জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে ভাঙা চেয়ারে আর বসতে হবে না দর্শকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ২১: ২১
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ২১: ২৯

গ্যালারির কোথাও ছিল ভাঙা চেয়ারের ধ্বংসাবশেষ; কোথাও হা করে থাকা লোহার পাত বুঝিয়ে দিচ্ছিল এখানেও একসময় বসার আসন ছিল। গত মাসে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্টের সময়ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারির দশা ঠিক এমনই ছিল। বিশেষ করে মাঠের পশ্চিমের গ্যালারি এতটাই ধ্বংসস্তূপ ছিল যে বহুদিন পর মাঠে ফেরা দর্শকদের সেদিকে বসানোর সাহসই করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এমন চিত্র নিয়ে সমালোচনার পর অবশেষে সেই ভাঙা চেয়ার সরিয়ে নতুন চেয়ার বসানো হচ্ছে। 

আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০২১-২২ আসর। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। একদিকে বাইশ গজে যখন চলছে ব্যাট-বলের লড়াই, অন্যদিকে গ্যালারিতে চলছে সংস্কারকাজ। সব মিলে গ্যালারি যেন সেজে উঠছে নতুন রূপে। 

সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপ ঘিরে এই স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। তখন গ্যালারির এক পাশ দোতলা করে পুরো স্টেডিয়ামে প্লাস্টিকের ১৮ হাজার ফাইবার চেয়ার বসায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ১০ বছরের মাথায় সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক আগেই রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে চীন থেকে আমদানি করা এসব চেয়ারের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজারই ফেটে যায়। 

ভাঙা চেয়ার সরিয়ে নতুন চেয়ার বসানো হচ্ছেএত দিন নতুন চেয়ারের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে ছিল বিসিবি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় গ্যালারি সংস্কারের দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এ জন্য বেশ কিছুদিন আগে দেশীয় প্রতিষ্ঠান আরএফএলকে চেয়ার বসানোর কার্যাদেশ দেয়। সেই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগেই নতুন চেয়ার বসানো হচ্ছে। 

সবগুলো ভাঙা চেয়ার সরিয়ে নতুন চেয়ার বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে ১২ হাজার চেয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সব চেয়ার স্থাপনের কাজ শেষ হবে। আশা করছি, বিপিএলের আগেই নতুন চেয়ারে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবে দর্শকেরা।’ 

স্টেডিয়ামের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে চীন থেকে আনা চেয়ারগুলোর প্রতিটির খরচ পড়েছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে বিসিবিকে আরএফএল যেসব চেয়ার দিচ্ছে তা স্থাপনসহ প্রতিটির খরচ পড়ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। খরচ কম পড়ার পাশাপাশি দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়ার পেছনে আরও একটা উদ্দেশ্য আছে বিসিবির। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চেয়েছিলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজটা দিলে পরে কোনো কারণে চেয়ার নষ্ট হলে তাদের দিয়েই দ্রুত সংস্কার করা যাবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত