চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় খাসজমি থাকলেও তিন ফসলি জমিতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন কৃষক ও এলাকাবাসী। কৃষকেরা ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ফসলি জমি রক্ষার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন।
উপজেলার আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের উত্তর আলগী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত ফসলি মাঠে অনেক কৃষক কাজ করছেন। সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে হওয়ার কারণে বছরে খুব সহজেই এসব জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন হয়।
উত্তর আলগী গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে স্টেডিয়াম হলে আমাদের ক্ষতি হবে। কারণ এই জমিগুলোতে তিন ফসল উৎপাদন হয়। আমাদের ফসল উৎপাদন করেই চলতে হয়। আমরা চাই সরকার মিনি স্টেডিয়াম করুক। তবে ফসলি জমিতে নয়, যেখানে পরিত্যক্ত জমি আছে সেখানে করা হোক।’
কৃষক মকসুদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই মাঠে অনেকে নিজের জমির সঙ্গে অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদন করে। এখানে স্টেডিয়াম হলে কী করে খাবে? আমরা এই স্থানে স্টেডিয়াম চাই না।’
ওই মাঠে কয়েক একর জমি আছে শহীদ গাজীর। তিনি বলেন, ‘এই মাঠের রাস্তার পাশের জমি প্রতি শতাংশ বিক্রি করি ৫ লাখ টাকা করে। এখানে মিনি স্টেডিয়াম হলে আমরা সঠিক মূল্য পাব না এবং ফসল উৎপাদন বন্ধ হবে। আমাদের স্টেডিয়ামের প্রয়োজন নাই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে হাইমচর উপজেলার লামচরি গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) খাসজমিতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই সময় পাউবোকে বিষয়টি না জানানোয় প্রস্তাবটি বাতিল যায়। এরপর আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত উত্তর আলগী মৌজায় প্রায় সাড়ে ৩ দশমিক ১৯০০ একর পতিত নাল জমি দেখিয়ে স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। অথচ এই তিন ফসলি মাঠই উপজেলার সবচেয়ে বড়। কৃষকেরা তাঁদের জমিতে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের পর বালু দিয়ে ভরাটের খবর পেয়েই ফুসে ওঠেন।
ওই গ্রামের যুবক রাব্বি বলেন, ‘এই মাঠের জমিগুলো তিন ফসলি। হাইমচরে অনেক জমি আছে, যেখানে এক ফসল হয়। সেখানে অথবা অপ্রয়োজনীয় অনেক জমি আছে, সেখানে স্টেডিয়াম করা হোক। আমরা স্টেডিয়ামের বিপক্ষে না। উন্নয়নের পক্ষে। কারণ এটি হলে খেলাধুলা বাড়বে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ‘এলাকার সব প্রান্তিক কৃষকের পক্ষে আমি গত ২৩ মে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। সেখানে ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম না করার দাবি জানাই। কারণ তিন ফসলি জমিতে এটি হলে কৃষকেরা ভূমিহীন হয়ে পড়বেন। আমরা তখন জেলা প্রশাসককে উপজেলার চরভাঙ্গা মৌজায় স্টেডিয়াম করার জন্য মতামত দেই।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘কৃষকেরা যেখানে আপত্তি জানাচ্ছে, সেখানে না করে আমাদের ইউনিয়নের লামচরিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি আছে। সেখানেও করা যেতে পারে, যদি কারও আপত্তি না থাকে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মতামত দিলেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমরা স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে কোনো কৃষকের ক্ষতি হবে না। বরং এলাকার উন্নয়ন হবে। এ ছাড়া ভালো কাজ করতে গেলে সামান্য কিছু মানুষের ক্ষতি হলেও উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের উপকার হবে।’
হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার বলেন, ‘উপজেলায় যেখানে মিনি স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব হয়েছে, সেখানকার কৃষকেরা আমাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছেন। ওই কমিটি রিপোর্ট দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় খাসজমি থাকলেও তিন ফসলি জমিতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন কৃষক ও এলাকাবাসী। কৃষকেরা ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ফসলি জমি রক্ষার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন।
উপজেলার আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের উত্তর আলগী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত ফসলি মাঠে অনেক কৃষক কাজ করছেন। সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে হওয়ার কারণে বছরে খুব সহজেই এসব জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন হয়।
উত্তর আলগী গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে স্টেডিয়াম হলে আমাদের ক্ষতি হবে। কারণ এই জমিগুলোতে তিন ফসল উৎপাদন হয়। আমাদের ফসল উৎপাদন করেই চলতে হয়। আমরা চাই সরকার মিনি স্টেডিয়াম করুক। তবে ফসলি জমিতে নয়, যেখানে পরিত্যক্ত জমি আছে সেখানে করা হোক।’
কৃষক মকসুদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই মাঠে অনেকে নিজের জমির সঙ্গে অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদন করে। এখানে স্টেডিয়াম হলে কী করে খাবে? আমরা এই স্থানে স্টেডিয়াম চাই না।’
ওই মাঠে কয়েক একর জমি আছে শহীদ গাজীর। তিনি বলেন, ‘এই মাঠের রাস্তার পাশের জমি প্রতি শতাংশ বিক্রি করি ৫ লাখ টাকা করে। এখানে মিনি স্টেডিয়াম হলে আমরা সঠিক মূল্য পাব না এবং ফসল উৎপাদন বন্ধ হবে। আমাদের স্টেডিয়ামের প্রয়োজন নাই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে হাইমচর উপজেলার লামচরি গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) খাসজমিতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই সময় পাউবোকে বিষয়টি না জানানোয় প্রস্তাবটি বাতিল যায়। এরপর আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত উত্তর আলগী মৌজায় প্রায় সাড়ে ৩ দশমিক ১৯০০ একর পতিত নাল জমি দেখিয়ে স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। অথচ এই তিন ফসলি মাঠই উপজেলার সবচেয়ে বড়। কৃষকেরা তাঁদের জমিতে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের পর বালু দিয়ে ভরাটের খবর পেয়েই ফুসে ওঠেন।
ওই গ্রামের যুবক রাব্বি বলেন, ‘এই মাঠের জমিগুলো তিন ফসলি। হাইমচরে অনেক জমি আছে, যেখানে এক ফসল হয়। সেখানে অথবা অপ্রয়োজনীয় অনেক জমি আছে, সেখানে স্টেডিয়াম করা হোক। আমরা স্টেডিয়ামের বিপক্ষে না। উন্নয়নের পক্ষে। কারণ এটি হলে খেলাধুলা বাড়বে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ‘এলাকার সব প্রান্তিক কৃষকের পক্ষে আমি গত ২৩ মে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। সেখানে ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম না করার দাবি জানাই। কারণ তিন ফসলি জমিতে এটি হলে কৃষকেরা ভূমিহীন হয়ে পড়বেন। আমরা তখন জেলা প্রশাসককে উপজেলার চরভাঙ্গা মৌজায় স্টেডিয়াম করার জন্য মতামত দেই।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘কৃষকেরা যেখানে আপত্তি জানাচ্ছে, সেখানে না করে আমাদের ইউনিয়নের লামচরিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি আছে। সেখানেও করা যেতে পারে, যদি কারও আপত্তি না থাকে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মতামত দিলেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমরা স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে কোনো কৃষকের ক্ষতি হবে না। বরং এলাকার উন্নয়ন হবে। এ ছাড়া ভালো কাজ করতে গেলে সামান্য কিছু মানুষের ক্ষতি হলেও উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের উপকার হবে।’
হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার বলেন, ‘উপজেলায় যেখানে মিনি স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব হয়েছে, সেখানকার কৃষকেরা আমাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছেন। ওই কমিটি রিপোর্ট দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৫ ঘণ্টা আগে