নোয়াখালী প্রতিনিধি
বৃহত্তর নোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী। সেখানেই গড়ে উঠেছিল ৩২টি সরিষা তেলের মিল। কাঠের ঘানির শব্দ একসময় চৌমুহনীর মানুষের কাছে ছিল ছন্দের মতো। কিন্তু সয়াবিন তেলের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা, স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ এবং পুঁজি, কাঁচামালসহ নানা সংকটে ৩২টি মিল বন্ধ রয়েছে।
চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন সরিষা ঘানি ঘুরে জানা গেছে, শ্রমিক আর ক্রেতাদের পদচারণে মুখর থাকত এখানকার সরিষা তেলের মিল বা ঘানিগুলো। স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশের প্রায় সব বাজারই ছিল চৌমুহনীর সরিষা তেলের দখলে। গুণে ও মানে প্রসিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ঐতিহ্য হারিয়েছে এখানকার সব কটি ঘানি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রী গোবিন্দ অয়েল মিলস, শ্রী দুর্গা অয়েল মিলস, আদর্শ অয়েল মিলস, মতি অয়েল, গৌর অয়েল মিলস, নবযুগ অয়েল মিলস, মেঘনা অয়েল মিলস, শ্রী গোপাল অয়েল মিলস, ডালিয়া অয়েল মিলস, আজমীর অয়েল মিলস, গণেশ অয়েল মিলস, যমুনা অয়েল মিলস, বাল্ব মার্কা অয়েল, পপুলার অয়েল মিলস ও রোকেয়া অয়েল মিলস। প্রায় ৫০ বছরের এ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে চালু রয়েছে, নবযুগ অয়েল মিলস, বাল্ব মার্কা অয়েল, রোকেয়া অয়েল মিলস ও শ্রী গোপাল অয়েল মিলস।
ঘানির মালিকেরা বলেন, বর্তমানে জেলায় সরিষা তেলের চাহিদা রয়েছে প্রতিদিন ১৫ হাজার কেজির বেশি। কিন্তু ৪টি ঘানিতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কেজি তেল, যা চাহিদার মাত্র ৪ ভাগের ১ ভাগ। ফলে ঢাকা, ফেনী, লাকসামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ও বড় ব্র্যান্ডের তেলগুলো দিয়ে জেলার চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। বর্তমানে ঘানি উৎপাদিত তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। প্রতি মাসে সাড়ে ১০ কোটি টাকার তেলের চাহিদা থাকলেও সেই হিসাবে চারটি ঘানিতে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র আড়াই কোটি টাকার তেল। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাহিদার পুরোটাই জেলার ঘানিগুলোতে উৎপাদন সম্ভব হতো।
এ ছাড়া ঘানি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশির দশকের পরে চটকদার বিজ্ঞাপন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিমুক্ত বলে সয়াবিন তেলের ব্যাপক প্রচারণায় বাজার থেকে ছিটকে পড়ে সরিষা তেলের চাহিদা। ফলে একসময় লোকসানে পড়ে পুঁজি হারাতে থাকেন মালিকেরা। সঙ্গে প্রকট আকার ধারণ করে কাঁচামাল, পুঁজি ও শ্রমিক-সংকট। এ ছাড়া বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ঝামেলা ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারণে হয়রানির শিকার হয়ে অনেকেই মিল বা ঘানি বন্ধ দেন। এ ছাড়া কাঁচা সরিষা চাহিদার তুলনায় শতকরা মাত্র ২০ ভাগ উৎপাদিত হয় দেশে। বাকি ৮০ ভাগ আমদানি করতে হয় ফ্রান্স, কানাডা, চীন, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ অন্যান্য দেশ থেকে। স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করলে বন্ধ মিলগুলো আবার চালু করা সম্ভব বলছেন মালিকেরা।
সাধারণ ক্রেতাদের মতে, বিজ্ঞাপন দেখে সয়াবিন তেল ব্যবহার করলেও এখন রান্নায় সরিষার তেলের ব্যবহার বাড়িয়েছেন তাঁরা। দাম বেশি হলেও মান ভালো হওয়ায় সরিষার তেলই এখন ভরসা এবং এটি স্বাস্থ্যসম্মত। সরিষার আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি তেল উৎপাদনে মিলগুলো সচল রাখতে হলে সরকারি নজরদারি বাড়াতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চৌমুহনীর ঘানি থেকে তৈরি সরিষা তেলের নামডাক দীর্ঘদিনের। বর্তমানে বাজারে সরিষা তেলের চাহিদাও বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বন্ধ ঘানিমালিকদের সহযোগিতা করব। এ ছাড়া স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের বিষয়েও সহযোগিতা করা হবে।’
বৃহত্তর নোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী। সেখানেই গড়ে উঠেছিল ৩২টি সরিষা তেলের মিল। কাঠের ঘানির শব্দ একসময় চৌমুহনীর মানুষের কাছে ছিল ছন্দের মতো। কিন্তু সয়াবিন তেলের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা, স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ এবং পুঁজি, কাঁচামালসহ নানা সংকটে ৩২টি মিল বন্ধ রয়েছে।
চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন সরিষা ঘানি ঘুরে জানা গেছে, শ্রমিক আর ক্রেতাদের পদচারণে মুখর থাকত এখানকার সরিষা তেলের মিল বা ঘানিগুলো। স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশের প্রায় সব বাজারই ছিল চৌমুহনীর সরিষা তেলের দখলে। গুণে ও মানে প্রসিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ঐতিহ্য হারিয়েছে এখানকার সব কটি ঘানি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রী গোবিন্দ অয়েল মিলস, শ্রী দুর্গা অয়েল মিলস, আদর্শ অয়েল মিলস, মতি অয়েল, গৌর অয়েল মিলস, নবযুগ অয়েল মিলস, মেঘনা অয়েল মিলস, শ্রী গোপাল অয়েল মিলস, ডালিয়া অয়েল মিলস, আজমীর অয়েল মিলস, গণেশ অয়েল মিলস, যমুনা অয়েল মিলস, বাল্ব মার্কা অয়েল, পপুলার অয়েল মিলস ও রোকেয়া অয়েল মিলস। প্রায় ৫০ বছরের এ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে চালু রয়েছে, নবযুগ অয়েল মিলস, বাল্ব মার্কা অয়েল, রোকেয়া অয়েল মিলস ও শ্রী গোপাল অয়েল মিলস।
ঘানির মালিকেরা বলেন, বর্তমানে জেলায় সরিষা তেলের চাহিদা রয়েছে প্রতিদিন ১৫ হাজার কেজির বেশি। কিন্তু ৪টি ঘানিতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কেজি তেল, যা চাহিদার মাত্র ৪ ভাগের ১ ভাগ। ফলে ঢাকা, ফেনী, লাকসামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ও বড় ব্র্যান্ডের তেলগুলো দিয়ে জেলার চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। বর্তমানে ঘানি উৎপাদিত তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। প্রতি মাসে সাড়ে ১০ কোটি টাকার তেলের চাহিদা থাকলেও সেই হিসাবে চারটি ঘানিতে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র আড়াই কোটি টাকার তেল। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাহিদার পুরোটাই জেলার ঘানিগুলোতে উৎপাদন সম্ভব হতো।
এ ছাড়া ঘানি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশির দশকের পরে চটকদার বিজ্ঞাপন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিমুক্ত বলে সয়াবিন তেলের ব্যাপক প্রচারণায় বাজার থেকে ছিটকে পড়ে সরিষা তেলের চাহিদা। ফলে একসময় লোকসানে পড়ে পুঁজি হারাতে থাকেন মালিকেরা। সঙ্গে প্রকট আকার ধারণ করে কাঁচামাল, পুঁজি ও শ্রমিক-সংকট। এ ছাড়া বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ঝামেলা ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারণে হয়রানির শিকার হয়ে অনেকেই মিল বা ঘানি বন্ধ দেন। এ ছাড়া কাঁচা সরিষা চাহিদার তুলনায় শতকরা মাত্র ২০ ভাগ উৎপাদিত হয় দেশে। বাকি ৮০ ভাগ আমদানি করতে হয় ফ্রান্স, কানাডা, চীন, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ অন্যান্য দেশ থেকে। স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করলে বন্ধ মিলগুলো আবার চালু করা সম্ভব বলছেন মালিকেরা।
সাধারণ ক্রেতাদের মতে, বিজ্ঞাপন দেখে সয়াবিন তেল ব্যবহার করলেও এখন রান্নায় সরিষার তেলের ব্যবহার বাড়িয়েছেন তাঁরা। দাম বেশি হলেও মান ভালো হওয়ায় সরিষার তেলই এখন ভরসা এবং এটি স্বাস্থ্যসম্মত। সরিষার আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি তেল উৎপাদনে মিলগুলো সচল রাখতে হলে সরকারি নজরদারি বাড়াতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চৌমুহনীর ঘানি থেকে তৈরি সরিষা তেলের নামডাক দীর্ঘদিনের। বর্তমানে বাজারে সরিষা তেলের চাহিদাও বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বন্ধ ঘানিমালিকদের সহযোগিতা করব। এ ছাড়া স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের বিষয়েও সহযোগিতা করা হবে।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৫ ঘণ্টা আগে