নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের পাশের ‘চিটাগাং শিশু পার্ক’ সিলগালা করে জমির মালিকানা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই পার্ক অপসারণে ভূমিকা রাখা আন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল হাসান এবং নু-এমং মারমা মং উপস্থিত থেকে পার্কের মূল ফটক সিলগালা করে দেন। পরে সেখানে একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়। তাতে লেখা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। আদেশক্রমে মিলিটারি এস্টেটস অফিসার, পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু রায়হান দোলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা জমিটি প্রতিরক্ষা বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এটি মূলত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তাঁদের এক্সিকিউটিভ অফিসাররা উপস্থিত আছেন।’
সার্কিট হাউস এলাকা থেকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ও শিশু পার্ক অপসারণের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামের একটি সংগঠন। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। প্রশাসনকে ধন্যবাদ শিশু পার্কটিকে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য। এখন এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানাই। পাশাপাশি জায়গাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।’
অপরাজেয় বাংলার সদস্যরা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সার্কিট হাউসের সামনেই এই মাঠে চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৮৮ সাল থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার মাঠ, জিমনেসিয়াম এবং সেসময়ের পুরোনো সার্কিট হাউসের মাঠ ঘিরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হলে শিশু পার্কের ওই স্থানটিতে প্রথম ‘বিজয় মঞ্চ’ স্থাপিত হয়।
২০২১ সালের ৯ মে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং চট্টগ্রামের মেয়রকে চিঠি দিয়ে ‘চিটাগাং শিশু পার্ক’ নামের পার্কটির ইজারা বাতিলের অনুরোধ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) আগ্রহে ১৯৯২ সালে ১৩ জুলাই তিন একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপনে নগর সংস্থাটিকে অনাপত্তি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেডকে ২৫ বছরের জন্য জমিটি প্রথমবার ইজারা দিয়েছিল সিসিসি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ওই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আবার ১৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কের জমিটির ইজারা চুক্তি নবায়ন করে নগর সংস্থা। তখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। পার্কটি অপসারণের দাবিতে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘নাগরিক উদ্যোগ’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন করেছিল। ওই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের পাশের ‘চিটাগাং শিশু পার্ক’ সিলগালা করে জমির মালিকানা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই পার্ক অপসারণে ভূমিকা রাখা আন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল হাসান এবং নু-এমং মারমা মং উপস্থিত থেকে পার্কের মূল ফটক সিলগালা করে দেন। পরে সেখানে একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়। তাতে লেখা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। আদেশক্রমে মিলিটারি এস্টেটস অফিসার, পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু রায়হান দোলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা জমিটি প্রতিরক্ষা বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এটি মূলত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তাঁদের এক্সিকিউটিভ অফিসাররা উপস্থিত আছেন।’
সার্কিট হাউস এলাকা থেকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ও শিশু পার্ক অপসারণের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামের একটি সংগঠন। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। প্রশাসনকে ধন্যবাদ শিশু পার্কটিকে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য। এখন এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানাই। পাশাপাশি জায়গাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।’
অপরাজেয় বাংলার সদস্যরা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সার্কিট হাউসের সামনেই এই মাঠে চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৮৮ সাল থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার মাঠ, জিমনেসিয়াম এবং সেসময়ের পুরোনো সার্কিট হাউসের মাঠ ঘিরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হলে শিশু পার্কের ওই স্থানটিতে প্রথম ‘বিজয় মঞ্চ’ স্থাপিত হয়।
২০২১ সালের ৯ মে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং চট্টগ্রামের মেয়রকে চিঠি দিয়ে ‘চিটাগাং শিশু পার্ক’ নামের পার্কটির ইজারা বাতিলের অনুরোধ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) আগ্রহে ১৯৯২ সালে ১৩ জুলাই তিন একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপনে নগর সংস্থাটিকে অনাপত্তি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেডকে ২৫ বছরের জন্য জমিটি প্রথমবার ইজারা দিয়েছিল সিসিসি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ওই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আবার ১৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কের জমিটির ইজারা চুক্তি নবায়ন করে নগর সংস্থা। তখন সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। পার্কটি অপসারণের দাবিতে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘নাগরিক উদ্যোগ’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন করেছিল। ওই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
৬ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
১১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২১ মিনিট আগে