প্রতিনিধি, রাঙামাটি
কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার দঙ্গলে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। প্রতিদিন শত শত মানুষকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। কচুরিপানা অপসারণ অনেক কঠিন কাজ। এর কাছে এমনকি প্রশাসনও অনেকটা অসহায়। তাই বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না।
এই কচুরিপানা কাপ্তাই হ্রদের উর্বর মাটিতে জন্মায়। পাহাড়ি ঢলে সেগুলো ভেসে ওঠে। কাদাপানিতে কচুরিপানার কালো শুঁড় অনেক লম্বা হয়। একটার সঙ্গে আরেকটা জট পাকিয়ে দুর্লঙ্ঘ্য হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনচালিত নৌকার পাখায় কচুরিপানার শুঁড়ে আটকে যায়। এতে ইঞ্জিন বিকল হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় হ্রদে।
জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও নৌযান চালকদের সঙ্গে কথা বলে এই দুর্ভোগের কথা জানা গেছে। রাঙামাটি সদর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন ৫০ টির বেশি লঞ্চ চলাচল করে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করে ৪০০ টির বেশি। আর চলে শতাধিক স্পিডবোট। কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা এসব নৌযান।
এ জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, নানিয়াচর, লংগদু ও বিলাইছড়ির সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। সড়ক পথে দূরত্ব বেশি হওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলার মানুষও ব্যবহার করে নৌযান। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদের ঘন কচুরিপানার কারণে স্পিডবোটসহ ছোট নৌযান বিকল হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বরকলের স্কুলশিক্ষক অমল চাকমা। আগামী রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা সদর থেকে তাঁকে বিদ্যালয়ে যেতে হবে। এক ঘণ্টার পথ। কিন্তু কচুরিপানার কারণে এখন দুই ঘণ্টার বেশি লাগতে পারে।
বরকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, ‘জেলা সদরের সঙ্গে আমার এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র উপায় হলো নৌপথ। কিন্তু কচুরিপানার যন্ত্রণা আমরা অতিষ্ঠ। কাপ্তাই হ্রদের শুভলং, বরুণাছড়ি, মাইসছড়িসহ কয়েকটি জায়গায় এত বেশি কচুরিপানা যে প্রায়ই সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিকল হয়।’
রাঙামাটি-বাঘাইছড়ি নৌপথের স্পিডবোট চালক মো. কালাম বলেন, ‘এ বছর হ্রদে অনেক বেশি কচুরিপানা হয়েছে। কচুরিপানার সামনে পড়লে দিনটাই মাটি হয়ে যায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন সময় লাগে, তেমনি জ্বালানিও লাগে দ্বিগুণ। এতে আমাদের লোকসান হয়।’
ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক বাবুধন চাকমা বলেন, ‘পানি বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা ছড়িয়ে পড়েছে। শেকড় গজিয়ে লম্বা জালের মতো হয়েছে। কচুরিপানার এই লম্বা শেকড় পাখনায় আটকে বোটকে অচল করে দেয়।’
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, কচুরিপানার কারণে ছোট নৌযান চলাচলে সমস্যা হয়। তবে লঞ্চ চলাচলে এগুলো তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না।
রাঙামাটি সদর কৃষি কার্যালয়ের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুকুল কান্তি দেওয়ান বলেন, হ্রদের কচুরিপানা খুব উর্বর ভূমিতে জন্মায়। পানি যখন শুকিয়ে যায়, তখন পলি জমা উর্বর মাটির ওপর এগুলো জন্মে। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কচুরিপানার নিচের অংশ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কারণ পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানির সঙ্গে কাদা থাকে। এ কাদা কচুরিপানার খাদ্যে পরিণত হয়। তা ছাড়া অনেকে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ঘোনায় কচুরিপানা আটকের রাখেন। পানি বাড়লে এগুলো জাঁক থেকে বেরিয়ে যায়। এগুলো মানুষের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কচুরিপানার সমস্যা সমাধানের জন্য অতীতে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। এগুলো মৌসুম অনুযায়ী বাড়ে ও কমে। হ্রদের পানি এখন পানি বাড়ছে। পানি স্থির হলে, এগুলো স্থির হবে। তার ওপরে চেয়ে থাকা ছাড়া আমাদের করার কিছু থাকে না।’
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ সময়ে কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা নৌপথে বিরাট বাধার সৃষ্টি করে আগে শুনেছি। এখন বাস্তবে দেখছি। এগুলো অপসারণ করা বেশ কঠিন কাজ। একদিনে বা এক মাসে দূর করা সম্ভব না। কাজটি জটিল। বিড়ম্বনার মধ্যে আমাদের চলতে হবে।’
কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার দঙ্গলে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। প্রতিদিন শত শত মানুষকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। কচুরিপানা অপসারণ অনেক কঠিন কাজ। এর কাছে এমনকি প্রশাসনও অনেকটা অসহায়। তাই বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না।
এই কচুরিপানা কাপ্তাই হ্রদের উর্বর মাটিতে জন্মায়। পাহাড়ি ঢলে সেগুলো ভেসে ওঠে। কাদাপানিতে কচুরিপানার কালো শুঁড় অনেক লম্বা হয়। একটার সঙ্গে আরেকটা জট পাকিয়ে দুর্লঙ্ঘ্য হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনচালিত নৌকার পাখায় কচুরিপানার শুঁড়ে আটকে যায়। এতে ইঞ্জিন বিকল হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় হ্রদে।
জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও নৌযান চালকদের সঙ্গে কথা বলে এই দুর্ভোগের কথা জানা গেছে। রাঙামাটি সদর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন ৫০ টির বেশি লঞ্চ চলাচল করে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করে ৪০০ টির বেশি। আর চলে শতাধিক স্পিডবোট। কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা এসব নৌযান।
এ জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, নানিয়াচর, লংগদু ও বিলাইছড়ির সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। সড়ক পথে দূরত্ব বেশি হওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলার মানুষও ব্যবহার করে নৌযান। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদের ঘন কচুরিপানার কারণে স্পিডবোটসহ ছোট নৌযান বিকল হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বরকলের স্কুলশিক্ষক অমল চাকমা। আগামী রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা সদর থেকে তাঁকে বিদ্যালয়ে যেতে হবে। এক ঘণ্টার পথ। কিন্তু কচুরিপানার কারণে এখন দুই ঘণ্টার বেশি লাগতে পারে।
বরকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, ‘জেলা সদরের সঙ্গে আমার এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র উপায় হলো নৌপথ। কিন্তু কচুরিপানার যন্ত্রণা আমরা অতিষ্ঠ। কাপ্তাই হ্রদের শুভলং, বরুণাছড়ি, মাইসছড়িসহ কয়েকটি জায়গায় এত বেশি কচুরিপানা যে প্রায়ই সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিকল হয়।’
রাঙামাটি-বাঘাইছড়ি নৌপথের স্পিডবোট চালক মো. কালাম বলেন, ‘এ বছর হ্রদে অনেক বেশি কচুরিপানা হয়েছে। কচুরিপানার সামনে পড়লে দিনটাই মাটি হয়ে যায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন সময় লাগে, তেমনি জ্বালানিও লাগে দ্বিগুণ। এতে আমাদের লোকসান হয়।’
ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক বাবুধন চাকমা বলেন, ‘পানি বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা ছড়িয়ে পড়েছে। শেকড় গজিয়ে লম্বা জালের মতো হয়েছে। কচুরিপানার এই লম্বা শেকড় পাখনায় আটকে বোটকে অচল করে দেয়।’
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, কচুরিপানার কারণে ছোট নৌযান চলাচলে সমস্যা হয়। তবে লঞ্চ চলাচলে এগুলো তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না।
রাঙামাটি সদর কৃষি কার্যালয়ের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুকুল কান্তি দেওয়ান বলেন, হ্রদের কচুরিপানা খুব উর্বর ভূমিতে জন্মায়। পানি যখন শুকিয়ে যায়, তখন পলি জমা উর্বর মাটির ওপর এগুলো জন্মে। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কচুরিপানার নিচের অংশ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কারণ পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানির সঙ্গে কাদা থাকে। এ কাদা কচুরিপানার খাদ্যে পরিণত হয়। তা ছাড়া অনেকে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ঘোনায় কচুরিপানা আটকের রাখেন। পানি বাড়লে এগুলো জাঁক থেকে বেরিয়ে যায়। এগুলো মানুষের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কচুরিপানার সমস্যা সমাধানের জন্য অতীতে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। এগুলো মৌসুম অনুযায়ী বাড়ে ও কমে। হ্রদের পানি এখন পানি বাড়ছে। পানি স্থির হলে, এগুলো স্থির হবে। তার ওপরে চেয়ে থাকা ছাড়া আমাদের করার কিছু থাকে না।’
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ সময়ে কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা নৌপথে বিরাট বাধার সৃষ্টি করে আগে শুনেছি। এখন বাস্তবে দেখছি। এগুলো অপসারণ করা বেশ কঠিন কাজ। একদিনে বা এক মাসে দূর করা সম্ভব না। কাজটি জটিল। বিড়ম্বনার মধ্যে আমাদের চলতে হবে।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
২ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১৮ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
২৩ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
৪০ মিনিট আগে