হাসপাতালের উন্মুক্ত স্থানে ফেলা বর্জ্যে ভোগান্তিতে রোগীরা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৫৭

১০০ শয্যা বিশিষ্ট রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল। মূল ফটক দিয়ে হাসপাতালে ঢুকতেই নাকে ভেসে আসে বর্জ‍্যের দুর্গন্ধ। খাবারের উচ্ছিষ্টসহ হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য ফেলার জন্য ডাস্টবিন থাকলেও সেখানে ফেলা হচ্ছে না। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলায় হাসপাতাল চত্বরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। 

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের খাবারের উচ্ছিষ্ট ও চিকিৎসার বর্জ্য ফেলার জন্য হাসপাতালের অ‍্যাম্বুলেন্স গ্যারেজের পাশে একটি ডাস্টবিন রয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ডাস্টবিনে হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে না। গ‍্যারেজের সামনে উন্মুক্তভাবে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। 

এসব বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে, রক্তের গজ, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্কসহ নানা ধরনের চিকিৎসা বর্জ্য। অ্যাম্বুলেন্স ধোয়ার সময় পানির সঙ্গে ওই বর্জ্য ভেসে যাচ্ছে শিশু ওয়ার্ডের রাস্তায়। ফলে বর্জ‍্যের দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। 

সবুজ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘খোলা জায়গায় হাসপাতালের বর্জ্য রাখায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার কারণে রোগ-বালাই বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্যই হচ্ছে।’ 

শাহিদ ব‍্যাপারি নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মশা-মাছি বেড়ে যাচ্ছে। এই সব বর্জ‍্যের জীবাণু থেকে বিভিন্ন রোগও হতে পারে।’ 

কামাল হোসেন বলেন, অ‍্যাম্বুলেন্স গ‍্যাজেরের এখানে আসার মতো উপায় নেই। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলে রাখছে। রোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবারসহ চিকিৎসা বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকার কারণে এই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক অ‍্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, ‘গ‍্যারেজের সামনে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে গাড়ি ধোয়া-মোছাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একাধিকবার বলার পরও এখানে ময়লা ফেলে যায়। অথচ গ‍্যারেজ থেকে পাঁচ ফুট দূরেই ডাস্টবিন রয়েছে।’ 

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, এ বিষয়ে বলার পরেও সুইপারেরা এ কাজ করছে। আমাদের সরকারিভাবে সুইপার না থাকায় বাইরে থেকে ধার করে আনা সুইপারদের কিছু বলাও যাচ্ছে না। এরপর বিষয়টি দেখছি কি করা যায়।’ 

 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত