শেখ জামালকে হারিয়ে আবাহনীর শিরোপা পুনরুদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ১৭: ১৯

‘অলিখিত ফাইনালে’ শেখ জামালকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। ২০১৩ সালে ডিপিএল লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবারই প্রথম ঘটনা—সমান পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের শেষ ম্যাচে শিরোপার লড়াইয়ে নেমেছিল দুটি দল। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ঐতিহ্যবাহী দলটি।

চ্যাম্পিয়ন হতে দুই দলই সমীকরণ ছিল ডিপিএলের শেষ রাউন্ড জয়। ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে সেই হিসেব মিলিয়েছে আবাহনী। তাতে ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট হয়েছে ২৮। সমান ম্যাচে ১৩ জয় ও ৩ হারে শেখ জামালের ২৬ পয়েন্টই থাকল। লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর আবাহনী চতুর্থবার ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো। সব মিলিয়ে এতিহ্যবাহী দলটি শিরোপা জিতল সর্বোচ্চ ২২ বার।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অলিখিত ফাইনালে টস জিতে শেখ জামালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাটিংয়ের শুরুটা বেশ ভালো হয়নি শেখ জামালের। ১৬ রানে তিন টপ অর্ডারের উইকেট হারিয়ে শুরুতে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।

অবশ্য মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় শেখ জামাল। তাইবুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান করেছেন ফিফটি। তাঁদের সঙ্গে ফজলে মাহমুদ, পারভেজ রাসুল ও জিয়াউর রহমানরা ঝড় তোলেন শেষ দিকে। তাতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে শেখ জামাল।

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ফজলে ও তাইবুর রহমানের ৮১ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলিয়ে ওঠে শেখ জামাল। ৭০ বলে ৪০ রান করে আউট হন ফজলে। ৮৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন তাইবুরও।

এরপরের তিন ব্যাটারই ব্যাটিং করেছেন ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে। রাসুল ৩৭ বলে ৪২, জিয়া ১৪ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে খেলেছেন ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৭০ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। নিজের ইনিংসে ৪টি ছক্কা ও ৮টি চার মারেন শেখ জামালের অধিনায়ক। আবাহনীর হয়ে তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব দুটি করে উইকেট নেন।

 ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আবাহনীকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। ওপেনিং জুটিতে ১৪৫ রান স্কোরে যোগ করেন তারা। কিন্তু চার রানের ব্যবধানে দুজনেই ফেরেন। ৬৮ রান করে নাঈম ফেরেন তাইবুরের শিকার হয়ে। ৭২ রানে আরিফ আহমেদ ফেরান বিজয়কে।

এবারের ডিপিএলে ৯৩২ রান হলো নাঈমের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যা বিশ্বের নির্দিষ্ট কোনো এক টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। প্রথম নামটা অবশ্য বিজয়েরই। ডিপিএলের গত মৌসুমে ১১৩৪ রান করেছিলেন তিনি। এবারও অবশ্য খারাপ করেননি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩৪ রান তাঁর।

বিজয় ও নাঈমকে পরপর হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে আবাহনী। তবে আফিফ হোসেনের অসাধারণ ফিফটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ৫৩ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। তাতে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে জেতে আবাহনী।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত