টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশ চলছিল। পরে দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার কারণে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে গাজীপুরের বড়বাড়ী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
এদিকে মিছিলটি টঙ্গীর কলেজগেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদনগর পর্যন্ত মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা নূরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
রাব্বি হাসান জয় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু চাচাকে নিয়ে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রওনা দেন। বেলা ১১টার দিকে এসে পৌঁছান টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তিনি বলেন, ‘দুই ঘণ্টায় টঙ্গী পেরোতে পারিনি। টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকা থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুতেও যানজট। রাস্তা অবরোধ করে লোকজন স্লোগান দিচ্ছে। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ঢাকায় যাওয়ারও সুযোগ নেই।’
তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে কলেজ গেট এলাকায় মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। হাজারো নেতা-কর্মী মহাসড়কে অবস্থান করলে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাফিকের অতিরিক্ত সদস্যরা মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
এদিকে নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে শাহনূর ইসলাম সরকার রনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক বসির উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘নূরুল ইসলাম সরকার এখনো মুক্তি না পেলেও আমি মনে করি, তিনি মুক্তি পেয়ে গেছেন। কারণ, জনগণ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতি আজকে কোথায়। মতি কী ছিল, আজকে হাজার কোটি টাকার মালিক সে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতা দুই-চার শ কোটি টাকার মালিক।’
হাসান উদ্দিন সরকার আরও বলেন, ‘টঙ্গীর দুটি কলেজে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখে বলে শেষ করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করব। আমার কাছে খবর আছে, আপনারা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাহায্য করছেন। আপনারা আগের চরিত্রে ফিরে যাবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগ সরকার আমার ভাই নূরুল ইসলাম সরকারের ফরমায়েশি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। মামলাটির পুনর্তদন্ত করার দাবি জানাই। আর যদি নূরুল ইসলাম সরকারকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে গাজীপুরের সড়ক ব্যবহার করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সব যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদল নেতা সানজির আহমেদ মিথুন, মিরাদ হোসেন মিঠু, দিদার আহমেদ মানিক, সাব্বির, বন্ধন, গাজীপুর মহানগর তারেক জিয়া পরিষদের সদস্যসচিব বীর রহমান, রিয়াজ আহমেদ, রনি দেওয়ান, রানা হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিনই নূরুল ইসলাম সরকারকে প্রধান করে টঙ্গী থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মতিউর রহমান। ওই মামলায় নূরুল ইসলাম সরকারকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারক।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশ চলছিল। পরে দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার কারণে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে গাজীপুরের বড়বাড়ী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
এদিকে মিছিলটি টঙ্গীর কলেজগেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদনগর পর্যন্ত মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা নূরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
রাব্বি হাসান জয় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু চাচাকে নিয়ে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রওনা দেন। বেলা ১১টার দিকে এসে পৌঁছান টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তিনি বলেন, ‘দুই ঘণ্টায় টঙ্গী পেরোতে পারিনি। টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকা থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুতেও যানজট। রাস্তা অবরোধ করে লোকজন স্লোগান দিচ্ছে। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ঢাকায় যাওয়ারও সুযোগ নেই।’
তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে কলেজ গেট এলাকায় মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। হাজারো নেতা-কর্মী মহাসড়কে অবস্থান করলে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাফিকের অতিরিক্ত সদস্যরা মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
এদিকে নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে শাহনূর ইসলাম সরকার রনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক বসির উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘নূরুল ইসলাম সরকার এখনো মুক্তি না পেলেও আমি মনে করি, তিনি মুক্তি পেয়ে গেছেন। কারণ, জনগণ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতি আজকে কোথায়। মতি কী ছিল, আজকে হাজার কোটি টাকার মালিক সে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতা দুই-চার শ কোটি টাকার মালিক।’
হাসান উদ্দিন সরকার আরও বলেন, ‘টঙ্গীর দুটি কলেজে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখে বলে শেষ করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করব। আমার কাছে খবর আছে, আপনারা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাহায্য করছেন। আপনারা আগের চরিত্রে ফিরে যাবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগ সরকার আমার ভাই নূরুল ইসলাম সরকারের ফরমায়েশি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। মামলাটির পুনর্তদন্ত করার দাবি জানাই। আর যদি নূরুল ইসলাম সরকারকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে গাজীপুরের সড়ক ব্যবহার করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সব যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদল নেতা সানজির আহমেদ মিথুন, মিরাদ হোসেন মিঠু, দিদার আহমেদ মানিক, সাব্বির, বন্ধন, গাজীপুর মহানগর তারেক জিয়া পরিষদের সদস্যসচিব বীর রহমান, রিয়াজ আহমেদ, রনি দেওয়ান, রানা হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিনই নূরুল ইসলাম সরকারকে প্রধান করে টঙ্গী থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মতিউর রহমান। ওই মামলায় নূরুল ইসলাম সরকারকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারক।
প্রতিযোগিতা করে চলতে গিয়ে গত বুধবার ঢাকার সাভারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি বাস। এতে নিহত হয় এক শিশুসহ একই পরিবারের চারজন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সাভার হাইওয়ে থানা-পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সের ও একটি বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে।
১২ মিনিট আগেফরিদপুরের কানাইপুরে যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করে তারা।
১৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা মেইলের হারুন জামিল এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাংলাদেশ পোস্টের শওকত আলী খান লিথো।
২০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ হত্যার প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ নিহত না হলে পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙত না। আমরা আন্দোলন করে সেটি প্রারম্ভিক করেছি।’
৩৫ মিনিট আগে