খামারে হাজার মুরগির বাচ্চার মধ্যে একটির চার পা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৩: ০৬
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৩: ১৩

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মুরগির খামারে চার পা-ওয়ালা একটি মুরগির বাচ্চার সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সিহাবের খামারে মুরগির বাচ্চাটিকে দেখা যায়।

মুরগির খামারের মালিক সিহাব মিয়া জানান, তিন দিন আগে খামারে নতুন ১ হাজার মুরগির বাচ্চা তোলা হয়েছে। বাচ্চাগুলো পরিচর্যা করতে গিয়ে শনিবার রাতে চার পা-ওয়ালা একটি বাচ্চা নজরে পড়ে। এরপর রোববার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষ চার পা-ওয়ালা মুরগির বাচ্চাটি দেখতে খামারে ছুটে আসছে।

খামারি সিহাব মিয়া বলেন, ‘অন্য বাচ্চাগুলোর মতো ওই বাচ্চাটিও এখনো সুস্থ আছে। বাচ্চাটা হাঁটার সময় অতিরিক্ত পা দুইটা ঝুলে থাকে। ওই পা দুইটা তুলনামূলক ছোট।’

স্থানীয় নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে সিহাব দোকানে বসে বিষয়টি জানানোর পরপরই আমরা কয়েকজন মিলে তাঁর খামারে গিয়ে চার পা-ওয়ালা মুরগির বাচ্চা দেখতে পাই।’

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮  ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পারভীন আক্তার নিশি বলেন, ‘ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশে। আমিও প্রথম দেখেছি। সাধারণত মুরগির দুটি পা থাকে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু মুরগির বাচ্চার যদি চার পা হয়, তাহলে তো সবাই অবাক হবেই। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আর শুনিনি।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান বলেন, ‘জেনেটিক ডিসঅর্ডার বা জিনগত ত্রুটির কারণে মুরগির চার পা হতে পারে। তবে এসব মুরগির বাচ্চা তাদের স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়ে। চার পা-ওয়ালা মুরগির বাচ্চা বেশি দিন বাঁচতে পারে না। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে বেঁচেও যেতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত