নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আমার ভালো ছেলেটারে বাড়ি থেকে ডাইকা নিয়ে গেল কাজে। ওরা কি মানুষ? ওরা ছাত্র নাকি ব্যবসায়ী, আমরা জানি না। ও তো ওদের কেউ না, আমার নিরীহ পোলাডারে কেন মাইরা ফেলল? কী করছে আমার পোলাডা। এই সংসার এখন আমরা কেমন করে সামলাব?’—নাহিদের মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর এভাবেই বিলাপ করছিলেন নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হাসানের মা নার্গিস বেগম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাহিদের বন্ধুরা মোবাইলে একটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন ছবির এই ছেলেটি নাহিদ কিনা? নাহিদের ক্ষতবিক্ষত চেহারা দেখেও ছেলেকে চিনতে ভুল হয়নি তাঁর বাবার। তখনই ছুটে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেলে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান নাহিদ।
মা নার্গিস বেগমের সঙ্গে নাহিদের শেষ কথা হয়েছিল পরশু (সোমবার) শেষ রাতে সাহরির সময়। এর পর সকালে আর ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে দেননি তিনি। সকালে উঠে নাহিদ কাজে বেরিয়ে গেছেন বলে জানতেন নার্গিস। কিন্তু এই যাওয়াই যে নাহিদের শেষ বিদায়, তা জানতেন না পরিবারের কেউই।
বাবা, মা, ছোট দুই ভাই আর স্ত্রী ডালিয়াকে নিয়েই ছিল নাহিদের ছোট্ট সংসার। নাহিদের এক ভাইয়ের বয়স ৭ বছর। আরেকজনের বয়স মাত্র ২ বছর। নাহিদের বাবা-মা ঋণ নিয়ে নাহিদের নানির কাছ থেকে পাওয়া ছোট এক টুকরো জায়গা নিয়ে কোনো রকমে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাড়িটা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। নাহিদের বাবার টাকায় শোধ করা হতো সেই ঋণের টাকা। আর নাহিদের আয়েই চলত তাঁর পরিবার। তিনতলার টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে থাকতেন নাহিদ। গতকাল সকালেও সেখান থেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে। ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র। বিছানার এক কোনো এখনো গুটিসুটি মেরে আছে তাঁর শেষবারের মতো খুলে রাখা কাপড়।
সকাল থেকেই নাহিদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় বসে আছেন তাঁর দাদি নাজমা বেগম। নাতিকে এভাবে বিদায় জানাতে হবে, ভাবতে পারেননি তিনি। ঝড়ের রাতে এই বৃদ্ধার ভেতরে আরও একটা ঝড় চলছিল, তা বোঝা গেল তাঁর চোখ দেখেই। সকাল থেকে যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তেমনই কিছুক্ষণ পরপর চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে নাজমার ষাটোর্ধ্ব কুঁচকানো গাল বেয়ে। কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাজমা বললেন, ‘খবর পাইয়া কাইলকা গেছিলাম মেডিকেলে। দেখতে দেয় নাই আমার নাতিরে। নাতিরে কেবল তার বউ দেখতে পারছে। এই পরিবারটার দায়িত্ব এখন কে নিব? ওর বউটার দায়িত্ব কে নিব?’
সকলের মনের ভেতরটা বিষণ্ন করে দিচ্ছে নাহিদের পরিবারের আহাজারি। এক বছরের প্রেমের পর সাত মাস আগে ডালিয়াকে ঘরে এনেছিলের নাহিদ। দাদির কাছে মানুষ হওয়া ডালিয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে তাঁকে ফেলেই চলে গেলেন নাহিদ। ডালিয়ার চিৎকারে ক্রমেই ভারী উঠছিল পরিবেশ। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘কেন ডাইকা নিল ওরে। কেন সে গেল? আমি মানা করছিলাম। আমরা জানতাম না ওখানে গন্ডগোল হচ্ছে। কিন্তু যারা ডাইকা নিল, ওরা তো জানত। কেন ডাকল? আমরা জানলে তো যাইতে দিতাম না।’
স্থানীয়রা জানান, নাহিদ সরাসরি কাজে যেতেন, আবার সেখান থেকে সরাসরি ফিরেও আসতেন। খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। নাহিদকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁর আশপাশের প্রতিবেশীদের। তাঁরা বলছেন, নাহিদ ভালো ছেলে। কারও আগে-পিছে থাকতেন না। একাই নিজের কাজ করতেন; তেমন কোনো খারাপ সঙ্গও ছিল না।
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন নাহিদ হাসান। এর পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডে বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে চাকরি করতেন।
‘আমার ভালো ছেলেটারে বাড়ি থেকে ডাইকা নিয়ে গেল কাজে। ওরা কি মানুষ? ওরা ছাত্র নাকি ব্যবসায়ী, আমরা জানি না। ও তো ওদের কেউ না, আমার নিরীহ পোলাডারে কেন মাইরা ফেলল? কী করছে আমার পোলাডা। এই সংসার এখন আমরা কেমন করে সামলাব?’—নাহিদের মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর এভাবেই বিলাপ করছিলেন নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হাসানের মা নার্গিস বেগম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাহিদের বন্ধুরা মোবাইলে একটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন ছবির এই ছেলেটি নাহিদ কিনা? নাহিদের ক্ষতবিক্ষত চেহারা দেখেও ছেলেকে চিনতে ভুল হয়নি তাঁর বাবার। তখনই ছুটে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেলে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান নাহিদ।
মা নার্গিস বেগমের সঙ্গে নাহিদের শেষ কথা হয়েছিল পরশু (সোমবার) শেষ রাতে সাহরির সময়। এর পর সকালে আর ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে দেননি তিনি। সকালে উঠে নাহিদ কাজে বেরিয়ে গেছেন বলে জানতেন নার্গিস। কিন্তু এই যাওয়াই যে নাহিদের শেষ বিদায়, তা জানতেন না পরিবারের কেউই।
বাবা, মা, ছোট দুই ভাই আর স্ত্রী ডালিয়াকে নিয়েই ছিল নাহিদের ছোট্ট সংসার। নাহিদের এক ভাইয়ের বয়স ৭ বছর। আরেকজনের বয়স মাত্র ২ বছর। নাহিদের বাবা-মা ঋণ নিয়ে নাহিদের নানির কাছ থেকে পাওয়া ছোট এক টুকরো জায়গা নিয়ে কোনো রকমে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাড়িটা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। নাহিদের বাবার টাকায় শোধ করা হতো সেই ঋণের টাকা। আর নাহিদের আয়েই চলত তাঁর পরিবার। তিনতলার টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে থাকতেন নাহিদ। গতকাল সকালেও সেখান থেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে। ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র। বিছানার এক কোনো এখনো গুটিসুটি মেরে আছে তাঁর শেষবারের মতো খুলে রাখা কাপড়।
সকাল থেকেই নাহিদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় বসে আছেন তাঁর দাদি নাজমা বেগম। নাতিকে এভাবে বিদায় জানাতে হবে, ভাবতে পারেননি তিনি। ঝড়ের রাতে এই বৃদ্ধার ভেতরে আরও একটা ঝড় চলছিল, তা বোঝা গেল তাঁর চোখ দেখেই। সকাল থেকে যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তেমনই কিছুক্ষণ পরপর চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে নাজমার ষাটোর্ধ্ব কুঁচকানো গাল বেয়ে। কান্নাজড়ানো কণ্ঠে নাজমা বললেন, ‘খবর পাইয়া কাইলকা গেছিলাম মেডিকেলে। দেখতে দেয় নাই আমার নাতিরে। নাতিরে কেবল তার বউ দেখতে পারছে। এই পরিবারটার দায়িত্ব এখন কে নিব? ওর বউটার দায়িত্ব কে নিব?’
সকলের মনের ভেতরটা বিষণ্ন করে দিচ্ছে নাহিদের পরিবারের আহাজারি। এক বছরের প্রেমের পর সাত মাস আগে ডালিয়াকে ঘরে এনেছিলের নাহিদ। দাদির কাছে মানুষ হওয়া ডালিয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে তাঁকে ফেলেই চলে গেলেন নাহিদ। ডালিয়ার চিৎকারে ক্রমেই ভারী উঠছিল পরিবেশ। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘কেন ডাইকা নিল ওরে। কেন সে গেল? আমি মানা করছিলাম। আমরা জানতাম না ওখানে গন্ডগোল হচ্ছে। কিন্তু যারা ডাইকা নিল, ওরা তো জানত। কেন ডাকল? আমরা জানলে তো যাইতে দিতাম না।’
স্থানীয়রা জানান, নাহিদ সরাসরি কাজে যেতেন, আবার সেখান থেকে সরাসরি ফিরেও আসতেন। খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। নাহিদকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁর আশপাশের প্রতিবেশীদের। তাঁরা বলছেন, নাহিদ ভালো ছেলে। কারও আগে-পিছে থাকতেন না। একাই নিজের কাজ করতেন; তেমন কোনো খারাপ সঙ্গও ছিল না।
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন নাহিদ হাসান। এর পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডে বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে চাকরি করতেন।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১৫ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
২৭ মিনিট আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
৩৪ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৪৪ মিনিট আগে