পল্লী বিদ্যুতে শাটডাউন : রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আরও ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ১৯
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ২৩

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) আরও দুই কর্মকর্তাকে ২ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ (৩১)।

বিকেলে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার এই দুই কর্মকর্তাকে আটক করে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাক্ষণবাড়িয়া নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন এই ছয় কর্মকর্তাকে ৩ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন এক মামলার আসামি। বেলাল হোসেন অন্য একটি মামলার আসামি।

আজকের রিমান্ডে পাঠানো দুই কর্মকর্তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/ কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরিসেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানান অযৌক্তিক দাবি দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কাজে লিপ্ত আছেন। তাদের এ ধরণের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা, যা দেশদ্রোহীতার শামিল।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে তাদের পেছনে আর কারা জড়িত তা শনাক্ত করতে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত