এনএসআই কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৩৯
Thumbnail image

ব্যক্তিগত কাজে এসে গত ২৪ জুলাই রাজধানীর লালবাগ কেল্লার সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের এক কর্মকর্তা। কাজ শেষে বের হয়ে দেখেন তাঁর মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানা। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকি সদস্যদের ধরা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চক্রের মূল হোতা সোহেল, তাঁর সহযোগী সুনীল, হ‌ুমায়ূন, হৃদয়, আওয়াল ও স্বাধীন। এ ঘটনায় রনি নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আগেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা ১০টি মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কে এন রায় নিয়তির নেতৃত্বে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। একটি বাইক চুরির আগে চক্রের প্রধান সোহেল ও সুনীল, আওয়াল নজর রাখতেন। এরপর সুযোগ বুঝে তাঁদের কাছে থাকা নকল চাবি দিয়ে বাইকের নিরাপত্তা লক ভেঙে দ্রুত সটকে পরতেন। পরে চক্রের সদস্যরা প্রথমে বাইকটি মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ, জাজিরা এলাকায় নিয়ে চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে বিক্রি করে দিতেন। পরে চক্রের ওই সদস্যরা বাইকের নম্বরপ্লেট ও চেসিস নম্বর টেম্পারিং করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে দিতেন।

প্রথম ধাপে চুরি করা বাইকগুলো ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। পরে সেই বাইকগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজারে বিক্রি করো হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তার বাইকটি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার দুর্গম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত