নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
জালিয়াতি আর ভুয়া আবেদনপত্র তৈরির মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের নামে ২২টি অবৈধ সংযোগ দেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) চারজন অসাধু কর্মকর্তা। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে মুজিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাবেক দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এ মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে সেই ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচজন হলেন—মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের সই করা একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা সাক্ষ্য-স্মারক ও অন্য কাগজপত্র পর্যালোচনায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় দুদক আইন–২০০৪–এর ৩২ ধারা এবং দুদক কমিশন বিধিমালা ২০০৭–এর বিধি ১৫ উপবিধি ১–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হলো। চিঠিটি ইস্যু হয়েছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুসন্ধানের প্রতিবেদন পেয়েই দুদক মামলা করে। সাবেক মন্ত্রীপুত্রের অবৈধ গ্যাস–সংযোগের বিষয়টি সব কাগজপত্রে রয়েছে। অবৈধ হওয়ায় পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। দুদক এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তারা ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করতে দুদকের আইনজীবী আদালতে আবেদন করতে পারেন।’
চট্টগ্রাম আদালতে দায়িত্বরত দুদকের জিআরও আবদুল লতিফ বলেন, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রতিবেদনটি আসে। মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদনের চিঠিটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের (বর্তমানে মৃত) নামে বরাদ্দ করা ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার গ্যাস–সংযোগ ছিল। এর মধ্যে ১২টি নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ কাজে সালামের স্ত্রীর নামে ভুয়া চুক্তিনামাও করা হয়।
এজাহার অনুযায়ী সালাম ও মুজিবুরের গ্রাহক সংকেত পৃথক হওয়ায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুরের নামে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এ সময়কালে মামলা হওয়ার তিন দিন পর ২০২১ সালের ১৩ জুন অবৈধ ২২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। কেজিডিসিএলের তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে অবশ্য তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
কেজিডিসিএলে সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার হোসেন সম্প্রতি শরীফের বিরুদ্ধে করা একটি সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি অবৈধ ছিল বলে স্বীকারও করেন। তবে এই ঘটনায় তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
জানতে চাইলে শরীফ উদ্দিন বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রমাণ পেয়েতো সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। কর্ণফুলী গ্যাস পরে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে। এখন বর্তমানে দুদকের প্রতিবেদনটি কোন অবস্থায় আছে জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ এই চক্র শুরু থেকে আমার পেছনে লাগে। তারা চাকরি থাকাকালীন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের এজেন্ডা নিয়ে একটি বিশেষ মিডিয়ায় নিউজও করাইছে। অথচ ওই সব নিউজ একেবারে ভুয়া-মনগড়া।’
জালিয়াতি আর ভুয়া আবেদনপত্র তৈরির মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের নামে ২২টি অবৈধ সংযোগ দেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) চারজন অসাধু কর্মকর্তা। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে মুজিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাবেক দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এ মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে সেই ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচজন হলেন—মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের সই করা একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা সাক্ষ্য-স্মারক ও অন্য কাগজপত্র পর্যালোচনায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় দুদক আইন–২০০৪–এর ৩২ ধারা এবং দুদক কমিশন বিধিমালা ২০০৭–এর বিধি ১৫ উপবিধি ১–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হলো। চিঠিটি ইস্যু হয়েছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুসন্ধানের প্রতিবেদন পেয়েই দুদক মামলা করে। সাবেক মন্ত্রীপুত্রের অবৈধ গ্যাস–সংযোগের বিষয়টি সব কাগজপত্রে রয়েছে। অবৈধ হওয়ায় পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। দুদক এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তারা ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করতে দুদকের আইনজীবী আদালতে আবেদন করতে পারেন।’
চট্টগ্রাম আদালতে দায়িত্বরত দুদকের জিআরও আবদুল লতিফ বলেন, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রতিবেদনটি আসে। মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদনের চিঠিটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের (বর্তমানে মৃত) নামে বরাদ্দ করা ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার গ্যাস–সংযোগ ছিল। এর মধ্যে ১২টি নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ কাজে সালামের স্ত্রীর নামে ভুয়া চুক্তিনামাও করা হয়।
এজাহার অনুযায়ী সালাম ও মুজিবুরের গ্রাহক সংকেত পৃথক হওয়ায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুরের নামে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এ সময়কালে মামলা হওয়ার তিন দিন পর ২০২১ সালের ১৩ জুন অবৈধ ২২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। কেজিডিসিএলের তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে অবশ্য তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
কেজিডিসিএলে সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার হোসেন সম্প্রতি শরীফের বিরুদ্ধে করা একটি সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি অবৈধ ছিল বলে স্বীকারও করেন। তবে এই ঘটনায় তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
জানতে চাইলে শরীফ উদ্দিন বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রমাণ পেয়েতো সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। কর্ণফুলী গ্যাস পরে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে। এখন বর্তমানে দুদকের প্রতিবেদনটি কোন অবস্থায় আছে জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ এই চক্র শুরু থেকে আমার পেছনে লাগে। তারা চাকরি থাকাকালীন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের এজেন্ডা নিয়ে একটি বিশেষ মিডিয়ায় নিউজও করাইছে। অথচ ওই সব নিউজ একেবারে ভুয়া-মনগড়া।’
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৪৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
২ ঘণ্টা আগে