নোয়াখালীতে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪ 

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
Thumbnail image

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার রব্বানিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৪ জন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে মাদ্রাসায় গেলে অধ্যক্ষের পক্ষের বহিরাগত লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। 

আহতরা হলেন, ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ ইউনুস, মো. পারভেজ, আলেম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাকসুদুর রহমান, ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ জাবেদ। 

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান এক যুগ ধরে অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমপিও বেতনের বাইরে মাদ্রাসা ফান্ড থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম, সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, মাদ্রাসার বই বিক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশনের টাকার কোনো হিসেব না দেওয়া, ঘুষ গ্রহণ, পক্ষপাতিত্বমূলক কমিটি করা, কয়েকজন শিক্ষক মাদ্রাসায় ক্লাস না করালেও নিয়মিত বেতন দেওয়া, নিরাপত্তা প্রহরীকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 

ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, নানা অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বেশ কিছুদিন ধরেই অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন। সকালে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ব্যানার নিয়ে জড়ো হতে থাকলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষের লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। 

হামলার বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘দুপুরে শিক্ষার্থী পরিচয় দানকারী কিছু বহিরাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে আমার পদত্যাগ দাবিতে মিছিল করে। বহিরাগতদের মাদ্রাসায় এসে মিছিলের খবর শুনে মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়। তারা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় বহিরাগতরা পালিয়ে যায়।’ 

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষ বাধে। ছবি: আজকের পত্রিকাপরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুবর্ণচরের প্রতিনিধি মো. দেলোয়ার হোসেন ও আতিকুর রহমান এবং শিক্ষক প্রতিনিধি প্রফেসর মিজানুর রহমান আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররা আন্দোলন স্থগিত করেন। 

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত