আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনায় কাত হয়ে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘মেরিন ট্রাস্ট-১ এর ছয় নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। কখন তারা দেশে ফিরে আসবেন, সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারছে না কেউ। জাহাজ মালিকেরা খোঁজ খবর রাখছেন বললেও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এসব নাবিকদের পরিবার। পরিবারের লোকজন বলছেন, ‘আটক নাবিকেরা সেখানে কষ্টে জীবন যাপন করছেন।’
কলকাতার সিমেন্স হোস্টেলে আটক থাকা মেরিন ট্রাস্ট-১ দ্বিতীয় প্রকৌশলী শাহ পরান খানের বড় ভাই নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা জুম্মান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত মাসের বেশি সময় আমার মা-বাবা চিন্তায় রয়েছে। গত দুটি ঈদেও আমার ভাই পরিবারের কাছে আসতে পারেনি।’
এর আগে গত ২৪ মার্চ কন্টেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে কাত হয়ে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজটি। এ সময় জাহাজটিতে ১৫ জন ছিলেন। গত ২৯ আগস্ট ১৫ নাবিকের মধ্যে ৯ জন নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি ৬ জন নাবিক ৭ মাস ধরে কলকাতার সিমেন্স হোস্টেলে আটক আছেন। যদিও দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশি জাহাজের ওপর চার্জ আরোপ ও তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সেখানে আটকে রাখছে বলে দাবি করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় কাত হয়ে পড়া মেরিন ট্রাস্ট-১ জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন অন্য জাহাজ দিয়ে টেনে নিয়ে আসার জন্য কলকাতা বন্দরের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু আটক বাংলাদেশি নাবিকেরা কখন দেশে আসবে তা অনিশ্চয়তায় রয়েছে। এতে তাদের পরিবার পরিজন চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজ মেসার্স মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাকেবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। আমরা কলকাতায় শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
এই বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর দেওয়া এক পত্রে বাংলাদেশি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়। এরপর ১১ মে কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে তাঁদের প্রতিদিন ৪৬ লাখ রুপি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজটি থেকে নিঃসরিত তেলে সেখানকার পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। জাহাজটির বাংলাদেশি মালিকপক্ষ বিনা পয়সায় বন্দর থেকে সার্ভিস চাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে জাহাজটি সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০ এপ্রিল (আরেক পত্রে) দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজটির মালিক মেসার্স মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডকে চিঠি দিয়ে কলকাতা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে সকল দায় ও ক্ষতিপূরণ মালিককে পরিশোধের জন্য বলেছে। ওই চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাগাদা দেওয়া হয়েছিল।
২৪ মে কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের সচিব কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেওয়া পত্রে ১৫ জন নাবিকের মধ্যে ৬ জনকে রেখে দিয়ে ৯ জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী মেরিন ট্রাস্ট-১ কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টকে ব্যবস্থা নিতে ২ জুলাই পত্র দেয়। মেরিন ট্রাস্ট-১ কর্তৃপক্ষ গতকাল কলকাতার শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ট্রাফিক বিভাগকে দেওয়া পত্রে সব নাবিকের মুক্তি চেয়েছে।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে থাকা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন একে এম মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে প্রায় সাত মাসের বেশি সময় আমাদের কলকাতার মেরিন ক্লাবে রাখা হয়েছে। এখানে থাকা খাওয়া নিয়ে আমাদের কোনো কষ্ট হচ্ছে না। তবে পরিবার পরিজনের কাছে যেতে পারছি না, এটা অনেক কষ্টের। ঈদের সময়ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারিনি।’ তিনি দুদেশের মধ্যে আলোচনা করে ৬ জন নাবিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
ক্যাপ্টেন একেএম মুছার সঙ্গে কলকাতার মেরিন ক্লাবে আটকে থাকা অন্যরা হলেন মাস্টার মো. আসগর আলী, অনিমেষ সিকদার, ফাহিম ফয়সাল, শাহ ফরান খান, মো. ফরহাদ সিকদার।

কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনায় কাত হয়ে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘মেরিন ট্রাস্ট-১ এর ছয় নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। কখন তারা দেশে ফিরে আসবেন, সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারছে না কেউ। জাহাজ মালিকেরা খোঁজ খবর রাখছেন বললেও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এসব নাবিকদের পরিবার। পরিবারের লোকজন বলছেন, ‘আটক নাবিকেরা সেখানে কষ্টে জীবন যাপন করছেন।’
কলকাতার সিমেন্স হোস্টেলে আটক থাকা মেরিন ট্রাস্ট-১ দ্বিতীয় প্রকৌশলী শাহ পরান খানের বড় ভাই নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা জুম্মান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত মাসের বেশি সময় আমার মা-বাবা চিন্তায় রয়েছে। গত দুটি ঈদেও আমার ভাই পরিবারের কাছে আসতে পারেনি।’
এর আগে গত ২৪ মার্চ কন্টেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে কাত হয়ে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজটি। এ সময় জাহাজটিতে ১৫ জন ছিলেন। গত ২৯ আগস্ট ১৫ নাবিকের মধ্যে ৯ জন নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি ৬ জন নাবিক ৭ মাস ধরে কলকাতার সিমেন্স হোস্টেলে আটক আছেন। যদিও দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশি জাহাজের ওপর চার্জ আরোপ ও তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সেখানে আটকে রাখছে বলে দাবি করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় কাত হয়ে পড়া মেরিন ট্রাস্ট-১ জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন অন্য জাহাজ দিয়ে টেনে নিয়ে আসার জন্য কলকাতা বন্দরের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু আটক বাংলাদেশি নাবিকেরা কখন দেশে আসবে তা অনিশ্চয়তায় রয়েছে। এতে তাদের পরিবার পরিজন চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজ মেসার্স মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাকেবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। আমরা কলকাতায় শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
এই বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর দেওয়া এক পত্রে বাংলাদেশি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়। এরপর ১১ মে কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে তাঁদের প্রতিদিন ৪৬ লাখ রুপি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজটি থেকে নিঃসরিত তেলে সেখানকার পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। জাহাজটির বাংলাদেশি মালিকপক্ষ বিনা পয়সায় বন্দর থেকে সার্ভিস চাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে জাহাজটি সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০ এপ্রিল (আরেক পত্রে) দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজটির মালিক মেসার্স মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডকে চিঠি দিয়ে কলকাতা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে সকল দায় ও ক্ষতিপূরণ মালিককে পরিশোধের জন্য বলেছে। ওই চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাগাদা দেওয়া হয়েছিল।
২৪ মে কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের সচিব কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেওয়া পত্রে ১৫ জন নাবিকের মধ্যে ৬ জনকে রেখে দিয়ে ৯ জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী মেরিন ট্রাস্ট-১ কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টকে ব্যবস্থা নিতে ২ জুলাই পত্র দেয়। মেরিন ট্রাস্ট-১ কর্তৃপক্ষ গতকাল কলকাতার শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ট্রাফিক বিভাগকে দেওয়া পত্রে সব নাবিকের মুক্তি চেয়েছে।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে থাকা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন একে এম মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে প্রায় সাত মাসের বেশি সময় আমাদের কলকাতার মেরিন ক্লাবে রাখা হয়েছে। এখানে থাকা খাওয়া নিয়ে আমাদের কোনো কষ্ট হচ্ছে না। তবে পরিবার পরিজনের কাছে যেতে পারছি না, এটা অনেক কষ্টের। ঈদের সময়ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারিনি।’ তিনি দুদেশের মধ্যে আলোচনা করে ৬ জন নাবিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
ক্যাপ্টেন একেএম মুছার সঙ্গে কলকাতার মেরিন ক্লাবে আটকে থাকা অন্যরা হলেন মাস্টার মো. আসগর আলী, অনিমেষ সিকদার, ফাহিম ফয়সাল, শাহ ফরান খান, মো. ফরহাদ সিকদার।

পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি
৯ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে ফেরিতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ চালু হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকসহ পাঁচটি যান নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বক্তাবলী ও নরসিংপুর ঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি যান নদীতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী রফিক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে রিকশাভ্যানচালক স্বাধীন (২৫) ও মাসুদ নামের দুজন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে রাতেই নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্বাধীন ও মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার পর ফেরির কয়েকজন যাত্রী ও চালক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রকিবুজ্জামান বলেন, ‘ফেরিতে থাকা ট্রাকটি হঠাৎ নিজে থেকেই স্টার্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে যানবাহনগুলো নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় একজন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং পরে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে ফেরিতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ চালু হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকসহ পাঁচটি যান নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বক্তাবলী ও নরসিংপুর ঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি যান নদীতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী রফিক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে রিকশাভ্যানচালক স্বাধীন (২৫) ও মাসুদ নামের দুজন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে রাতেই নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্বাধীন ও মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার পর ফেরির কয়েকজন যাত্রী ও চালক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রকিবুজ্জামান বলেন, ‘ফেরিতে থাকা ট্রাকটি হঠাৎ নিজে থেকেই স্টার্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে যানবাহনগুলো নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় একজন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং পরে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’

আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে
১১ অক্টোবর ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৫ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সালাহউদ্দিন আম্মার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। রাবি প্রশাসন দেড় বছর সময় পেয়েছে, এখন সময় বিপ্লবীদের।’ তিনি লেখেন, ‘শহীদ হাদির রক্ত আরো একবার শেখালো লীগের প্রতি নমনীয়তা আমাদের জন্য কতটা বিভৎস হতে পারে।’ আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে উপস্থিত থাকার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন রাকসু জিএস। অভিযুক্তদের নাম, কর্মস্থল, বর্তমান পদবি, ঠিকানা এবং ফ্যাসিজমের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণাদি সরাসরি তার ফেসবুক ইনবক্স অথবা নির্দিষ্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক পোস্টে তিনি আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সালাহউদ্দিন আম্মার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। রাবি প্রশাসন দেড় বছর সময় পেয়েছে, এখন সময় বিপ্লবীদের।’ তিনি লেখেন, ‘শহীদ হাদির রক্ত আরো একবার শেখালো লীগের প্রতি নমনীয়তা আমাদের জন্য কতটা বিভৎস হতে পারে।’ আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে উপস্থিত থাকার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন রাকসু জিএস। অভিযুক্তদের নাম, কর্মস্থল, বর্তমান পদবি, ঠিকানা এবং ফ্যাসিজমের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণাদি সরাসরি তার ফেসবুক ইনবক্স অথবা নির্দিষ্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক পোস্টে তিনি আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দেন।

আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে
১১ অক্টোবর ২০২২
পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি
৯ মিনিট আগে
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৫ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

মরমি কবি হাসন রাজার ১৭১তম জন্মদিন আজ। আধ্যাত্মিক এই সাধকের জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের সন্নিকটে সুরমা নদীর তীরবর্তী লক্ষণছিরি (লক্ষণশ্রী) পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষণশ্রীসহ সিলেটের একাংশজুড়ে তাঁর জমিদারি ছিল।
হাসন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ না করলেও ছিলেন স্বশিক্ষিত। সরল ভাষায় সহস্রাধিক মরমি গান রচনা করেছেন হাসন। তিনি গানের মাধ্যমে অগণিত মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- ‘লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নাই আমার’; ‘নেশা লাগিলরে, বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিলরে’; ‘গুড্ডি উড়াইলো মোরে, মৌলার হাতের ডুরি’; ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে, আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে’; ‘আমি যাইমুরে যাইমু, আল্লার সঙ্গে।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও হাসন রাজা রচিত গানের প্রশংসা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধিকবার তাঁর বক্তব্যে হাসন রাজার গানের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে হাসনের দর্শনচিন্তার কথা তুলে ধরেন। হাসন রাজার সৃষ্টিকর্ম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমাদৃত।
বহু গানের রচয়িতা আধ্যাত্মিক সাধক হাসন রাজা ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। হাসনের জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠিত ‘হাসন রাজা মিউজিয়াম’ একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছেন তাঁর ভক্ত ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

মরমি কবি হাসন রাজার ১৭১তম জন্মদিন আজ। আধ্যাত্মিক এই সাধকের জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের সন্নিকটে সুরমা নদীর তীরবর্তী লক্ষণছিরি (লক্ষণশ্রী) পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষণশ্রীসহ সিলেটের একাংশজুড়ে তাঁর জমিদারি ছিল।
হাসন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ না করলেও ছিলেন স্বশিক্ষিত। সরল ভাষায় সহস্রাধিক মরমি গান রচনা করেছেন হাসন। তিনি গানের মাধ্যমে অগণিত মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- ‘লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নাই আমার’; ‘নেশা লাগিলরে, বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিলরে’; ‘গুড্ডি উড়াইলো মোরে, মৌলার হাতের ডুরি’; ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে, আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে’; ‘আমি যাইমুরে যাইমু, আল্লার সঙ্গে।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও হাসন রাজা রচিত গানের প্রশংসা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধিকবার তাঁর বক্তব্যে হাসন রাজার গানের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে হাসনের দর্শনচিন্তার কথা তুলে ধরেন। হাসন রাজার সৃষ্টিকর্ম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমাদৃত।
বহু গানের রচয়িতা আধ্যাত্মিক সাধক হাসন রাজা ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। হাসনের জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠিত ‘হাসন রাজা মিউজিয়াম’ একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছেন তাঁর ভক্ত ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে
১১ অক্টোবর ২০২২
পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি
৯ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৫ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে
১১ অক্টোবর ২০২২
পুলিশ জানায়, নরসিংপুর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি বক্তাবলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে এতে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎ স্টার্ট হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি
৯ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতাপশালী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত জাহানের দ্বিতীয় ছেলে তিনি। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল অহিদুর রাজা। এক ফারসি ভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে তাঁর নাম হয় হাসন রাজা। দেখতে সুদর্শন হাসন জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় অল্প বয়সেই জমিদারির দায়িত্ব নেন।
১ ঘণ্টা আগে