নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। তাঁর আটজন আত্মীয় ওই দপ্তরে চাকরি করছেন; কেউ তাঁর ভাবি, কেউ ভাগনি আর কেউ চাচা।
এই প্রকৌশলী যে বাড়ি করেছেন, সেটির দাম আনুমানিক ৫ কোটি টাকা। সেই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা করেছেন সরকারের ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে। এসব অভিযোগে তাঁকে বান্দরবানে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি। বদলি ঠেকাতে এই প্রকৌশলী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সুমন সিংহের গ্রামের বাড়িও চট্টগ্রামের পটিয়ায়। গ্রামের বাড়িতে আলিশান বাড়ির পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের অভিজাত এলাকা জামালখানে ফ্ল্যাটও রয়েছে তাঁর।
অভিযোগ রয়েছে, নিজের পরিবারের লোকজনকে পছন্দমতো পদে বসিয়েছেন সুমন সিংহ। তাঁদের দিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের নিয়ে কাজ ভাগিয়ে নেন। পরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন নেন সুমন।
বিভিন্ন অভিযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি স্ট্যান্ড রিলিজ হন সুমন সিংহ। সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বান্দরবান সড়ক বিভাগে বদলি করা হয়। একই আদেশে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সওজ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে। প্রজ্ঞাপনে এ দুই কর্মকর্তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে দায়িত্বভার হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ অফিসে সুমন সিংহের ভাবি সুপ্রিয়া সিংহ, চাচাতো ভাই সুব্রত সিংহ ও ভাগনি চৈতী দেবকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাচা স্বপন চৌধুরী ও মাধু সিকদারকে শ্রমিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরেক চাচা পুলক সিকদার ও চাচাতো ভাই অভি চৌধুরীকে গার্ড পদে এবং চাচাতো ভাই প্রভাত মল্লিককে চালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সওজের কর্মী টিংকু ধর ও নিউটন সিংহ সুমন সিংহের চাচাতো ভাই। তাঁদের দিয়ে পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেন সুমন। বিধিমালা ৩(ডি) ভেঙে কাজ শুরুর আগে টেন্ডার ভাগাভাগি করে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ টাকা আদায় করেন এই প্রকৌশলী। তিনি সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারের মাধ্যমে সব কাজের কার্যাদেশ দেন। এতে প্রতিযোগিতা কমে যায়।
সওজ চট্টগ্রামের ওএসডি হওয়া এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ সড়ক বিভাগে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর রয়েছে। তারপরও সুমন সিংহ তাঁকে ওএসডি করে সুব্রত সিংহকে সড়ক বিভাগের সব টেন্ডার ও বিলিং কার্যক্রমের দায়িত্ব দিয়ে দেন।
এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়ার কথাকচুয়াই গ্রামে বাড়ি সুমন সিংহের। তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য ২০০ মিটার ও ১৫০ মিটারের দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ব্যয়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকার বরাদ্দে বানানো রাস্তা দুটির উপকারভোগী ওই দুই পরিবার। আবার আইন ভেঙে রাস্তা দুটির নামকরণ করা হয়েছে সেই প্রকৌশলীর মা-বাবা ও দাদা-দাদির নামে। ২০০ মিটার রাস্তাটি প্রকৌশলীর দাদা-দাদি যোগেন্দ্র-মাধুরী সিংহের নামে, আর ১৫০ মিটারের রাস্তাটিকে তাঁর মা-বাবা সুহাসিনী-প্রণবের নামে করা হয়েছে।
এলজিইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির নামে বর্তমানে সড়কের নামকরণ করা যায় না। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, আগে এই রাস্তার নাম ছিল তালতলা টু অলির হাট সড়ক। প্রকৌশলী প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার নাম বদলেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পর্যন্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সিংহ দাবি করেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। বদলি ঠেকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এ বিষয়ে সওজের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁকে অবশ্যই বদলি করা জায়গায় যেতে হবে। আমরা এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। অফিসের আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। তাঁর আটজন আত্মীয় ওই দপ্তরে চাকরি করছেন; কেউ তাঁর ভাবি, কেউ ভাগনি আর কেউ চাচা।
এই প্রকৌশলী যে বাড়ি করেছেন, সেটির দাম আনুমানিক ৫ কোটি টাকা। সেই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা করেছেন সরকারের ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে। এসব অভিযোগে তাঁকে বান্দরবানে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি। বদলি ঠেকাতে এই প্রকৌশলী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সুমন সিংহের গ্রামের বাড়িও চট্টগ্রামের পটিয়ায়। গ্রামের বাড়িতে আলিশান বাড়ির পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের অভিজাত এলাকা জামালখানে ফ্ল্যাটও রয়েছে তাঁর।
অভিযোগ রয়েছে, নিজের পরিবারের লোকজনকে পছন্দমতো পদে বসিয়েছেন সুমন সিংহ। তাঁদের দিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের নিয়ে কাজ ভাগিয়ে নেন। পরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন নেন সুমন।
বিভিন্ন অভিযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি স্ট্যান্ড রিলিজ হন সুমন সিংহ। সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বান্দরবান সড়ক বিভাগে বদলি করা হয়। একই আদেশে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সওজ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে। প্রজ্ঞাপনে এ দুই কর্মকর্তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে দায়িত্বভার হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ অফিসে সুমন সিংহের ভাবি সুপ্রিয়া সিংহ, চাচাতো ভাই সুব্রত সিংহ ও ভাগনি চৈতী দেবকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাচা স্বপন চৌধুরী ও মাধু সিকদারকে শ্রমিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরেক চাচা পুলক সিকদার ও চাচাতো ভাই অভি চৌধুরীকে গার্ড পদে এবং চাচাতো ভাই প্রভাত মল্লিককে চালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সওজের কর্মী টিংকু ধর ও নিউটন সিংহ সুমন সিংহের চাচাতো ভাই। তাঁদের দিয়ে পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেন সুমন। বিধিমালা ৩(ডি) ভেঙে কাজ শুরুর আগে টেন্ডার ভাগাভাগি করে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ টাকা আদায় করেন এই প্রকৌশলী। তিনি সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারের মাধ্যমে সব কাজের কার্যাদেশ দেন। এতে প্রতিযোগিতা কমে যায়।
সওজ চট্টগ্রামের ওএসডি হওয়া এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ সড়ক বিভাগে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর রয়েছে। তারপরও সুমন সিংহ তাঁকে ওএসডি করে সুব্রত সিংহকে সড়ক বিভাগের সব টেন্ডার ও বিলিং কার্যক্রমের দায়িত্ব দিয়ে দেন।
এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়ার কথাকচুয়াই গ্রামে বাড়ি সুমন সিংহের। তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য ২০০ মিটার ও ১৫০ মিটারের দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ব্যয়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকার বরাদ্দে বানানো রাস্তা দুটির উপকারভোগী ওই দুই পরিবার। আবার আইন ভেঙে রাস্তা দুটির নামকরণ করা হয়েছে সেই প্রকৌশলীর মা-বাবা ও দাদা-দাদির নামে। ২০০ মিটার রাস্তাটি প্রকৌশলীর দাদা-দাদি যোগেন্দ্র-মাধুরী সিংহের নামে, আর ১৫০ মিটারের রাস্তাটিকে তাঁর মা-বাবা সুহাসিনী-প্রণবের নামে করা হয়েছে।
এলজিইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির নামে বর্তমানে সড়কের নামকরণ করা যায় না। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, আগে এই রাস্তার নাম ছিল তালতলা টু অলির হাট সড়ক। প্রকৌশলী প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার নাম বদলেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পর্যন্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সিংহ দাবি করেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। বদলি ঠেকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এ বিষয়ে সওজের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁকে অবশ্যই বদলি করা জায়গায় যেতে হবে। আমরা এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। অফিসের আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
২ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
৩২ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে