করা হয়। সেটি এবার আবাসিকে ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩৭ টাকা করা হলো। অর্থাৎ, গত ১৩ বছরে তিনগুণের বেশি বেড়েছে পানির দাম।
দাম না বাড়িয়ে পানি চুরি কমানোর দাবি
চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। তবে এই পানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যাচ্ছে ‘জলে’। অর্থাৎ, এই পানি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। এর আগেই পাইপলাইন ছিদ্র, বা বিভিন্ন উপায়ে চুরির কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এই পানিকে সিস্টেম লস হিসেবে দেখায় সংস্থাটি।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিস্টেম লস আর অন্যান্য খরচ কমালে পানির দাম বাড়াতে হয় না। কিন্তু ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সেটি না করে ঋণের বোঝা গ্রাহকদের ওপর তুলে দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই মানা যায় না।’
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
৩ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৯ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
২১ মিনিট আগে