নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা নেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন জিএম কাদের। আজ মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার মামলার জবাবে তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিনি।
জিএম কাদেরের পক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিমুল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। গত ৩১ অক্টোবর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক এক আদেশ দিয়ে জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
জিয়াউল হক সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার জন্য মামলা করেন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ৩১ অক্টোবর।
মামলায় জিয়াউল হক উল্লেখ করেন, জিএম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে জিএম কাদের তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পরে চেয়ারম্যান বনে যান। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। জিএম কাদেরের উক্ত রূপ কার্যকলাপে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ও পার্টিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
জিয়াউল হক আরও উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলন বেআইনি ও স্থগিত ঘোষণার জন্য বাদী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট রোল জারি করার পরও সম্মেলন স্থগিত না করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন। ওই সম্মেলনে একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। যেহেতু হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন সেহেতু ওই গঠনতন্ত্র অবৈধ এবং বেআইনি। যেহেতু জিএম কাদের অবৈধভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন, সেহেতু জিয়াউল হককে বহিষ্কারাদেশও বেআইনি।
জিয়াউল হক মামলায় আরও বলেন, যেহেতু সম্মেলন বেআইনি সেহেতু ওই সম্মেলনে যে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে তাও বেআইনি। কাজেই ওই গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হকের মামলার জবাবে জিএম কাদের আদালতকে বলেছেন, বাদী জিয়াউল হক জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা পরিচয় দিয়েছেন মামলায়। জাতীয় পার্টিতে এমন কোনো পদ নেই। আছে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং আদালতকে ভুল বুঝিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়েছেন তিনি। জিয়াউল হক মামলার আরজিতে বলেছেন, জি এম কাদের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান, এটিও মিথ্যা। দলের সম্মেলনে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান করা হয়। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর দলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে এ কথাও সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এখন দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারযোগ্য।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা নেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন জিএম কাদের। আজ মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার মামলার জবাবে তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিনি।
জিএম কাদেরের পক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিমুল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। গত ৩১ অক্টোবর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক এক আদেশ দিয়ে জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
জিয়াউল হক সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার জন্য মামলা করেন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ৩১ অক্টোবর।
মামলায় জিয়াউল হক উল্লেখ করেন, জিএম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে জিএম কাদের তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পরে চেয়ারম্যান বনে যান। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। জিএম কাদেরের উক্ত রূপ কার্যকলাপে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ও পার্টিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
জিয়াউল হক আরও উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলন বেআইনি ও স্থগিত ঘোষণার জন্য বাদী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট রোল জারি করার পরও সম্মেলন স্থগিত না করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন। ওই সম্মেলনে একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। যেহেতু হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন সেহেতু ওই গঠনতন্ত্র অবৈধ এবং বেআইনি। যেহেতু জিএম কাদের অবৈধভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন, সেহেতু জিয়াউল হককে বহিষ্কারাদেশও বেআইনি।
জিয়াউল হক মামলায় আরও বলেন, যেহেতু সম্মেলন বেআইনি সেহেতু ওই সম্মেলনে যে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে তাও বেআইনি। কাজেই ওই গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হকের মামলার জবাবে জিএম কাদের আদালতকে বলেছেন, বাদী জিয়াউল হক জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা পরিচয় দিয়েছেন মামলায়। জাতীয় পার্টিতে এমন কোনো পদ নেই। আছে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং আদালতকে ভুল বুঝিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়েছেন তিনি। জিয়াউল হক মামলার আরজিতে বলেছেন, জি এম কাদের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান, এটিও মিথ্যা। দলের সম্মেলনে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান করা হয়। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর দলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে এ কথাও সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এখন দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারযোগ্য।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে