Ajker Patrika

হাটিকুমরুল-রংপুর চার লেন প্রকল্পের কাজে তীব্র পাথরসংকট

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১২: ৪৯
হাটিকুমরুল-রংপুর চার লেন প্রকল্পের কাজে তীব্র পাথরসংকট

ভুটান থেকে পাথর আসছে না। দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাথর খনিতেও উৎপাদন বন্ধ। এতে মহাসড়ক নির্মাণকাজে পাথরের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। কিন্তু বিশাল এই নির্মাণযজ্ঞে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথরের সংকট। থমকে গেছে প্রকল্পের অগ্রগতি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ মহাসড়কে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূলত পাথরের কাজ হচ্ছে। সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানেও পাথর দরকার। কাজগুলো এমন একটা পর্যায়ে গুছিয়ে এসেছে, যেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাথর প্রয়োজন। কিন্তু পাথরের যে উৎসগুলো আছে, সেখান থেকে পর্যাপ্ত পাথর আসছে না। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিকল্প উপায়ে পাথর সরবরাহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রকল্পের পাথর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিপিসিএলের কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পঞ্চগড়, বুড়িমারী কোথাও থেকে পাথর আসছে না। হিলি ও সোনামসজিদের একই অবস্থা। পাথর দিতে না পারায় বড় প্রকল্পের কাজে খুবই খারাপ অবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে এর মধ্যে যেটুকু পাথর আসছে, তার দামও বাড়তি। ভারত থেকে আমদানি করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারাও পাথর দিচ্ছে না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারছি না।’

নির্মাণ প্রকল্পগুলোয় সরবরাহ করা পাথরের উৎস ছিল তিনটি—ভুটান, ভারত ও দিনাজপুরের মধ্যপাড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পাথর পাওয়া যায় ভারতে, কিন্তু সেখান থেকে পাথর আসছে খুবই কম। গত বছর পর্যন্ত ভুটানের পাথর পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বছর থেকে ভুটানের পাথরও আসছে না। এর কারণ, ভুটান থেকে ভারত
হয়ে বাংলাদেশের বুড়িমারীতে পাথর আসত। কিন্তু ভারত তাদের বর্ডারে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন বসিয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রতি ট্রাকে ৩৪ টন পাথর আসত, এখন সেখানে আসছে ১৭ টন। পাথর কম আসার কারণে দামও বেশি। এ জন্য ভুটানের পাথর আনছেন না ঠিকাদারেরা। দেশি উৎস মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকেও কিছু পাথর আসত। বর্তমানে মধ্যপাড়ায়ও পাথর উৎপাদন বন্ধ। এতে সংকট আরও প্রকট রূপ ধারণ করেছে।

সাসেক সড়ক সংযোগ-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে পাথর আনার বিষয়ে এখন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপাড়া ও ভুটান থেকে পাথর আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অন্যতম উৎস হলো ভারত, সেখানে আমরা চেষ্টা করছি। পুরো প্রকল্পের প্রায় ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পাথরসংকটের বিষয়টি বেশি দিন স্থায়ী হলে প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়বে।’

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটারের এই প্রকল্প ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে একনেকে অনুমোদন পায়। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি ১ লাখ টাকা এবং ২০২১ সালের আগস্ট কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

প্রকল্পের আওতায় চার লেনের মহাসড়কসহ সার্ভিস লেনও নির্মাণ করা হচ্ছে। তা ছাড়া ৬টি ফ্লাইওভার, ১১টি ফুটওভারব্রিজ, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস, ২৬টি ছোট সেতু, ১৮০টি কালভার্ট, ৩৯টি আন্ডারপাস, হাটিকুমরুলে দেড় কিলোমিটারের ১টি ইন্টারচেঞ্জ, সড়ক গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্পটি ১৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে শেষ হবে। প্রকল্পে জমি লাগছে প্রায় ৩২৬ হেক্টর। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় জমি পেতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। পাথর ছাড়া বিটুমিনের সংকট আছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, যা প্রকল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাসেক-২ এবং আরও কিছু প্রকল্পে পাথরের ক্রাইসিস আছে। তাতে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় ‎সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।

এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।

‎‎এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। ‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

‎‎মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

‎‎এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিল

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আজ বেলা ১১টার দিকে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টার দিকে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কালো পতাকা মিছিল করেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মিজানুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি লিয়ার হোসেন হাওলাদার, সহসভাপতি রফিক মহল্লাদার, সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়া, দশমিনা উপজেলা যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইমরান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।

কালো পতাকা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি বলেন, ‘স্বৈচার আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে পালালেও তাদের দোসর সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একজন জুলাই আন্দোলনের মহানায়ককে এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা মানে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার খুনিরা এই অপকর্মে লিপ্ত। গণঅধিকার পরিষদের স্পষ্ট কথা, খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

পরে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া (৬৮) নামের এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিহত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখিল এলাকার বাসিন্দা এবং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলাল হাটের ভূঁইয়া মেটালের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শুকলাল হাটের রাস্তা পারাপারের সময় তিনি কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাকির রাব্বানী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যক্তির মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কুষ্টিয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিছিল করে। মিছিলকারীরা পরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি শেষ হয় এবং রাত ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলো অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ধরনের কিছু খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অরাজকতা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত