নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসকন নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট শেয়ারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ইসকনের সদস্যরা এক দোকানদারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ওই দোকানদারকে উদ্ধারে গেলে ইসকনের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর চড়াও হন। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে একজন অ্যাসিডদগ্ধ রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, হাজারী গলি এলাকার মো. ওসমান নামের এক দোকানদার কয়েক দিন আগে তাঁর ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসকনের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালান। চারদিক দিয়ে ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে ওই দোকানদারকে অবরুদ্ধ রাখেন তাঁরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ওই দোকানদারকে উদ্ধার করেন।
আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি জানান, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ওই দোকানদারকে উদ্ধার করার সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে ওই দোকানদারকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান ইসকনের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে ওসমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসমানকে নিয়ে যাওয়ার পর ইসকনের সদস্যরা চড়াও হলে লাঠিপেটা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ইটপাটকেল ছোড়েন ইসকনের সদস্যরা। পরে যৌথ বাহিনী ছত্রভঙ্গ করতে গেলে হাজারী গলির ওপর থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়।
হাজারি গলির দ্বিতীয় তলায় সব স্বর্ণের কারিগরের দোকান। ওপর থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ুম। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ মঙ্গলবার রাতে বলেন, হাজারী গলি এলাকার মো. ওসমান নামের এক দোকানদার কয়েক দিন আগে তাঁর ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক আজ সন্ধ্যার দিকে তাঁর দোকানে গিয়ে হামলা চালা়ন। ওই সময় তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। ওসমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। ওই সময় তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে ওসমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে আবার ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা অ্যাসিডও নিক্ষেপ করেন। এতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজন সামান্য অ্যাসিডদগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আটকে হাজারী গলি এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের আটকে অভিযান চলছে। আর যে ব্যবসায়ীকে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিল, তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিসের পরিপ্রেক্ষিতে কী হলো—পুরো বিষয়টি তদন্ত করে এবং যারা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী, তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসকন নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট শেয়ারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ইসকনের সদস্যরা এক দোকানদারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ওই দোকানদারকে উদ্ধারে গেলে ইসকনের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর চড়াও হন। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে একজন অ্যাসিডদগ্ধ রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, হাজারী গলি এলাকার মো. ওসমান নামের এক দোকানদার কয়েক দিন আগে তাঁর ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসকনের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালান। চারদিক দিয়ে ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে ওই দোকানদারকে অবরুদ্ধ রাখেন তাঁরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ওই দোকানদারকে উদ্ধার করেন।
আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি জানান, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ওই দোকানদারকে উদ্ধার করার সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে ওই দোকানদারকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান ইসকনের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে ওসমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসমানকে নিয়ে যাওয়ার পর ইসকনের সদস্যরা চড়াও হলে লাঠিপেটা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ইটপাটকেল ছোড়েন ইসকনের সদস্যরা। পরে যৌথ বাহিনী ছত্রভঙ্গ করতে গেলে হাজারী গলির ওপর থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়।
হাজারি গলির দ্বিতীয় তলায় সব স্বর্ণের কারিগরের দোকান। ওপর থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ুম। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ মঙ্গলবার রাতে বলেন, হাজারী গলি এলাকার মো. ওসমান নামের এক দোকানদার কয়েক দিন আগে তাঁর ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক আজ সন্ধ্যার দিকে তাঁর দোকানে গিয়ে হামলা চালা়ন। ওই সময় তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। ওসমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। ওই সময় তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে ওসমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে আবার ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা অ্যাসিডও নিক্ষেপ করেন। এতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজন সামান্য অ্যাসিডদগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আটকে হাজারী গলি এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের আটকে অভিযান চলছে। আর যে ব্যবসায়ীকে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিল, তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিসের পরিপ্রেক্ষিতে কী হলো—পুরো বিষয়টি তদন্ত করে এবং যারা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী, তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মৎস্য খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় অধিগ্রহণে প্রশাসনের উদাসীনতা ও দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
১৫ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মাঠপর্যায়ে আমরা গোয়েন্দা তথ্য যাচাই বাছাই করছি। সে অনুযায়ী আমরা আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করব। সরকার পতনের পর যেসব শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে, সেসব সমাবেশে যেন শান্তি বিঘ্নিত না হয় আমরা সে জন্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করেছি।’
১৯ মিনিট আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রলীগের পক্ষে কলাম লেখাসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
২২ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সড়ক পারাপারের সময় একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন।
২৬ মিনিট আগে