সিদ্দিকবাজারের ভবন মালিককেও নেওয়া হলো ডিবি হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৬: ২৫
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৭: ৩৫

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক দোকান মালিকের পর এবার ভবনের মালিককেও তুলে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুণ অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে তাঁদের দুজনকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে ধসে পড়া ভবনের বাংলাদেশ স্যানিটারি নামে এক দোকানমালিককে প্রথমে তুলে নেয়ে ডিবি লালবাগ বিভাগ।  তাঁর নাম আব্দুল মোতালেব মিন্টু। এরপর ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমানকে তুলে নেয়। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছে ডিবি।

ভবনটির মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত এক ব্যক্তি। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান মালিক হন। তাঁদের মধ্যে বড় ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও ছোট ভাই মতিউর রহমান ভবনটি পরিচালনা করেন। মেজো ভাই মশিউর রহমান লন্ডনপ্রবাসী।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা কাউকে আটক করিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা বাড়ির মালিক, দোকান মালিকদের ডেকেছি। যারা আহত হয়েছেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছি।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘তাঁদের কাছে আমরা জানতে চাইব, বাণিজ্যিকের নিয়মমতো বেসমেন্টে দোকান দেওয়ার কথা না, সুয়ারেজ লাইন, সেপটিক ট্যাংকি, ওয়াটার রিজার্ভার- এগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হতো কিনা তা আমরা জানতে চাইব। কার অবহেলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ছাড়া বাহির থেকে কেউ এটা ঘটিয়েছে কিনা বা এসব ঘটানোর সুযোগ আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’

গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। 

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমণি শর্মা। তিনি বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভবনের ভূগর্ভস্থ স্থানে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। সকালে সেনাবাহিনী এলে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’

এই বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছে ১২০ জনেরও বেশি। কয়েকজন নিখোঁজ আছে।

আজ বুধবার সেখানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত