লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচন: খরচের টাকা নিয়ে ২ নেতার মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ০৭

লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকায় সিল মারার ভিডিওর রেশ কাটতে না কাটতে এবার কেন্দ্র খরচ নিয়ে দুই নেতার মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সদর মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। 

মামলার আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলম, তার ছোট ভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন। বাদী মোরশেদ আলম সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মারামারি ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে শহরে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে দুজনের মধ্যে মারামারির হয়। পরে দুজনেই সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের খরচের জন্য দল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে গত ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওই টাকার হিসাবে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। 

গতকাল বুধবার আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদের শান্ত করেন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাদের দেখতে হাসপাতাল যান। 

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসাব চাইলে সবুজ মামা (মোরশেদ আলম সবুজ) আমার শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি মারেন। তখন তাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন।’ 

বাদী মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, ‘দল থেকে কেন্দ্র খরচের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শাহিন টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে মারধর করে।’

আরও পড়ুন—

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত